You dont have javascript enabled! Please enable it! ধামগড় অপারেশন (নারায়ণগঞ্জ) - সংগ্রামের নোটবুক

ধামগড় অপারেশন (নারায়ণগঞ্জ)

ধামগড় অপারেশন (নারায়ণগঞ্জ) পরিচালিত হয় সেপ্টেম্বর মাসের শেষদিকে। ঘটনার দিন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আদমজীনগরের আদমজী জুট মিলস-এ অবস্থানরত পাকসেনারা স্থানীয় রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের বকুল দাসের বাগ, কুড়িপাড়া, চাপাতলী, কুতুবপুরের কিছু অংশ, ফুলহর ও কোচেরচড়া গ্রামে অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা এসব এলাকার ঘরবাড়িতে আগুন দেয়। সে আগুনে তিনজন নিরীহ লোকের করুণ মৃত্যু ঘটে। পাকসেনারা তিনজন গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। তাদের এ নৃশংসতার খবর পেয়ে বন্দরের গ্রুপ কমান্ডার মো. নজরুল ইসলাম (ধামগড় ইউনিয়ন)-এর নেতৃত্বে ধামগড়, মদনপুর ও মুছাপুরের মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে হানাদারদের প্রতিরোধ করার জন্য এগিয়ে আসেন। কমান্ডার নজরুল ইসলাম, গোকুল দাস বাগের ওসমান গণি ভূঁইয়া, মো. আব্দুল লতিফ, শহীদুল্লাহ, আলী আহমদ চৌধুরী, মদনপুরের আব্দুস সালাম, দেওয়ানবাগের খন্দকার শফি, মুরাদপুরের সাইফুদ্দিন ভূঁইয়া, হরিপুরের আব্দুল আজীজসহ ৩৫ থেকে ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা এ অপারেশনে অংশ নেন। উভয় পক্ষে গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে ধামগড় ইউনিয়নের কোচেরচড়া নামক স্থানে পাকসেনাদের গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজীজ শহীদ হন। মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পাকসেনারা তাদের আদমজী জুট মিলস ক্যাম্পে ফিরে যায়। [রীতা ভৌমিক]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৫ম খণ্ড