পলাশবাড়ী প্রতিরোধযুদ্ধ (পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা)
পলাশবাড়ী প্রতিরোধযুদ্ধ (পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা) সংঘটিত হয় ২৯শে মার্চ ও ৩১শে মার্চ৷ পলাশবাড়ী উপজেলা সদরে সংঘটিত এ প্রতিরোধযুদ্ধে বাঙালি ইপিআর লে. রফিক ও সুবেদার আফতাবের নেতৃত্বে বাঙালি সেনাসদস্য ও ইপিআর জওয়ানরা অংশ নেন। তাঁদের সহযোগিতা করে স্থানীয় মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা। প্রথম দিনের যুদ্ধে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। অপরদিকে ২১ জন পাকসেনা নিহত হয়। দ্বিতীয় দিনের যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা লে. রফিক শহীদ হন।
২৯শে মার্চ পাকিস্তানি সেনারা পলাশবাড়ী আসে। তাদের সঙ্গে বাঙালি সেনাসদস্য, ইপিআর ও ছাত্র-জনতার ৬ ঘণ্টা ব্যাপী যুদ্ধ চলে। এ-যুদ্ধে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ২১ জন পাকসেনা নিহত হয়। হানাদাররা তাদের নিহত সৈন্যদের লাশ ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। এর একদিন পর ৩১শে মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে আবার পলাশবাড়ীতে আসে। তাদের সঙ্গে বাঙালি ইপিআর ও সেনাসদস্যদের গুলি বিনিময় হয়। এখানে লে. রফিক শহীদ হন। মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব লাভ করেন সুবেদার আফতাব। তিনি কৌশলগত কারণে তাঁর বাহিনীকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান গ্রহণ করান।
এ প্রতিরোধযুদ্ধে সৈয়দপুর থেকে আসা ক্যাপ্টেন আনোয়ারের নেতৃত্বাধীন ইপিআর বাহিনীর সুবেদার আফতাবের নেতৃত্বে ৬০ জন সৈন্য এবং লে. রফিকের নেতৃত্বাধীন সেনাসদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় স্বল্পপ্রশিক্ষিত ছাত্র- জনতা অংশগ্রহণ করে। [জহুরুল কাইয়ুম]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড