বীর বিক্রম তরিক উল্লাহ
তরিক উল্লাহ, বীর বিক্রম (১৯৩১-১৯৭১) হাবিলদার ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৩১ সালে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলাস্থ জমিদারহাট ইউনিয়নের অন্তর্গত শায়েস্তানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাতার নাম জাহান বিবি এবং পিতার নাম আকু আলীI
তরিক উল্লাহ ইপিআর বাহিনীর সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পূর্বে তিনি হাবিলদার পদে নিয়োজিত ছিলেন। ৭১-এর ২৫শে মার্চ কালরাতে এদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ শুরু হলে দেশমাতৃকার টানে ২৬শে মার্চ তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি ৮নং সেক্টরে প্রথমে মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং পরবর্তীতে মেজর এম এ মঞ্জুরের অধীনে যুদ্ধ করেন। সাতক্ষীরার ভোমরা বর্ডার ও যশোরের বেনাপোলসহ বিভিন্ন যুদ্ধে তরিক উল্লাহ সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এসব যুদ্ধে তিনি বহুসংখ্যক পাকিস্তানি সৈন্য হত্যা করতে সক্ষম হন। ২৮শে নভেম্বর ভোমরা বর্ডারে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিক তরিক উল্লহ শহীদ হন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান এবং আত্মোৎসর্গের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ত্যাগ করায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তরিক উল্লাহ-কে ‘বীর বিক্রম’ (মরণোত্তর) উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনি ২ পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রীর নাম আংকুরের নেসা। [হারুন রশীদ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৪র্থ খণ্ড