পিংলাকাঠী যুদ্ধ (কালকিনি, মাদারীপুর)
পিংলাকাঠী যুদ্ধ (কালকিনি, মাদারীপুর) সংঘটিত হয় ৩১শে অক্টোবর। কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ রমজানপুর ও পিংলাকাঠিতে রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের এ-যুদ্ধে অনেক পাকসেনা ও রাজাকার হতাহত হয়।
ঘটনার দিন গৌরনদী লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চভর্তি রাজাকার ও পাকসেনারা ঢাকার উদ্দেশে পালরদী নদী দিয়ে যাচ্ছিল। এ সংবাদ পেয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মিয়াজ উদ্দিন খান রাজাকার ও পাকসেনাদের আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তাঁর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নদীর পিংলাকাঠি ও দক্ষিণ রমজানপুরের তীর ঘেঁষে বাংকার খনন করে সেখানে অবস্থান নেন। রাজাকার ও পাকসেনাদের নিয়ে একটি লঞ্চ মুক্তিযোদ্ধাদের আওতায় আসামাত্র এলএমজি থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের ব্রাশফায়ারে লঞ্চের ছাদ উড়ে যায়। অপ্রস্তুত পাকসেনা ও রাজাকাররা কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই তীব্র গুলির মুখে পড়ে। গুলিতে অনেক পাকসেনা ও রাজাকার হতাহত হয়। বাকি পাকসেনা ও রাজাকাররা পাল্টা গুলি করে কোনোরকমে পালিয়ে যায়। এ সময় পালরদী নদীর দুই পাড়ের হাজার-হাজার মানুষ ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে সমগ্র এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে। [বেনজীর আহম্মদ টিপু]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড