পাজরাপাড়া গণহত্যা (নাজিরপুর, পিরোজপুর)
পাজরাপাড়া গণহত্যা (নাজিরপুর, পিরোজপুর) সংঘটিত হয় ১৫ই মে। এতে ১৮ জন সাধারণ মানুষ নির্মম হত্যার শিকার হন।
পিরোজপুর জেলার উত্তরাংশে নাজিরপুর উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলার উত্তরে টুঙ্গিপাড়া, কোটালিপাড়া ও উজিরপুর, পূর্বে বানারীপাড়া ও নেছারাবাদ, পশ্চিমে বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট ও চিতলমারী এবং দক্ষিণে পিরোজপুর সদর ও কচুয়া উপজেলা। ১৫ই মে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নাজিরপুর উপজেলার পাজরাপাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নৈলতলা ও চরখোলা গ্রামের ৭ জনসহ মোট ১৮ জন সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। এদিনের গণহত্যায় শহীদরা হলেন- শুকলাল মিস্ত্রী (পিতা রজনীকান্ত মিস্ত্রী, পাজরাপাড়া), সুরেন্দ্রনাথ মিস্ত্রী (পিতা কৈলাশ মিস্ত্রী, পাজরাপাড়া), বিপিন মিস্ত্রী (পিতা দীননাথ মিস্ত্রী, পাজরাপাড়া), ধীরেন্দ্রনাথ মিস্ত্রী (পিতা বিপিন মিস্ত্ৰী, পাজরাপাড়া), নির্মল মাঝি (পিতা জিতেন্দ্ৰ মাঝি, পাজরাপাড়া), নগেন্দ্র মণ্ডল (পিতা রসিক মণ্ডল, পাজরাপাড়া), জ্ঞানেন্দ্রনাথ মণ্ডল (পিতা সারদা মণ্ডল, পাজরাপাড়া), নরেন্দ্রনাথ মণ্ডল (পিতা বরদা মণ্ডল, পাজরাপাড়া), মহেন্দ্রনাথ মণ্ডল (পিতা বিপিন মণ্ডল, পাজরাপাড়া), বলরাম মণ্ডল (পিতা অশ্বিনী মণ্ডল, পাজরাপাড়া), গৌরকান্তি রায় (পিতা জ্ঞানেন্দ্রনাথ রায়, নৈলতলা), গোবর্ধন রায় (পিতা জ্ঞানেন্দ্রনাথ রায়, নৈলতলা), অশ্বিনী বেপারী (পিতা ভগবান বেপারী, নৈলতলা), নকুল চন্দ্র মণ্ডল (পিতা দ্বারিক চন্দ্র মণ্ডল, নৈলতলা), হরিচরণ ওঝা (পিতা কালীচরণ ওঝা, নৈলতলা), নিরোদ কুমার হালদার (পিতা ষষ্ঠিচরণ হালদার, চরখোলা), অরুণা বালা বাড়ৈ (স্বামী বিনোদ বাড়ৈ, চরখোলা) ও সদানন্দন পাগল (খেজুরতলা)। [শফিউদ্দিন তালুকদার]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড