You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.10.30 | নয়াপাড়া যুদ্ধ (মির্জাপুর, টাঙ্গাইল) - সংগ্রামের নোটবুক

নয়াপাড়া যুদ্ধ (মির্জাপুর, টাঙ্গাইল)

নয়াপাড়া যুদ্ধ (মির্জাপুর, টাঙ্গাইল) সংঘটিত হয় ৩০শে অক্টোবর। এতে পাকবাহিনীর ক্যাপ্টেন আইয়ুব নিহত এবং অপর একজন গুরুতর আহত হয়। অপরপক্ষে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। হানাদারদের আক্রমণে টিকতে না পেরে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটলে পাকবাহিনী আশপাশের ১০- ১২টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং পার্শ্ববর্তী গাইরাবেতিল গ্রামে ঢুকে ৮ জনকে হত্যা করে।
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের গহীন অরণ্যে নয়াপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বিএসসির বাড়িটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প। ৩০শে অক্টোবর প্লাটুন কমান্ডার আব্দুর রশিদ এবং মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা ঐ বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এ সংবাদ রাজাকারদের মাধ্যমে পাথরঘাটায় স্থাপিত হানাদার ক্যাম্পে পৌঁছার পর সকাল ১০টার দিকে হানাদার বাহিনীর একটি গ্রুপ পাথরঘাটা থেকে এসে ঐ বাড়িতে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা আক্রমণ করেন। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এ-যুদ্ধে পাকবাহিনীর ক্যাপ্টেন আইয়ুব নিহত হয় এবং অপর একজন গুরুতর আহত হয়। এই সম্মুখ যুদ্ধে মোশারফ হোসেন (পিতা এসএম মফিজ উদ্দিন, গোহাইলবাড়ী, সখিপুর, টাঙ্গাইল), আহাম্মেদ আলী (পিতা বক্তার আলী, কাশিল, বাসাইল, টাঙ্গাইল) এবং আব্দুর রশিদ নামে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। হানাদারদের আক্রমণে টিকতে না পেরে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটলে পাকবাহিনী ঐ বাড়িসহ আশপাশের ১০-১২টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং পার্শ্ববর্তী গাইরাবেতিল গ্রামে গণহত্যা চালিয়ে আব্দুস সালাম, ঠাণ্ডু মিয়া, পণ্ডিত আলী, ইমান আলী, কাচ্ছেদ মিয়া, আব্দুল মালেক, মফিজ উদ্দিন এবং আব্দুল কাদেরকে গুলি করে হত্যা করে।শফিউদ্দিন তালুকদার]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড