বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভুটানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সমাজসেবী দাশো কৰ্মা দর্জি
দাশো কৰ্মা দর্জি ভুটানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সমাজসেবী। তিনি দীর্ঘ প্রায় ৩৪ বছর ভুটান সিভিল সার্ভিসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। পর্যটন বিভাগ ও বন বিভাগের পরিচালক, প্রধান বন বিশেষজ্ঞ, উন্নয়ন মন্ত্রী, পরিকল্পনা কমিশনের সচিব, জাতীয় সম্পদ বিভাগের মহাপরিচালক এবং থাইল্যান্ডে ভুটানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮২-৯১ ও ১৯৯৮-২০০২ সাল পর্যন্ত রয়েল সিভিল সার্ভিস কমিশনের রয়েল চার্টারের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে দার্জিলিংয়ের সেন্ট জোসেফ কলেজের ছাত্র দাশো কৰ্মা দর্জি ‘কারিতাস’-এর পৃষ্ঠপোষকতায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম দিনাজপুরের বাংলাদেশী শরণার্থী শিবির-সমূহে কাজ করেন। তিনি ও তাঁর সহযোগীরা শরণার্থীদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা ছাড়াও অসুস্থ শরণার্থী ও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করার ব্যাপারে প্যারামেডিক টিমকে সহায়তা করেন। খোলা মাঠে শিশুদের জন্য একটি বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করা হয় তাঁকে। তিনি বাংলাদেশী শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের নিমিত্তে যানবাহন সংগ্রহ করার বিষয়ে সহায়তা করেন এবং শরণার্থীদের শেষ দলের সঙ্গে বাংলাদেশের দিনাজপুর পর্যন্ত আসেন।
মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১২ সালের ১৫ই ডিসেম্বর দাশো কর্মা দর্জি-কে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করা হয়। [কাজী সাজ্জাদ আলী জহির]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড