বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অভিনেত্রী নার্গিস জাহাঙ্গীর রাবাদ শাম্মি
নার্গিস জাহাঙ্গীর রাবাদ শাম্মি ভারতের অভিনেত্রী। তিনি ১৯৩১ সালে মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের পারিবারিক বন্ধুর সহযোগিতায় অভিনেতা ও প্রযোজক শেখ মুখতারের চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয়ের সুযোগ হয়। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি তাঁর প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র উস্তাদ পেড্রো-তে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। তারা হরিশ পরিচালিত আরেকটি চলচ্চিত্র মালহার-এ। তিনি প্রধান নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি প্রায় দুশতাধিক হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সহ-অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ইলযাম (১৯৫৪), (১৯৫৫), (১৯৫৬), তিলক (১৯৫৮), খাজাঞ্চি (১৯৫৮) ইত্যাদি। ১৯৬২-৭০ সাল পর্যন্ত হাস্যরসাত্মক ও নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেও তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তেমনই কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো ইশারা, জব জব ফুল খিলে, আমনে সামনে, উপকার, ইত্তেফাক, ডোলি ইত্যাদি। এছাড়া তিনি টেলিভিশনের জনপ্রিয় বিভিন্ন সিরিয়ালে অভিনয় করেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দেখ ভাই দেখ, শ্রীমান শ্রীমতী, ফিল্মি চক্কর ইত্যাদি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি নিয়মিত অভিনয় করেছেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে নার্গিস জাহাঙ্গীর রাবাদ শাম্মি দুর্গত শরণার্থীদের পক্ষে জনমত গঠন এবং তাদের আর্থিক ও মানবিক সাহায্য প্রদানের জন্য সভা-সমিতি ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ও তাতে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৫ই ডিসেম্বর ২০১২ নার্গিস জাহাঙ্গীর রাবাদ শাম্মি-কে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করা হয়। [কাজী সাজ্জাদ আলী জহির]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড