মুক্তিযুদ্ধে ধামরাই উপজেলা (ঢাকা)
ধামরাই উপজেলা (ঢাকা) ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। ১৯১৪ সালে ধামরাই থানা এবং ১৯৮৫ সালে উপজেলা গঠিত হয়। ধামরাই একটি রাজনীতি-সচেতন এলাকা। ঢাকা থেকে স্বল্প দূরত্বের কারণে রাজধানীর রাজনৈতিক প্রভাব খুব সহজেই ধামরাইয়ে পড়ত। গত শতাব্দীর পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যেসব আন্দোলন হয়, তাতে ধামরাইয়ের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর মুক্তির জন্য ধামরাইয়ে ব্যাপক গণআন্দোলন হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ধামরাই থেকে খন্দকার নূরুল ইসলাম এমএনএ এবং জামাল উদ্দিন চৌধুরী এমপিএ নির্বাচিত হন।
ধামরাইয়ের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ- শুনতে ঢাকায় আসেন। ঢাকা থেকে ফিরে রাত ২টার দিকে বাইশাকান্দা ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামের আবদুস সামাদের নেতৃত্বে তারা সভা করেন। এ সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, তারা মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার পর ধামরাইয়ের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মুক্তিযুদ্ধের জন্য ছাত্র-যুবকদের সংগঠিত করতে থাকেন। ধামরাইয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্ৰধান সংগঠকদের মধ্যে ছিলেন এডভোকেট খন্দকার নূরুল ইসলাম এমএনএ, জামাল উদ্দিন চৌধুরী এমপিএ, নূরুজ্জামান, সাফায়েত উল্লাহ, বেনজীর আহমেদ, এম এ মালেক, শাহজাহান খান, তৈয়ব উদ্দিন খান, তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রশিক্ষণের জন্য ধামরাই থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতে যাওয়া শুরু করেন। ধামরাই থানার মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন যথাক্রমে বেনজীর আহমদ ও মোখলেছুর রহমান। মুজিব বাহিনীর থানা কমান্ডার ছিলেন কে এম বজলুর রহমান। এ বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন শরিফুল ইসলাম।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মাঝে বংশী নদী ধামরাই-সাভারের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য আঞ্চলিক কমান্ডার ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরীর নেতৃত্বে স্থানীয় যুবকদের সাহায্যে বংশী নদীর ফেরি পূর্বপাড় খেকে পশ্চিম পাড়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়। নদীর পশ্চিম পাড়ে মুক্তিযোদ্ধারা বাংকার স্থাপন করে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নেন। পাকবাহিনী যাতে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ধামরাইয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তাঁরা সর্বপ্রকার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের এসব প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পাকবাহিনী ধামরাইয়ে অনুপ্রবেশ করে।
তারা বংশী নদী অতিক্রম করে ধামরাইয়ে আসে এবং হার্ডিঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্যাম্প স্থাপন করে। থানার অন্যান্য স্থানে রাজাকারদের ক্যাম্প ছিল।
ধামরাই থানার কুশুরা ইউনিয়নের ডালিপাড়া গ্রামের আকরাম খান ছিল ধামরাই থানা শান্তি কমিটির প্রধান। থানার উল্লেখযোগ্য রাজাকারদের মধ্যে ছিল- জসিম উদ্দিন (চেয়ারম্যান, কুশুরা ইউনিয়ন), নূরু (টোপেরবাড়ী), মজিবর (গোমগ্রাম, যাদবপুর ইউনিয়ন), মহসিন (চাঁদখালি, সানোরা), আব্দুল করিম (বাসনা), আব্দুল জব্বার (ঘোড়াকান্দা), বিল্লাল হোসেন (সুতিপাড়া), ঠান্ডু মিয়া (কুমড়াইল), বছির উদ্দিন (আমতা), মানোয়ার রিফুজি (দক্ষিণপাড়া, ধামরাই পৌরসভা), সিরাজ (মোকামটোলা, ধামরাই পৌরসভা), ইস্রাফিল (ধামরাই পৌরসভা), আউলাদ হোসেন (খাতরা), শাহানউদ্দিন (ছয়বাড়িয়া), আলাল উদ্দিন (কেলিয়া, কুল্লা), গেদু (কুমড়াইল) প্রমুখ।
৯ই এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ধামরাইয়ের বর্তমান পৌর এলাকা থেকে ২০ জন নিরীহ মানুষকে ধরে কালামপুর খালপাড়ে নিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে। কালামপুর গণহত্যা নামে পরিচিত এ ঘটনায় ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে এবং ৬ জন আহত হন। পাকহানাদার বাহিনী ধামরাই বাজারে অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ করে। ১৮ই এপ্রিল তারা ধামরাই বাজারে অবস্থিত রথটি পুড়িয়ে দেয়। রাজাকার আলবদরদের সহায়তায় পাকবাহিনী গাংগুটিয়ার আমতা গ্রামে গণহত্যা চালায়, যা আমতা গণহত্যা নামে পরিচিত গাংগুটিয়ার জমিদার বাড়িতে তারা লুণ্ঠন ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। পাকবাহিনী মলয়ঘাটের কুঞ্জুরাণী ও সালমা বেগমকে ধরে নিয়ে তাদের ওপর নির্যাতন চালায়। তারা ধামরাই বাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করে। ২৯শে সেপ্টেম্বর রোয়াইল বাজারে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের পরদিন সকালে সিংগাইর থেকে ২টি বড় নৌকায় একদল পাকিস্তানি সৈন্য রোয়াইল বাজার ও তার চারপাশের বাড়িঘরে আক্রমণ চালায়। তারা বাজারের উত্তর পাশের সোবল চন্দ্র সাহার বাড়ি ও বাজারসহ দক্ষিণ পাড়া পর্যন্ত প্রায় দেড়শত ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। তারা সাধারণ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ করে। হানাদার পাকসেনাদের গুলিতে অনিল চন্দ্র সাহা, শিরুপদ চক্রবর্তী ও পরেশ রাজবংশী এ তিনজন গ্রামবাসী প্রাণ হারায়। হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদার বাহিনীর ওপর হামলা করার জন্য সূয়াপুর থেকে রোয়াইল আসেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা পৌঁছানোর পূর্বেই পাকসেনারা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকবাহিনী আছমিমূরে মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে বংশী নদী পার হতে না পেরে কুশুরা বাজারের দিকে অগ্রসর হয়। এ-সময় তারা চতুর্দিকে সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। কুশুরা গণহত্যা নামে পরিচিত এ ঘটনায় ১৫০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়। এদিন পাকবাহিনী অনেক ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। হানাদার বাহিনী ধামরাই থানা চত্বরকে নির্যাতনকেন্দ্র ও বন্দিশিবির হিসেবে ব্যবহার করত। হার্ডিঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পে পাকবাহিনীর নির্যাতনকেন্দ্র ছিল। কালামপুর গ্রামে কালামপুর গণহত্যায় নিহতদের গণকবর রয়েছে।
২৯শে সেপ্টেম্বর রোয়াইল বাজারে পাকবাহিনী ও রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। বাজারের পাশে বকসী বাড়িতে একদল মুক্তিযোদ্ধা গোপন আশ্রয়ে ছিলেন। স্থানীয় রাজাকারদের মাধ্যমে পাকবাহিনী এ সংবাদ পেয়ে এদিন রাতে রাজাকারদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর আক্রমণ করে। এ আক্রমণে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পাকবাহিনী ও রাজাকাররা সাধারণ মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচার চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনী ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে পাল্টা-আক্রমণ করেন। ১টি এলএমজি, ২টি এসএলআর এবং কয়েকটি থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল নিয়ে ৮- ৯ জন মুক্তিযোদ্ধা একযোগে আক্রমণ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণের মুখে তারা পালিয়ে যায়।
১৪ই নভেম্বর ধামরাইয়ের পশ্চিমে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ভাইয়াডুবি ব্রিজ ধ্বংস করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা একটি অপারেশন পরিচালনা করেন। এতে বিভিন্ন দলে ৫০-৬০ মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন। রেজাউল করিম মানিক ও নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু এ অপারেশনে নেতৃত্ব দেন। এ এলাকায় পাকবাহিনীর যাতায়াত বিঘ্নিত করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন ছিল। তৌফিকুর রহমান, ইপিআর-এর আশরাফ, চেংগিস, এমদাদ, শাহজাহান সিরাজ, মোয়াজ্জেম হোসেন খান (মোতালিব), ইপিআর-এর নানা, সাহেব আলী, সাবেদ আলী মুন্সী, মিজানুর রহমান হযরত, সাদেকুর রহমান হিরু। প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা এতে অংশ নেন। রাইফেল, মেশিনগান, এসএলআর, শর্টগান এবং প্রচুর বিস্ফোরক নিয়ে তাঁরা। ব্রিজে