পূর্বাশা সিনেমা হল আক্রমণ (কুড়িগ্রাম সদর)
পূর্বাশা সিনেমা হল আক্রমণ (কুড়িগ্রাম সদর) পরিচালিত হয় ২৭শে অক্টোবর। এতে বেশ কিছু পাকসেনা ও রাজাকার হতাহত হয়।
এপ্রিলের দিকে কুড়িগ্রাম শহর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। পাকসেনারা শান্তি কমিটি – ও রাজাকার বাহিনী গঠনের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হিন্দু বাড়িতে তাদের শক্ত ঘাঁটি স্থাপন করে। পুরাতন শহরের অতুল চৌধুরীর বাড়ি ও সঞ্জীব করঞ্জাই-এর বাড়ি, রিভারভিউ স্কুল ও দাদা ভাই মোড়ে স্থাপিত তাদের ক্যাম্প থেকে পাকসেনা ও রাজাকাররা প্রায়ই বিনোদনের জন্য শহরের পূর্বাশা হলে সিনেমা দেখতে আসত। পাকসেনাদের সিনেমা দেখার বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার কোম্পানি জানতে পারে। ২৭শে অক্টোবর ম্যাটিনি শো-র ছবি দেখতে দর্শক হিসেবে হাই কোম্পানির ৪ জন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা হলে প্রবেশ করেন। সিনেমা দেখার এক পর্যায়ে তাঁরা হলের অভ্যন্তরে পাকসেনা ও রাজাকারদের লক্ষ করে গ্রেনেড চার্জ করেন। গেরিলা আক্রমণে বেশ কিছু পাকসেনা ও রাজাকার হতাহত হয়। আব্দুল হাই সরকারের নেতৃত্বে ঐ অপারেশনের অন্য সদস্যরা ছিলেন লালমনিরহাটের আওয়ামী লীগ নেতা মো. শামসুল ইসলাম সুরুজ, হোসেন আলী, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। পূর্বাশা সিনেমা হলটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে এরকম গেরিলা আক্রমণের ফলে পাকবাহিনী ভীষণ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধারা এ আক্রমণে ভীষণভাবে উজ্জীবিত হন। [এস এম আব্রাহাম লিংকন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড