কোম্পানীগঞ্জ বেড়িবাঁধ সুইস গেইট যুদ্ধ (কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী)
কোম্পানীগঞ্জ বেড়িবাঁধ সুইস গেইট যুদ্ধ (কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী) সংঘটিত হয় ৪ঠা সেপ্টেম্বর। এতে ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও একজন আহত হন। কোম্পানীগঞ্জ বেঁড়িবাধের ১৬নং সুইস গেইটে একটি রাজাকার- ক্যাম্প ছিল। রাজাকাররা এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি হেকিম আলী আহমদকে হত্যার পর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের এ ক্যাম্প আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের ২টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। এক গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ থানা বিএলএফ কমান্ডার আবদুর রাজ্জাক। তাঁর সহযোদ্ধারা ছিলেন আবু নাসের, কেফায়েত উল্যাহ, আবুল কালাম, ছালেহ আহম্মদ মজুমদার, আবদুর রব বাবু, ফারুক, ইসমাইল, মোস্তফা কামাল ভুলু ও আক্তারুজ্জামান। অন্য গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত এবং তাঁর দলের মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন নিজাম উদ্দিন ফারুক চেয়ারম্যান, আবুল হোসেন, আবুল কালাম, নুরুল হুদা, শহীদ উল্যাহ প্রমুখ। ৩রা সেপ্টেম্বর রাত ১২টার পর খিজির হায়াতের গ্রুপ এসে চরদরবেশে মুজিবল হক কেরানির বাড়িতে অবস্থান নেয়। অপরদিকে আবদুর রাজ্জাকের গ্রুপের অবস্থান ছিল বাংলা বাজারে। রাত ২টার দিকে খিজির হায়াত গ্রুপ রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে স্থান ত্যাগ করে। আবদুর রাজ্জাকের গ্রুপ রাজাকার ক্যাম্প এম্বুশ করার উদ্দেশ্যে বাংলা বাজার থেকে বামনী হয়ে ১৬নং সুইস গেটে যায়। রাজাকাররা পূর্বের আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে এম্বুশ করে। আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বাধীন গ্রুপটি ঐ এম্বুশের কবলে পড়ে। এতে মুক্তিযোদ্ধা ছালেহ আহম্মদ মজুমদার (পিতা আবদুস সালাম মজুমদার; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি-র ছাত্র হিসেবে সাবেক ইকবাল হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন), ফারুক, ইসমাইল, আবদুর রব বাবু, আখতারুজ্জামান ও মোস্তফা কামাল ভুলু শহীদ এবং আবু নাসের মারাত্মকভাবে আহত হন। শহীদদের বেড়িবাঁধের পাশে গণকবর দেয়া হয়। [মো. ফখরুল ইসলাম]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড