নাচোল থানা যুদ্ধ (নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ)
নাচোল থানা যুদ্ধ (নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংঘটিত হয় ২৮শে এপ্রিল। এতে ৩ জন বাঙালি পুলিশ সদস্য নিহত হন। এরপর পাকসেনারা থানা ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে।
ঘটনার দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পাকবাহিনীর একটি দল ট্রেনে নাচোল যায়। এ-সময় পিডিপি নেতা মো. মমতাজ আলি তাদের সঙ্গে ছিল। স্টেশনে নেমেই পাকসেনারা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে চারদিকে পালাতে থাকে। পাকিস্তানি সেনারা এক সময় থানা আক্রমণ করলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তার জবাব দেন। এতে ৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন। তাঁরা হলেন- আব্দুল মালেক (পাবনা), মো. মেছের আলি (পাবনা) এবং মো. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ)। এরপর পাকসেনারা থানায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে থানার একাংশ পুড়ে যায়। আশপাশের কয়েকটি বাড়িতেও তারা আগুন দেয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. মো. আ. নাজেস আলির বাড়িটি তারা পুড়িয়ে দেয়। পরে ঘাতকবাহিনী আরো বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন দিয়ে পার্শ্ববর্তী মুরাদপুর গ্রামে যায়। মুরাদপুরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পর তারা লক্ষ্মণপুর যায়। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আগুন দেয়। এসব নৃশংসতার পর তারা নাচোল ছেড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফিরে যায়। [মো. মেহেদি হাসান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড