কালীপুর পালেগ্রাম গণহত্যা (বাঁশখালী, চট্টগ্রাম)
কালীপুর পালেগ্রাম গণহত্যা (বাঁশখালী, চট্টগ্রাম) সংঘটিত হয় ১৯শে মে। এতে ১৩ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
১৯শে মে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর পালেগ্রাম আক্রমণ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই তারা নির্বিচারে গুলি চালায়। এ- সময় তারা কয়েকটি বাড়িঘরে লুণ্ঠন শেষে অগ্নিসংযোগ করে। হানাদার বাহিনীর গুলিবর্ষণে ১৩ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন। তারা হলেন— কালীপুর গ্রামের যোগেন্দ্র চন্দ্ৰ পাল (পিতা দীগম্বর পাল), হীরেন্দ্র চন্দ্র পাল (পিতা রজনী মোহন পাল), চিত্ত রঞ্জন দাশ (পিতা মহেন্দ্র দাশ), পেটান চন্দ্র দে (পিতা বানেশ্বর দে), জগদেন্দু দত্ত (পিতা অমর চন্দ্র দত্ত), সরোজ কান্তি দত্ত (পিতা রেবতী দত্ত), মুহাম্মদ ইলিয়াস (পিতা ইসমাইল), পালেগ্রামের মনোরঞ্জন দাশ (পিতা সুরেন্দ্র দাশ), তারক চন্দ্র দত্ত (পিতা অপর্ণা চরণ দত্ত), মোক্ষদা রঞ্জন দত্ত (পিতা বঙ্গ চন্দ্র দত্ত), ফরহাদ দৌলা মুহম্মদ এজহারুল ইসলাম (পিতা খান সাহেব রফিক আহম্মদ চৌধুরী, বৈলছড়ি), স্বপন দে (পিতা নীরদ চন্দ্র দে, চেচুরিয়া) ও আবদুর রহমান (পিতা আলী চাঁদ মাস্টার, বরইতলী)। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড