মুক্তিযুদ্ধে নোয়াখালী সদর উপজেলা
নোয়াখালী সদর উপজেলা ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করলে নোয়াখালী সদর উপজেলার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করে এর প্রতিবাদ জানায়। ২রা মার্চ সর্বস্তরের জনগণ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে অসহযোগ আন্দোলন-সহ সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। এদিন মাইজদী কাচারি ময়দানে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী আন্দোলন পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর সারা দেশের মতো এ অঞ্চলের জনগণও আসন্ন স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়। ২৩শে মার্চ পাকিস্তান দিবসে নোয়াখালী সদর উপজেলার সর্বত্র পাকিস্তানি পতাকার পরিবর্তে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মমিন উল্লাহ মাইজদী কাচারি ময়দানে কয়েক হাজার ছাত্র- জনতার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর তাঁর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। নোয়াখালী কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি জয়নাল আবেদীন এবং ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি নুরুল আলম এতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
২৬শে মার্চ রাতে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল করিম বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাবার্তা ইপিআর ওয়ারলেসের মাধ্যমে পেয়ে নোয়াখালী সংগ্রাম কমিটির সভাপতি আব্দুল মালেক উকিল এমএনএ- এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের অবহিত করেন। এর ভিত্তিতে আব্দুল মালেক উকিল ঐদিন সকাল ১০টায় উপজেলার সার্কিট হাউজে সমবেত সর্বস্তরের জনগণকে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। এরপরই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ। ২৬ ও ২৭শে মার্চ মাইজদী পুলিশ লাইনে (বর্তমান পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার) সমবেত হন হাজার-হাজার ছাত্র-জনতা, ছুটিতে আসা ও অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় রাজনীতিবিদদের নেতৃত্বে এখানকার জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে।
যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য মুক্তিবাহিনী গঠন করার লক্ষ্যে নুরুল হক এমএনএ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মাইজদী পুলিশ লাইন থেকে সংগৃহীত অস্ত্র এবং কাঠের ডামি রাইফেল ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল করিম এসব কাজে সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করেন। তাঁদের নির্দেশনাক্রমে জেলা আর্মড সার্ভিসেস বোর্ডের সেক্রেটারি সফিকুর রহমানের স্বাক্ষরে সেনাবাহিনীর প্রাক্তন ও ছুটিতে আসা সদস্যদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে রিপোর্ট করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। মাইজদী পিটিআই ময়দানে প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এছাড়া মাইজদী খাদেমুল ইসলাম স্কুল ময়দান (লইয়ার্স কলোনি), সোনাপুর, কবিরহাট, ওদারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা এ-সকল ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেয়। সুবেদার লুৎফর রহমান এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন আব্দুল মালেক উকিল এমএনএ, শহীদ উদ্দিন এস্কেন্দার এমপিএ, এডভোকেট সাখাওয়াত উল্যাহ এমপিএ, হাজী ইদ্রিছ, আজিজুল হক, অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ, মাহমুদুর রহমান বেলায়েত, মো. মমিন উল্লাহ, ফজলে এলাহী, আলী আহম্মদ চৌধুরী প্রমুখ। নোয়াখালী সদর উপজেলায় লুৎফর বাহিনী – নামে একটি স্থানীয় বাহিনী ছিল। এর প্রধান ছিলেন সুবেদার লুৎফর রহমান।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যাতে সহজে নোয়াখালী সদর উপজেলায় প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য স্বাধীনতাকামী জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধারা প্রাথমিক প্রতিরোধ হিসেবে উপজেলার উত্তরের প্রবেশ পথ বেগমগঞ্জের রমজান বিবির পুল ও পূর্বে হেরাঙ্গীর পুল ভেঙ্গে ফেলেন।
পাকবাহিনী ২৪শে এপ্রিল নোয়াখালী সদর উপজেলার মাইজদীতে প্রবেশ করে এবং পিটিআইতে ক্যাম্প স্থাপন করে। পরবর্তীতে তারা লক্ষ্মীনারায়ণপুর নাহার মঞ্জিল, মাইজদী কোর্ট রেলস্টেশন, রৌশন বাণী সিনেমা হল, দত্তেরহাট, সোনাপুর আবদুর রশীদ কোল্ড স্টোরেজ, মাইজদী ভকেশনাল ট্রেনিং স্কুল, মাইজদী জেনারেল হাসপাতাল (বর্তমানে আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল), খলিফার হাট, উদয় সাধুর হাট (ওদারহাট) ও কবিরহাট হাইস্কুলেও ক্যাম্প স্থাপন করে।
মে মাসের শেষদিকে এখানে পাকবাহিনীর সহযোগী শান্তি কমিটি রাজাকার, আলবদর, আলসামস বাহিনী গঠিত হয়। শান্তি কমিটিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে ননা মিয়া, আবুল কালাম, জয়নাল ও মমিন। ১৫ই জুন পাকবাহিনী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে এক মর্মান্তিক গণহত্যা চালায়। এতে ১২৬ জন নিরীহ গ্রামবাসী নিহত হয়। এ ঘটনা শ্রীপুর গণহত্যা নামে পরিচিত। এদিন তারা প্রায় ৫০০ বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে।
পাকবাহিনী মাইজদী পিটিআই, রৌশন বাণী সিনেমা হল, লক্ষ্মীনারায়ণপুর নাহার মঞ্জিল, মাইজদী কোর্ট রেলস্টেশন, মাইজদী জেনারেল হাসপাতাল, সোনাপুর আবদুর রশীদ কোল্ড স্টোরেজ, খলিফার হাট ও ওদারহাটে নির্যাতনকেন্দ্র ও বন্দিশিবির স্থাপন করে। এসব স্থানে অসংখ্য নিরীহ বাঙালিকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।
নোয়াখালী সদর উপজেলায় দুটি বধ্যভূমি রয়েছে। সেগুলো হলো— মধুপুর বধ্যভূমি, মাইজদী জেনারেল হাসপাতাল বধ্যভূমি। এছাড়া শ্রীপুর সরকারি কবরস্থান গণকবর, শ্রীপুর শ্মশান গণকবর এবং সোনাপুরে গণকবর রয়েছে। নোয়াখালী সদর উপজেলায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম যুদ্ধ হয় ২৪শে এপ্রিল ফেনী পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে। কমান্ডার রফিকের নেতৃত্বে আনসার, পুলিশ, ইপিআর, সেনাসদস্য ও ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে গঠিত একটি দল এখানে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর হামলা চালায়। সল্প সময়ের মধ্যেই দলটি পাকসেনাদের পরাজিত করে। খাজা আহম্মদ এমএনএ দলটিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। এরপরে মুক্তিযোদ্ধারা তিনটি সফল অপারেশন পরিচালনা করেন। সেগুলো হলো- <চরমটুয়া খাদ্যগুদাম রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন নোয়াখালী অপারেশন এবং মাইজদী শহর অপারেশন। চরমটুয়া খাদ্যগুদাম রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন পরিচালিত হয় ৩০শে অক্টোবর হাবিলদার সিরাজ, হাবিলদার মতিন ও হাবিলদার খালেকের নেতৃত্বে। এতে ২৬ জন রাজাকার অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করে এবং পরে তাদের হত্যা করা হয়। ৫ই ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী যৌথভাবে বৃহত্তর নোয়াখালীতে অপারেশন শুরু করলে পাকবাহিনী তাদের ফেনী ও বেগমগঞ্জের ক্যাম্প ছেড়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে এবং রাজাকাররা তাদের বিভিন্ন ক্যাম্প ছেড়ে মাইজদীতে আশ্রয় নেয়। ৭ই ডিসেম্বর মাইজদী শহর অপারেশনে বেশ কয়েকজন রাজাকার নিহত হয় এবং বহু রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। অপরদিকে রাজাকারদের গুলিতে ৪ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়। এ অপারেশনের মধ্য দিয়ে মাইজদী শহর হানাদারমুক্ত হয়। দত্তেরহাট ক্যাম্পে ৮-১০ জন রাজাকার নিহত হয়। ৭ই ডিসেম্বর নোয়াখালী সদর উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
উপজেলার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- সিপাহিআবুল কালাম আজাদ, বীর বিক্রম (পিতা মুকবুল আহম্মদ, বিনোদপুর), আবুল হাসেম, বীর বিক্রম- (পিতা মো. আব্দুল জব্বার, সালেহপুর) ও মুনির আহমেদ, বীর প্রতীক- (পিতা আলী আহমেদ, পশ্চিম নূরপুর)। নোয়াখালী সদর উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- সিপাহি আবুল কালাম আজাদ, বীর বিক্রম (৭ই আগস্ট দিনাজপুরে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ), নৃপেন্দ্র কুমার পাল (পিতা কৃষ্ণ হরণ পাল, হরিনারায়ণপুর), হাফিজ উল্যাহ (পিতা হাসমত উল্যাহ, ফলাহাড়ী), আবদুল করিম (পিতা কাদের মিয়া, ফকিরপুর), গোলাম হায়দার (পিতা জুলফিকার আহম্মেদ, মাইজদী), মুকবুল আহম্মদ (পিতা নুর বক্স পণ্ডিত, শ্রীপুর), সাহাব উদ্দিন ইস্কেন্দার (পিতা এডভোকেট সেকান্দর মিয়া, লক্ষ্মীনারায়ণপুর), তাজুল ইসলাম (পিতা দুলা মিয়া, কাদির হানিফ), হানিফ (পিতা ইদ্রিছ মিয়া, আলীপুর), নুর মোহাম্মদ (পিতা তালেব আলী মিস্ত্রী, উজ্জলপুর), আবদুল কাদের (পিতা এমরাত আলী, সোনাপুর), জোসেফ সোয়ারিকা (পিতা আরনেস্কা সোয়ারিকা, সোনাপুর), মেজবাহ (উজ্জলপুর), আবুল খায়ের (পিতা আবদুর রহমান, সোনাপুর), হুমায়ুন কবির (পিতা নজির মিয়া, সোনাপুর), আমিন উল্যাহ (পিতা আবদুল মান্নান, সোনাপুর), ছেরাজুল হক (পিতা হারিছ মিয়া, সোনাপুর), সিরাজুল ইসলাম (পিতা নাজির মিয়া, উত্তর লক্ষ্মীপুর), সিরাজুল ইসলাম (পিতা রহমত আলী, সোনাপুর), আবু তাহের (পিতা আবদুল কাদের, শ্রীপুর), ধনঞ্জয় কুমার নাথ (পিতা জগবন্ধু নাথ, পরশুরা), আবদুল হাশিম (পিতা কেরামত আলী, নোয়ান্নই), আবদুল খালেক (পিতা বজলুর রহমান, বাহাদুরপুর), আবদুল মোতালেব (পিতা হাসমত উল্যাহ, শিবপুর), খুরশীদ আলম (পিতা সুজা মিয়া পণ্ডিত, সিরাজ উদ্দিনপুর), আশরাফ উল্যাহ (পিতা হাবিব উল্যাহ, দক্ষিণ নরোত্তমপুর), জাফর উল্যাহ (পিতা মকবুল আহম্মদ, নেয়াজপুর), যোগেশ চন্দ্ৰ নাথ (পিতা নীলমণি নাথ, নেয়াজপুর), মমিন উল্যাহ (পিতা হাজী ফতেহ আলী মিয়া, রামহরিতালুক), শফিক উল্যাহ (পিতা আনসার উল্যাহ, রামহরিতালুক), নুর উদ্দিন আহম্মেদ (পিতা আমান উল্যাহ মিয়া, রামহরিতালুক), মোশারেফ হোসেন (পিতা নুরুল হক, চুলডগী), আজিজুল হক (পিতা মমতাজ মিয়া, শফিপুর), গোলাম রহমান (পিতা লেবু মিয়া, জামালপুর), আলী আহম্মদ মিয়া (পিতা বাদশা মিয়া, দক্ষিণ জগতপুর), অজি উল্যাহ (পিতা নোনামিয়া, নোয়ান্নই), আবু ইউছুফ ছালেহ্ উদ্দিন (পিতা মজিবল হক, উত্তর লক্ষ্মীপুর), আক্কাছ মিয়া (পিতা জালাল আহমেদ, হরিনারায়ণপুর), সুবেদার আবদুল গোফরান (পিতা মজল মিয়া, লক্ষ্মীনারায়ণপুর) এবং ওহিদুর রহমান ওদুদ (পিতা মজিবর রহমান মোক্তার এমএলএ, লইয়ার্স কলোনি)। এছাড়া বেগমগঞ্জ উপজেলার ভুলু নামে একজন মুক্তিযোদ্ধাও এ উপজেলায় যুদ্ধ করে শহীদ হন। তিনি মাইজীতে থাকতেন।
নোয়াখালী সদর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রীপুর গণহত্যায় (১৫ই জুন) শহীদদের স্মরণে ১৯৯৩ সালে নির্মিত হয়েছে ‘অম্লান’ নামে একটি স্মৃতিফলক। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ২০০৭ সালে মাইজদী কোর্ট (জেলা জজকোর্ট) সংলগ্ন প্রধান সড়কের উত্তর পার্শ্বে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। মাইজদী পিটিআই-র প্রধান ফটক সংলগ্ন মাঠে নির্মিত হয়েছে নোয়াখালী ‘মুক্ত স্কয়ার’ ভাস্কর্য। এছাড়া বাঁধের হাটে আবদুল মালেক উকিলের নামে একটি কলেজ (১৯৭৩), উপজেলা সদরের মাইজদীতে শহীদ ভুলুর নামে একটি স্টেডিয়াম এবং মাইজদী কোর্টের উজ্জলপুরে শহীদ মেজবাহর নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ এন্ড লিবারেশন ওয়্যার স্টাডিজ নামে একটি বিভাগ চালু করা হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের ওপর একাধিক ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে। [মো. ফখরুল ইসলাম]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড