ইপিআর স্মৃতিসৌধ
ইপিআর স্মৃতিসৌধ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় অবস্থিত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ইপিআর (বর্তমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ – বিজিবি) ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্সের প্রধান প্রবেশ পথে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ইপিআর সদস্যদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এটি নির্মিত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইপিআর ৬নং উইং অবস্থানরত বাঙালি সদস্যদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এ ইপিআর ক্যাম্পে প্রথম পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। ২রা মার্চ থেকে বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে সমস্ত দেশপ্রেমিক বাঙালি ইপিআর সদস্য শহীদ হন, তাঁদের স্মৃতি অমর করে রাখার জন্য স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়েছে দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ১৫ × ১২ ফুট জায়গা জুড়ে সৌধটি নির্মিত । এতে ১৩ ফুট ১৫ ইঞ্চি প্রশস্ত ও ১৮ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ৩টি স্তম্ভ রয়েছে মাঝের স্তম্ভটি সাদা রঙের, অন্য দুটি স্তম্ভের ডানেরটি লাল এবং বামেরটি কালো রঙের। মাঝের স্তম্ভে বড় এক মর্মর পাথরে শহীদ ইপিআর সদস্যদের নাম ও পদবি লেখা রয়েছে। যে মঞ্চের ওপর স্তম্ভ তিনটি রয়েছে সেটি সম্পূর্ণ লাল রঙের। সিঁড়ির রঙও লাল।
এ সৌধে যেসব শহীদের নাম উৎকীর্ণ রয়েছে, তাঁরা হলেন সুবেদার আবদুস সামাদ চৌধুরী, সুবেদার হাসমত উল্লাহ, নায়েক সুবেদার আজিজুল হক, হাবিলদার শামসুল হক, হাবিলদার বাদশাহ মিয়া, হাবিলদার আবদুর রশিদ, হাবিলদার এমদাদুল হক, হাবিলদার আবুল হোসেন, হাবিলদার কামরুজ্জামান, নায়েক আবুল কাশেম, নায়েক মোজাফফর আহম্মদ, নায়েক আবদুল মালেক, নায়েক শফিউল্লাহ চৌধুরী, নায়েক আবদুল কাদের, নায়েক নূর মোহাম্মদ, নায়েক জয়নাল আবেদীন, নায়েক আহম্মদ হোসেন, ল্যান্স নায়েক এরশাদ আলী ( সৈনিক নম্বর ৪৪৮৪), ল্যান্স নায়েক এরশাদ আলী (সৈনিক নম্বর ৫০২৫), ল্যান্স নায়েক আবদুল গফুর, ল্যান্স নায়েক নিজাম উদ্দিন, সিপাহি ওসমান গনি, সেপাই আলী, সিপাহি আফতাব উদ্দিন আহম্মদ, সিপাহি আবদুল জব্বার, সিপাহি সাইদুর রহমান, সিপাহি আবদুল গনি, সিপাহি আবদুল আজিজ, সিপাহি আলাউদ্দিন, সিপাহি মতিউর রহমান, সিপাহি আবদুর রহমান, সিপাহি ফজলুল হক, সিপাহি আরমান, সিপাহি ইসমাইল খান, সিপাহি রমজান আলী, সিপাহি সেকান্দার আলী, সিপাহি দরবেশ আলী, সিপাহি মোহরম হোসাইন এবং সিপাহি গোলাম মোস্তফা। [মাযহারুল ইসলাম তরু]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড