কমরিপোল যুদ্ধ (মিরসরাই, চট্টগ্রাম)
কমরিপোল যুদ্ধ (মিরসরাই, চট্টগ্রাম) জুলাই মাসের শেষদিকে সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে কয়েকজন রাজাকার হতাহত হয়।
মুক্তিযোদ্ধরা গোপন সূত্রে জানতে পারেন যে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আবুরহাট বাজার আক্রমণ করবে। খবর পেয়ে এলাকায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা বাজারে আসার পথে পাকিস্তানি বাহিনীকে এম্বুশ করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আবুরহাটের পূর্বপাশে কমরিপোলের নিকট মুক্তিযোদ্ধারা ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে তিনটি রাস্তায় এম্বুশ করে অবস্থান নেন। দুপুরের দিকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একটি দল গোপীনাথপুর গ্রাম হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এক গ্রুপের অবস্থানের কাছে চলে আসে। সঙ্গে-সঙ্গে আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীকে আক্রমণ করেন। এ গ্রুপে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শফিউজ্জামান, কবির, আনোয়ার, নুরুল ইসলাম, মোস্তফা, বাচ্চুসহ আরো অনেকে। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের অন্য দুটি গ্রুপও গুলিবর্ষণ শুরু করে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড সংঘর্ষ দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। ব্যাপক কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া এ যুদ্ধ শেষ হয়। এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ফয়েজ আহমদ, নুরুল আফসার, শফি, সুবেদার রফিক (একটি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন), কবির আহমদ, কামাল উদ্দিন ইউছুপ ও সাইফুল ইসলামসহ অহিদুল গ্রুপের ৪০-৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা। ফিরে যাওয়ার সময় কামাল গ্রুপের মুক্তিযোদ্ধারা পাকস্তানি হানাদার বাহিনীর সামনে পড়ে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এ যুদ্ধে কয়েকজন রাজাকার হতাহত হয়। পাকিস্তানি বাহিনী সেদিন বিমুমিয়াহাট, আদমপুর বাজার ও বাঁশখালী জেলে পাড়া আগুনে পুড়িয়ে দেয়। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ২য় খণ্ড