You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.09.11 | কালিশুরি যুদ্ধ (বাউফল, পটুয়াখালী) - সংগ্রামের নোটবুক

কালিশুরি যুদ্ধ (বাউফল, পটুয়াখালী)

কালিশুরি যুদ্ধ (বাউফল, পটুয়াখালী) ১১ই সেপ্টেম্বর সংঘটিত হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এ-যুদ্ধে ৫-৬ পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় কমান্ডার গাজী পঞ্চম আলী কালিশুরি বন্দরের নিকট একটি লঞ্চ আক্রমণ করে কয়েক জন পাকিস্তানি সৈন্য ও পুলিশ হত্যা করেন এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র হস্তগত করেন। কমান্ডার গাজী পঞ্চম আলী এবং কমান্ডার আ. বারেক কালিশুরি বন্দরের নিকট ভাতশালা গ্রামে ক্যাম্প স্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। প্রতিশোধ হিসেবে ১১ই সেপ্টেম্বর হানাদার বাহিনীর অর্ধশত সদস্যের একটি দল শশীতলা নদী থেকে ২টি গানবোটে সকাল ১১টার দিকে রাজাকার- ওয়াজেদ সুফী (৫০) ও মোতাহের সুফীর (৪৫) সহায়তায় কালিশুরি বাজারে আসে। প্রথমে তারা বাজার সংলগ্ন সজ্জল বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে কমান্ডার গাজী পঞ্চম আলী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বন্দরের উত্তর দিক থেকে হানাদার পাকবাহিনীকে আক্রমণ করেন। উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে হানাদার বাহিনী কুমারখালী নদীর হোগলা বনে অবস্থান নেয় এবং মেশিনগান ও মর্টার দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালাতে থাকে। দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা যুদ্ধের পর রাজাকার মান্নান দারোগার সহায়তায় হানাদার বাহিনী বাউফল থানায় আশ্রয় গ্রহণ করে। এ-যুদ্ধে ৫-৬ পাকসেনা নিহত হয়। [ইব্রাহীম খলিল]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড