You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.04.10 | ছড়ারকুল গণহত্যা (হাটহাজারী, চট্টগ্রাম) - সংগ্রামের নোটবুক

ছড়ারকুল গণহত্যা (হাটহাজারী, চট্টগ্রাম)

ছড়ারকুল গণহত্যা (হাটহাজারী, চট্টগ্রাম) সংঘটিত হয় ১০ই এপ্রিল। এতে প্রায় অর্ধশত নিরীহ মানুষ প্রাণ হারায় এবং শতাধিক আহত হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ইপিআর বাহিনীর সুদৃঢ় অবস্থান ও হানাদার বাহিনীর সঙ্গে একের পর এক সম্মুখ যুদ্ধের কারণে ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে। ফলে হানাদার বাহিনী অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ও সাজোয়া যান সহযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ১০ই এপ্রিল সকালের দিকে হানাদারদের এই দল বিশ্ববিদ্যালয় যাবার পথে পতিমধ্যে ফতেয়াবাদের ছড়ারকুল এলাকায় জনতার প্রতিরোধের মুখে পড়ে। হানাদার বাহিনী নৃশংসভাবে জনতার ওপর গুলি বর্ষণ করলে প্রায় অর্ধশত নিরীহ মানুষ প্রাণ হারায় এবং শতাধিক আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ১৭ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন— মোহাম্মদ তফাজ্জল হোসেন (পিতা মতিয়ার রহমান চৌধুরী), রফেয়া খাতুন (স্বামী মকবুল আলী), আনু মিয়া (পিতা মকবুল আলী), রাবেয়া খাতুন (পিতা আনু মিয়া), নাজমা আখতার (পিতা মোহররম আলী), ফাতেমা বেগম (স্বামী হাচি মিয়া), কামাল হোসেন (পিতা জেবল হোসেন), মেহের আলী (পিতা নেজামত আলী), মো. ইউনুচ (পিতা আবদুল গণি), মো. নূরুল হক (পিতা ওমর আলী), বজল আহমদ সারাং (পিতা আবদুল মজিদ চৌধুরী), মঙ্গল চান (পিতা সৈয়দ আলী), মো. ইসমাইল (পিতা কোরবান আলী), চুন্নু মিয়া (পিতা মো. ইসমাইল), সুলতান আহমদ (পিতা রোকন উদ্দিন), নূরুল ইসলাম (পিতা মো. ইব্রাহিম) এবং আহমদ কবির। শহীদদের সকলকে ঐস্থানে মাটিতে গর্ত করে সমাহিত করেছে এলাকাবাসী। [জামাল উদ্দিন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৩য় খণ্ড