অপারেশন করেন। গভীর রাতে ব্রিজের কাছে মুক্তিযোদ্ধারা যাওয়ার পর পাহারারত রাজাকাররা পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা যখন ব্রিজে বিস্ফোরক স্থাপনের কাজ। করছিলেন, তখন দুটি গাড়ি নিয়ে একদল পাকসেনা এসে। মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর আক্রমণ করে। পাকসেনাদের গুলির। মুখে মুক্তিযোদ্ধারা ব্রিজের নিচের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।। নাসির উদ্দিন বাচ্চুসহ কয়েকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। শত্রুপক্ষের গাড়ির দিকে গুলি ছোড়েন। পাকসেনারা নিচের। দিকে গুলি ছুড়তে-ছুড়তে ব্রিজ অতিক্রম করে। ব্রিজের পূর্বদিকে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধারা গাড়ির গতিরোধ করার জন্য গুলি ছোঁড়েন। গুলির মধ্যে পড়ে গাড়ির হেডলাইট বন্ধ করে পাকসেনারা পূর্বদিকে পালিয়ে যায়। এখানে পাকসেনাদের গুলিতে মুক্তিযোদ্ধাদের দলনেতা রেজাউল করিম মানিক শহীদ হন।
টাঙ্গাইলে কাদেরীয়া বাহিনী এবং এম এ বাতেনের। নেতৃত্বাধীন মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পাকবাহিনী অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ঢাকার দিকে পালাতে থাকে। ভয়ে তারা মূল পথ ছেড়ে মেঠো পথে আমছিমূর পর্যন্ত এলে মুক্তিবাহিনী থানা হেডকোয়ার্টার্স কুশুরা থেকে কমান্ডার বেনজীর আহমেদ (বর্তমানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও এমপি)-এর নেতৃত্বে তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে পাকসেনাদের আক্রমণ করে। একটি দল নদীর পশ্চিম তীরে শ্মশানের কাছে, একটি দল পাড়াগাঁয়ের কাছে এবং অন্য দল আমছিমূরে অবস্থান নিয়ে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র যুদ্ধ করে। এ-যুদ্ধে এম এ মালেক (পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এমপি)-সহ অন্য মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করেন। পানকাত্তা থেকে বংশী নদী পার হতে না পেরে পাকবাহিনী কুশুরা বাজারের দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। তারা অনেক ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ করলে এখানে সারাদিন দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়। পাকবাহিনী যুদ্ধ করতে-করতে মহিষাশী হয়ে কালামপুরের দিকে অগ্রসর হয়। নবীনগরে মিত্রবাহিনী পৌঁছার পর এখানে পাকবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। কুশুরার এ-যুদ্ধে ৩ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। এ-যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আবুল, মেছের ও ওয়াহেদ শহীদ এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। ১৩ই ডিসেম্বর ধামরাই উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
ধামরাই উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন— মেছের আলী (পিতা মহিউদ্দিন, বৈন্যা, টোপেরবাড়ি), আবুল হোসেন (পিতা বরকত উল্লাহ, খরারচর, রোয়াইল ইউনিয়ন), নায়েক ফজল হক (পিতা জালাল উদ্দিন, রৌহা, সূয়াপুর), আব্দুস সবুর (পিতা মাহমুদ খান, ধুলট, চৌহাট), ওয়াহেদ আলী (পিতা হায়েত আলী, বাউটিয়া, বেরশ), চান মিয়া (পিতা কিয়ামুদ্দিন, বাথুলী, সাহাবেলিশ্বর), আনোয়ার কবীর (পিতা জিল্লুর রহমান, রাজাপুর, রাজাপুর), শহিদুর রহমান (পিতা সিরাজুল ইসলাম, রাজাপুর) এবং রেজাউল করিম মানিক (মূল বাড়ি রংপুর, থাকতেন ঢাকায়)।
ধামরাইর কালামপুর বাজারে হানাদার বাহিনীর গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে। এছাড়া, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন ভবন মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। ১নং ভবনের নাম শহীদ মুন্নাফ ভবন, ৪নং ভবনের নাম শহীদ চাঁন মিয়া ভবন, ৫নং ভবনের নাম মো. ওয়াহেদ ভবন এবং ৬নং ভবনের নাম ফজলু ভবন। সুতিপাড়া ইউনিয়নের সূয়াপুরে মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মৃতিফলক স্থাপিত হয়েছে। হার্ডিঞ্জ স্কুল থেকে ইসলামপুর পর্যন্ত রাস্তাটির নাম দেয়া হয়েছে শহীদ হাসমত হোসেন হাসি সড়ক। [এ এস এম সিরাজুল হক]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড