কুড়িগ্রাম থানাপাড়া বধ্যভূমি (কুড়িগ্রাম সদর)
কুড়িগ্রাম থানাপাড়া বধ্যভূমি (কুড়িগ্রাম সদর) কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় অবস্থিত। এখানে অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়।
কুড়িগ্রাম শহর ধরলার করাল গ্রাসে বিলীন হলে থানা, আদালত ও প্রশাসন কার্যক্রম সাময়িকভাবে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে সরিয়ে নিতে হয়। ৬০-এর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত পূরাতন শহরের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সঞ্জীব করঞ্জাই-এর বাড়িতে থানার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পরবর্তী সময়ে থানা স্থানান্তরিত হলেও সঞ্জীব বাবুর বাড়িতে পূর্বে থানা থাকার কারণেই পাড়াটির নাম হয় থানাপাড়া। থানার জন্য ব্যবহৃত ঐ বাড়িতে জলের চাহিদা নিবারণের জন্য বড় একটি কুয়া (ইন্দারা) ছিল। থানা অফিসটি স্থানান্তরিত হলেও কুয়াটি বহাল ছিল। থানার জন্য ব্যবহৃত ভবনটির পাশেই ছিল সঞ্জীব করঞ্জাই-এর ব্যবসায়িক বড় গোডাউন ঘর, যেখানে পাকবাহিনীর ক্যাম্প ছিল। ঐ ক্যাম্পে অনেক নিরীহ বাঙালিকে ধরে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়। নিহতদের অনেকের লাশ ঐ কুয়ায় ফেলে দেয়া হয়। কাউকে-কাউকে আবার অত্যাচারের পর হাত-পা বেঁধে জীবন্ত অবস্থায় ঐ কুয়ায় ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে পাকিস্তানি বাহিনী ছাড়াও স্থানীয় স্বাধীনতাবিরোধীদের ভূমিকা ছিল। [এস এম আব্রাহাম লিংকন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড