তারানগর-বাউলুপাড়া যুদ্ধ (আত্রাই, নওগাঁ)
তারানগর-বাউলুপাড়া যুদ্ধ (আত্রাই, নওগাঁ) সংঘটিত হয় ২০শে সেপ্টেম্বর। এতে প্রায় ১০০ পাকসেনা নিহত হয়। নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পাশাপাশি দুটি গ্রাম তারানগর ও বাউল্লাপাড়া। ২০শে সেপ্টেম্বর বান্দাইখাড়া গণহত্যা শেষে পাকবাহিনী ৯টি নৌকাযোগে ফিরে আসছে – রেকির দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাধ্যমে এ খবর সরল শিকারপুর ক্যাম্পে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধারা জানতে পারেন। খবর পেয়ে স্থানীয়ভাবে ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার -ওহিদুর রহমান-এর গ্রুপ ও ভারত থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকলেছুর রহমান রাজার গ্রুপের ১৫০ জনের মতো মুক্তিযোদ্ধা বান্দাইখাড়া থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার ভাটিতে এসে আত্রাই নদীর দক্ষিণ তীরবর্তী তারানগর এবং উত্তর তীরবর্তী বাউল্লাপাড়া গ্রামে ২০টি বাংকার খনন করে এম্বুশ নেন। গ্রামের লোকজন বাংকার খনন ও খাবার সরবরাহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করে। পাকবাহিনী ফেরার সময় এম্বুশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁদে পড়ে। আয়ত্তের মধ্যে তাদের ৭টি নৌকা পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ শুরু করেন। অতর্কিত এ আক্রমণে পাকবাহিনীর ৭টি নৌকাই নদীতে ডুবে যায়। এম্বুশের বাইরে থাকা দুটি নৌকার পাকসেনা ও রাজাকাররা পাল্টা গুলি ছোড়ে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ-যুদ্ধে প্রায় ১০০ পাকসেনা নিহত হয়। সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় স্থান ত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। [ফরিদুল আলম পিন্টু]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড