দক্ষিণের জনপদ পিরােজপুরে ৭১’র পুরাে নয় মাস এক মূর্তিমান আতংকের নাম ছিল দেউল্যা রাজাকার বা দেলু রাজাকার। যার পুরাে নাম দেলাওয়ার হােসাইন সাঈদী। মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, দেশত্যাগে বাধ্য করা অগ্নিসংযােগ লুটসহ মানবতাবিরােধী সুনির্দিষ্ট অভিযােগের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার আদেশে একাত্তরের এ যুদ্ধাপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। দেলাওয়ার হােসাইন সাঈদী’র জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪০। মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরােজপুরের পাড়ের হাট বন্দরে অবস্থান করেছিলাে। বন্দর লুটের সাথে এলাকার। যেসব রাজাকার জড়িত ছিলাে তাদের অন্যতম ছিলাে সাঈদী। উর্দু জানার সুবাদে পাকিস্তানের সেনাদের সঙ্গেও তার সু-সম্পর্ক ছিল। পিরােজপুর জেলার ইন্দুরকানি থানার বালিয়াপাড়া ইউনিয়নের ইউসুফ আলী। সিকদারের ছেলে দেলোয়ার ওরফে দিউল্লা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের আগ । পর্যন্ত ছিল একজন মুদি দোকানি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে দেলােয়ার হােসেন স্থানীয় রাজাকার হলে স্থানীয় রাজাকার ও তথাকথিত শান্তি কমিটির নেতা দানেশ মােল্লা, মােসলেম মাওলানা, আ. করিম, আজহার তালুকদার ও সিকদারের নৈকট্য লাভে সমর্থ হয় এবং তথাকথিত পাঁচ তহবিল নামে গঠিত কমিটিতে যােগ দেয়। এ কমিটির কাজ ছিল লুটের মালামাল ভাগবাটোয়ারা এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর যােগসাজশে আনা লুটের মাল বণ্টন করা। মুদি দোকানি স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কোথায় কীভাবে ছিল তা কেউ বলতে না পারলেও রাতারাতি সে বনে যায় ধর্ম ব্যবসায়ী। শুরু করে ধর্মের নামে ওয়াজের ক্যাসেট বিক্রি। হঠাৎ করেই এই অপরিচিত লােকটি হয়ে ওঠে রাজনীতিবিদ। বিভিন্ন টাইটেল নিয়ে পিরােজপুরে এসে নষ্ট করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।পাড়ের হাট ইউনিয়নের একজন মুক্তিযােদ্ধা জানান, মুক্তিযুদ্ধের পুরাে সময় তথাকথিত মাওলানা দেয়ােয়ার হােসেন সাঈদী পাকহানাদার বাহিনীর সহযােগিতায় নিজেকে নিয়ােজিত রেখেছিল। সে পবিত্র ইসলামের অজুহাত দেখিয়ে পাড়েরহাট বন্দর এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি লুটের পর তা নিজের মাথায় বহন করত। এই কুখ্যাত রাজাকার সাঈদীর নৃশংসতা, অপকর্ম ও দেশদ্রোহিতার কথা পাড়েরহাটের সাধারণ মানুষ আজও ভুলতে পারেনি। সাঈদীর পরামর্শ পরিকল্পনা ও তৈরি করা তালিকা অনুযায়ী পিরােজপুরের বুদ্ধিজীবী ও ছাত্রদের হত্যা করা হয়।
পাড়েরহাটের আনােয়ার হােসেন আবু মিয়া, নুরুল ইসলাম খান, বেণীমাধব সাহা, বিপদ সাহা, মদন সাহা প্রমুখের বসতবাড়ি, গদিঘর, সম্পত্তি সাঈদী ও তার সহযােগীরাই লুট করে নেয়। তৎকালীন ইপিআরের সুবেদার আবদুল আজিজ, পাড়েরহাট বন্দরের কৃষ্ণকান্ত সাহা, বাণীকান্ত সিকদার, তরণীকান্ত সিকদারসহ আরও অনেককে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয় এই নরঘাতক সাঈদীর নির্দেশে। সাঈদীর লােকজন স্থানীয় হরিসাধু ও বিপদ সাহার মেয়ের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পিরােজপুরের বিখ্যাত তালুকদার বাড়ি লুটপাটও হয় তারই নেতৃত্বে। ৭১-এর ১৬ আগস্ট সাঈদীর নেতৃত্বে গােপাল বণিক নামে এক মুক্তিযােদ্ধাকে ধরে নিয়ে পাকিস্তান সেনাদের হাতে তুলে দেয়া হয় । স্বাধীনতার পর গােপাল বণিকের লাশ কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা। হয় আরও অনেক মুক্তিযােদ্ধার সঙ্গে গােপাল বণিককেও হত্যার পর মরদেহ পার্শ্ববর্তী নদীতে ফেলে দেয়া হয়। পরপর দুদফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে নিজের নামে সাঈদী ফাউন্ডেশন নামক একটি প্রতিষ্ঠানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের টাকায় ১৪টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। জামায়াত শিবিরের ঘাটি হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানগুলাে গড়ে তােলা হয়েছে বলে স্থানীয় সাধারণ মানুষ মনে করছে। ৭১-এ সাঈদীর নৃশংসতার বর্ণনা করতে গিয়ে পিরােজপুরের একজন মুক্তিযােদ্ধা বলেন, তকালীন পিরােজপুর মহকুমার সাবডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) ফয়জুর রহমান আহমেদ ৭১-এর মার্চ থেকেই মুক্তিকামী বাঙালিকে। নানাভাবে সহযােগিতা শুরু করেন।
যার চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে পাকিস্তান হায়েনাদের হাতে তার প্রাণ হারিয়ে শহীদ হওয়া। ৭১-এর ৬ মে পিরােজপুর থানার সামনে থেকে হায়েনারা ফয়জুর রহমান আহমেদকে ধরে বলেশ্বর নদীর পাড়ে বধ্যভূমিতে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারেননি। ওই মুক্তিযােদ্ধা বলেন, ফয়জুর রহমান আহমেদের মতাে অনেকের মৃত্যুর জন্যই দেলাওয়ার হােসাইন সাঈদী ও তার সহযােগীরা দায়ী । ৬ মে ফয়জুর রহমান আহমেদকে প্রকাশ্যে ধরে নিয়ে যাওয়ার একদিন পর ৭ মে সাঈদীর নেতৃত্বে তার সহযােগীরা ফয়জুর রহমান আহমেদের বাসায় চার সঙ্গীকে নিয়ে। লুটপাট চালায়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেক বছর পালিয়ে ছিলাে। ১৯৮০ সালে যােগ দেয় জামায়েতে ইসলামীর রাজনীতিতে। বর্তমানে সে সংগঠনের নায়েবে আমীর।
অপরাধ-১ ১৯৭১ সালের ৪ মে দেলাওয়ার হােসাইন সাঈদীর নেতৃত্বে। পিরােজপুর সদর এলাকার মধ্য মাসিমপুর বাসস্ট্যান্ডের পেছনে ২০ জন নিরস্ত্র বাঙালিকে গুলি করে হত্যা।
অপরাধ-২ ৪ মে সাঈদী ও তার দল পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে মাসিমপুর হিন্দুপাড়ায় লুট করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। মানুষ পালাতে শুরু করলে সাঈদী। ও তার দলের সদস্যরা এলােপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে ১৩ জন শহীদ হন।
অপরাধ-৩ ৪ মে সাঈদী পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে মাসিমপুর হিন্দুপাড়ায় মনীন্দ্রনাথ মিস্ত্রি ও সুরেশ চন্দ্র মণ্ডলের বাড়ি লুট এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
অপরাধ-৪ ৪ মে সাঈদী তার রাজাকার বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে ধােপাবাড়ির সামনে এবং পিরােজপুর সদর পুলিশ স্টেশনের এলজিইডি ভবনের পেছনের হিন্দুপাড়া ঘিরে হত্যা করে দেবেন্দ্রনাথ মণ্ডল, জগেন্দ্রনাথ মণ্ডল, পুলিন বিহারী ও মুকুন্দ বালাকে।
অপরাধ-৫ তৎকালীন পিরােজপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাঈফ মিজানুর রহমান সর্বদলীয় সগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। সাঈদী ও তার সহযােগী শান্তিকমিটির সদস্য মান্নাফ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনাসদস্যকে নিয়ে ৫মে পিরােজপুর হাসপাতাল থেকে তাকে ধরে বলেশ্বর নদের তীরে নিয়ে যায়। একই দিনে পুলিশ। কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ (লেখক হুমায়ূন আহমেদ ও মুহম্মদ জাফর ইকবালের বাবা) এবং ভারপ্রাপ্ত এসডিও আবদুর রাজ্জাককেও কর্মস্থল থেকে ধরা। হয়। সাঈদীর উপস্থিতিতে এ তিন সরকারি কর্মকর্তাতে গুলি করে লাশ বলেশ্বর। নদে ফেলে দেওয়া হয়। অপরাধ-৬ ৭মে সাঈদীর নেতৃত্বে শান্তিকমিটির একটি দল পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে পারেরহাট বাজারের আওয়ামী লীগ, হিন্দু সমপ্রদায় এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের। মানুষের বাড়িঘর ও দোকান চিনিয়ে দেয়। এসব দোকান ও বাড়িতে লুটপাট করা হয়। এ সময় তারা মাখন লাল সাহার দোকান থেকে ২২ সের স্বর্ণ ও রূপা লুট করে।
অপরাধ-৭ ৮ মে বেলা দেড়টার দিকে সাঈদী পাকিস্তানি সেনাদের নেতৃত্ব দিয়ে বাদুরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম খানকে আওয়ামী লীগার ও শহীদুল ইসলামকে মুক্তিযােদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করে এবং পাকিস্তানি সেনাদের হাতে সােপর্দ করে। পরে তাদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
অপরাধ-৮ ৮মে বেলা তিনটার দিকে সাঈদী ও তার দলের সদস্যরা চিথােলিয়া। গ্রামের মানিক পসারির গ্রাম লুট করে। এখানে পাঁচটি ঘরে কেরােসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মানিক পসারির ভাই মফিজুদ্দিন ও ইব্রাহিম কুট্টিকে ধরে সেনা ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় সাঈদীর প্ররােচনায় পাকিস্তানি সেনারা ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা করে। মফিজকে সেনাক্যাম্পে নির্যাতন করা হয় ।
অপরাধ-৯ ২জুন সকাল নয়টার দিকে সাঈদী ও তার সশস্ত্র সহযােগীরা ইন্দুরকানি পুলিশ স্টেশনের নলবুনিয়া গ্রামের আবদুল হালিম বাবুলের বাড়িতে লুটপাট করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। অপরাধ-১০ ২জুন সকাল ১০টার দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে সশস্ত্র দল উমেদপুর গ্রামের হিন্দুপাড়ার ২৫টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাঈদীর ইন্ধনে বিসা বালী নামের একজনকে নারকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয়।
অপরাধ-১১ ২জুন সাঈদী টেংরাখালী গ্রামের মুক্তিযােদ্ধা মাহবুবুল আলম হাওলাদারে বাড়িতে পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে যান। সেখানে তার বড় ভাই আবদুল মজিদ হাওলাদারকে ধরে নির্যাতন করা হয়। এরপর সাঈদী নগদ টাকা লুট ও মূল্যবান জিনিস নিয়ে যান। পরে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অপরাধ-১২ সাঈদীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি সশস্ত্র দল পারেরহাট বাজারের ১৪ জন হিন্দুকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে পাকিস্তানি সেনাদের কাছে নিয়ে যায়। পরে তাদের গুলি করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। অপরাধ-১৩ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার দুই-তিন মাস পর সাঈদীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনারা নলবুনিয়া গ্রামের আজহার আলীর বাড়িতে যায়। সেখানে আজহার আলী ও তার ছেলে সাহেব আলীকে ধরে নির্যাতন করা হয়। সাহেব আলীকে পিরােজপুরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। অপরাধ-১৪ মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি রাজাকার বাহিনী হােগলাবুনিয়ার হিন্দুপাড়ায় যায়। রাজাকারদের আগমন দেখে গ্রামের অধিকাংশ হিন্দু নারী পালিয়ে যান। কিন্তু মধুসূদন ঘরামীর স্ত্রী শেফালী ঘরামী ঘর থেকে বের হতে পারেননি। তখন সাঈদীর নেতৃত্বে রাজাকারেরা তাকে ধর্ষণ করে। এর ফলে স্বাধীনতার পর তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এ নিয়ে গ্রামে বিভিন্ন কথা ওঠায় শেফালী ঘরামী দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হন। পরে এই হিন্দুপাড়ার ঘরে আগুন দেওয়া হয়। অপরাধ-১৫ মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের রাজাকার দল হােগলাবুনিয়া গ্রামের ১০জন হিন্দু নাগরিককে ধরে। পাকিস্তানি সেনারা তাদের সবাইকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। অপরাধ-১৬ সাঈদীর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের রাজাকার দল পারেরহাট বন্দরের গৌরাঙ্গ সাহার বাড়ি থেকে তার তিন বােন মহামায়া, অন্ন রানী ও কমলা রানীকে ধরে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে তিন দিন ধরে ধর্ষণ করে পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় ।
অপরাধ-১৭: সাঈদী ও তার নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা পারেরহাটের বিপদ সাহার মেয়ে ভানু সাহাকে তার বাড়িতে আটকে নিয়মিত ধর্ষণ করে। একসময় ভানু সাহা দেশ ত্যাগে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।
অপরাধ-১৮ ভাগীরথী পাকিস্তানি ক্যাম্পে কাজ করতেন। সাঈদী একদিন খবর দেন, ভাগীরথী মুক্তিযােদ্ধাদের নিয়মিত নানা খবরা-খবর দেন। পাকিস্তানি সেনারা তাকে হত্যা করে লাশ বলেশ্বর নদে ফেলে দেয়। অপরাধ-১৯ সাঈদী প্রভাব খাটিয়ে পারেরহাটসহ অন্য গ্রামের ১০০-১৫০ জন। হিন্দুকে ইসলাম ধর্মে রূপান্তর করে। তাদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে বাধ্য করা হয়। অপরাধ-২০ নভেম্বরের শেষ দিকে সাঈদী খবর পায়, সাধারণ মানুষ ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বে ১০-১২জনের একটি সশস্ত্র দল পরিকল্পিতভাবে ইন্দুরকানি গ্রামের তালুকদার বাড়িতে আক্রমণ চালায়। ৮৫জন ব্যক্তিকে আটক করে তাদের কাছ থেকে মালামাল কেড়ে নেওয়া হয়। ১০-১২ বাদ দিয়ে বাকিদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালে রায় সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা বিশটি অভিযােগের মধ্যে আটটি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ইব্রাহীম কুট্টি ও বিসাবালিকে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ তিনটি, ধর্মান্তরিত করার একটি এবং লুটপাট, অগ্নিসংযােগ নির্যাতনের তিনটি অভিযােগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে দুটি অভিযােগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় অন্য অভিযােগগুলােতে আলাদা করে কোনাে দণ্ড দেওয়া হয়নি।