You dont have javascript enabled! Please enable it! মুক্তিযুদ্ধে আশাশুনি উপজেলা (সাতক্ষীরা) - সংগ্রামের নোটবুক

মুক্তিযুদ্ধে আশাশুনি উপজেলা

আশাশুনি উপজেলা (সাতক্ষীরা) পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর দীর্ঘদিনের অবহেলা, বঞ্চনা ও অমানবিক আচরণ বাঙালিদের বিক্ষুব্ধ করে তােলে। তাই এসব থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে তারা ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সর্বাত্মক সমর্থন জানায়। ফলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। পাইকগাছা-আশাশুনি নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ গফুর বিপুল ভােটে জয়লাভ করে এমএনএ নির্বাচিত হন। দেশের অন্যান্য স্থানের মতাে আশাশুনির লােকজনও নতুন আশায় বুক বাঁধে। তারা আশা করে এবার তাদের বঞ্চনার অবসান ঘটবে। কিন্তু ১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘােষণার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে। এতে তাদের আশাভঙ্গ হয়। ৩রা মার্চ সাতক্ষীরা
সদরে পাকিস্তানপন্থীদের গুলিতে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক মুক্তিপাগল কিশােরের নিহত হওয়ার ঘটনা পরিস্থিতিকে উত্তাল করে তােলে। এমনি অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ থেকে তারা স্পষ্ট বুঝে নেয় যে, পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না; সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তা অর্জন করতে হবে। তাই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ অনুযায়ী শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে আশাশুনির বাসিন্দা সাতক্ষীরা কলেজের ছাত্র মাে. আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে গঠিত হয় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। এতে আরাে নেতৃত্ব দেন স ম বাবর আলী, মাে. রফিকুল ইসলাম ও মাে. কামাল উদ্দিন। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে চাকরিরত যেসব সৈনিক, মুজাহিদ ও আনসার সদস্য ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন, তাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে যােগ দেন। আশাশুনি হাইস্কুল মাঠে তাঁরা বাঁশের লাঠি দিয়ে ছাত্র-যুবকদের মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। প্রশিক্ষণশেষে তারা তাদের নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে মহড়া দেওয়ান কিভাবে পাকিস্তানি সেনারা এলে তাদের প্রতিরােধ ও আত্মরক্ষা করতে হবে। নদীতীরে মহড়া দেয়ার কারণ নদীপথ ব্যতীত আশাশুনিতে প্রবেশের অন্য কোনাে পথ ছিল এবং তাঁদের ধারণা ছিল পাকবাহিনী এলে নদীপথেই আসবে। অনেকে সড়কি, মাছ ধরার কোচ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র সংগ্রহ করতে থাকে শত্রুকে মােকাবেলা করার জন্য।
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় প্রশাসনকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আনার উদ্দেশ্যে থানার ওসি ইদ্রিস মিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি অবাঙালি হলেও ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা পােষণ করেন। এম এ গফুর এমএনএ আশাশুনিতে এলে ছাত্রনেতৃবৃন্দের অনুরােধে তিনি প্রশিক্ষণের জন্য থানা থেকে কিছু বন্দুকের ব্যবস্থা করে দেন। তবে থানার ওসি-র শর্ত ছিল দুপুরের মধ্যে বন্দুকগুলাে আবার থানায় জমা দিতে হবে। থানাধীন এলাকায় যাদের বন্দুক ছিল তিনি তাদের নামের একটি তালিকাও ছাত্রদের দেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি ভাঙ্গা-ভাঙ্গা বাংলায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রদের উৎসাহিত করেন। এভাবে বাঁশের লাঠির পরিবর্তে ছাত্রযুবকরা বন্দুক দিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে থাকে। থানায় কর্মরত বাঙালি পুলিশ সদস্য আব্দুস সােবহানও তাদের প্রশিক্ষণ দেন। তার পরামর্শে নদীর পাড়ে কয়েকটি ট্রেঞ্চ খোঁড়া হয়।
আশাশুনি ও পাইকগাছা দুই থানা মিলে এক নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় এখানে মুক্তিযুদ্ধও দুই থানার সম্মিলিত উদ্যোগে শুরু হয়। পাইকগাছার সন্তান এবং বি এল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি স ম বাবর আলী স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ খুলনা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ২৫শে মার্চের বিভীষিকার পর তিনি নিজ এলাকা পাইকগাছায় চলে আসেন। অপর ছাত্রনেতা রহমতুল্লাহ (দাদু) খুলনার শেখ পাড়ার বাসিন্দা হলেও মুক্তিযুদ্ধে যােগ দেয়ার জন্য পৈতৃক নিবাস পাইকগাছায় চলে আসেন। এ সময় তাঁর যােগাযােগ হয় এম এ গফুর এমএনএ, ছাত্রনেতা এস এম নবাব আলী, গাজী রফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, শাহজাহান মাস্টার, স ম সালাহউদ্দিন, আব্দুল মুজিদ প্রমুখের সঙ্গে। এঁদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুক্তিযােদ্ধাদের একটি সুদৃঢ় দল গড়ে ওঠে; বিভিন্ন গ্রামে স্থাপিত হয় মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প। স্বাধীনতকামী তরুণদের সংগঠিত ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করার দায়িত্ব পালন করেন লেফটেন্যান্ট আরেফিন। তিনি দক্ষিণ খুলনার মুক্তিবাহিনীর প্রতিটি ক্যাম্পে গিয়ে মুক্তিযােদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ ও প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন। সেপ্টেম্বর মাসে মুজিব বাহিনীর খুলনা জেলা-প্রধান হিসেবে শেখ কামরুজ্জামান টুকু এ অঞ্চলে এসে প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন। এর পূর্ব-পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। স ম বাবর আলী। এঁরা সকলে আশাশুনি ও পাইকগাছায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন।
২৫শে মার্চ ঢাকা ও ২৭শে মার্চ খুলনা শহর যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে, হাজার-হাজার নিরস্ত্র বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করা হয়ছে, তার খবর আকাশবাণী-র মাধ্যমে আশাশুনির লােকজন জানতে পারে। বাঙালি পুলিশ ও ইপিআর-এর সৈনিকরা পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরােধ গড়ে তুলতে পেরেছিলেন, সে খবরও আসে। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা গর্জে ওঠেন। দলে-দলে ছাত্র-জনতা এসে সমবেত হতে থাকে হাইস্কুলের মাঠে। স্লোগান চলতে থাকে, বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধরাে, বাংলাদেশ স্বাধীন করাে’। পাকিস্তানি বাহিনী যদি আক্রমণ করে তাহলে কীভাবে তাদের প্রতিরােধ করা যাবে সে আলােচনাও চলে। তখন জেলা বা মহকুমা সদরের সঙ্গে যােগাযােগ করা যাচ্ছিল না। তবে মুক্তি সংগ্রাম দুর্বার গতিতে সংগঠিত হতে থাকে। জনতা মুক্তি সংগ্রামীদের ‘জয় বাংলা বাহিনী বলে অভিহিত করে। এভাবে প্রাথমিক প্রতিরােধের একটি কাঠামাে দাঁড় হয়।
জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকবাহিনী তিনটি গানবােট নিয়ে খুলনা থেকে আশাশুনি থানায় আসে। গানবােটের শব্দ শুনে মুক্তিযােদ্ধারা পজিশন নেন এবং গানবােট নাগালের মধ্যে আসামাত্রই আক্রমণ শুরু করেন। প্রতিরােধের সম্মুখীন হয়ে পাকবাহিনী ত্রিমােহিনী এলাকায় অবস্থান নিয়ে মর্টার শেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এমতাবস্থায় সাধারণ অস্ত্র নিয়ে পাকবাহিনীর আধুনিক অস্ত্রের মােকাবেলা করা সম্ভব নয় দেখে মুক্তিযােদ্ধারা আত্মরক্ষার জন্য পশ্চাদপসরণ করেন।
পাকসেনারা এদিন আশাশুনি থানায় প্রবেশ করলেও কোনাে ক্যাম্প স্থাপন করেনি। তারা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা আব্দুর রহিম ও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম নবাব আলীর বাড়িসহ আরাে কয়েকটি বাড়ি ও বাজারের কয়েকটি দোকানঘর পুড়িয়ে দিয়ে খুলনা ফিরে যায়।
আশাশুনি উপজেলায় মূলত মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরাই মুক্তিযুদ্ধের বিরােধিতা করে। এই দুই দলের কিছু সংখ্যক লােক সাতক্ষীরা সদর থেকে রাজাকারের প্রশিক্ষণ নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় চাপড়া গ্রামের আশরাফুল মকবুল চেয়ারম্যানের বাড়িতে ক্যাম্প স্থাপন করে। যুদ্ধের শেষদিকে এরা আশাশুনি হাইস্কুল ও ডাকবাংলােতেও ক্যাম্প স্থাপন করে। রাজাকার বাহিনীর প্রধান ছিল ইসহাক আলী (বুধহাটা)। আতিয়ার ও লিয়াকত নামে দুই ভাই ছিল এলাকার দুর্ধর্ষ রাজাকার। চাপড়ায় একটি শান্তি কমিটিও গঠন করা হয়, যার প্রধান ছিল আশরাফুল মকবুল। এছাড়া স্বাধীনতাবিরােধী হিসেবে আব্দুল্লাহ হেল বাকী, বদরুদ্দোজা চৌধুরী (চেয়ারম্যান), সামসুর রহমান (চেয়ারম্যান) প্রমুখের নাম উল্লেখযােগ্য। তবে মুক্তিযােদ্ধাদের শক্ত অবস্থানের কারণে এরা তেমন তৎপরতা চালাতে পারেনি।
আশাশুনি ছিল হিন্দুপ্রধান এলাকা। রাজাকাররা এ সম্প্রদায়ের ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। ফলে অনেক হিন্দু ঘরবাড়ি ছেড়ে ভারতে চলে যায়। রাজাকাররা তাদের বাড়িঘর লুট করে। এছাড়া মুক্তিবাহিনীতে যােগ দিতে যাওয়ার সময় রাজাকররা যুবকদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে নির্যাতন চালায়। জুনের প্রথম দিকে পাকবাহিনীর শেল নিক্ষেপে প্রতাপনগর গ্রামের খগেন কর্মকার নামে একজন গ্রামবাসী শহীদ হন।
আশাশুনিতে পাকবাহিনীর কোনাে নির্যাতনকেন্দ্র বা বন্দিশিবির ছিল না। তবে রাজাকাররা তাদের ডাকবাংলাে ক্যাম্প ও আশাশুনি হাইস্কুল ক্যাম্পে বাঙালিদের ধরে এনে নির্যাতন করে। আশাশুনিতে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ কোনাে স্থানীয় বাহিনী ছিল না। তবে মুক্তিযােদ্ধাদের ক্যাম্পগুলাে স্ব-স্ব ক্যাম্প প্রধানের নামে পরিচিত ছিল, যেমন কমান্ডার কালাম ক্যাম্প, কমান্ডার রফিকুল ক্যাম্প, কমান্ডার রেজাউল ক্যাম্প ইত্যাদি। স ম বাবর আলী ছিলেন দক্ষিণ খুলনার ২৩টি ক্যাম্পের সমন্বয়কারী।
আশাশুনিতে পাকসেনা ও রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযােদ্ধাদের বেশ কয়েকটি সম্মুখ যুদ্ধ হয়। সে-সবের মধ্যে কেয়ারগাতির যুদ্ধ ও গােয়ালডাঙ্গার যুদ্ধ বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। ১৬ই আগস্ট স ম বাবর আলীর নেতৃত্বে কেয়ারগাতির যুদ্ধে চারজন মুক্তিযােদ্ধা শহীদ হন এবং কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয়। শহীদুল ইসলাম, রুহুল কুদ্দুস ও হাবিবুর রহমান নামে তিনজন মুক্তিযােদ্ধা পাকসেনাদের হাতে বন্দি হন। ১৭ই সেপ্টেম্বর রাজাকারদের সঙ্গে গােয়ালডাঙ্গার যুদ্ধেও নেতৃত্ব দেন স ম বাবর আলী। এ-যুদ্ধে একজন মুক্তিযােদ্ধা শহীদ হন এবং কয়েকজন রাজাকার নিহত হয়। অবশিষ্ট রাজাকাররা পালিয়ে যায়। একই দিন আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বােয়ালিয়ায় রাজাকারদের সঙ্গে একটি যুদ্ধ হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ফিংড়ি, বড়দল, আশাশুনি, ব্যাংদহ প্রভৃতি স্থানে রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযােদ্ধাদের খণ্ডযুদ্ধ হয়। ৭ই ডিসেম্বর আশাশুনি উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
আশাশুনি উপজেলার শহীদ মুক্তিযােদ্ধারা হলেন- আব্দুর রহমান (পিতা নূর আলী সরদার, কেয়ারগাতি; ১৬ই আগস্ট কেয়ারগাতির যুদ্ধে শহীদ), আবুল হােসেন (পিতা রহমত আলী মােল্লা, কুন্দুড়িয়া; কেয়ারগাতির যুদ্ধে শহীদ), রফিকুল ইসলাম (পিতা আব্দুর রহিম, জামালনগর; কেয়ারগাতির যুদ্ধে শহীদ), আমিনউদ্দিন (পিতা মমতাজ গাজী, জামালনগর; কেয়ারগাতির যুদ্ধে শহীদ), মনােরঞ্জন সমাদ্দার (পিতা জ্ঞানেন্দ্রনাথ সমাদ্দার, রহিমপুর; ১৭ই সেপ্টেম্বর গােয়ালডাঙ্গার যুদ্ধে শহীদ), আব্দুল হাদী (পিতা আব্দুল আওয়াল, গুনাকরকাঠি; খুলনার গল্লামারী রেডিও স্টেশন দখল যুদ্ধে শহীদ), মােজাম্মেল হক (পিতা মুছা গাজী, জামালনগর), গাজী আনছার আলী (পিতা এজাহার গাজী, গােয়ালডাঙ্গা) এবং শাহাদাৎ হােসেন (পিতা মহিউদ্দিন সরদার, কাপসন্ডা; শ্রীউলায় রেকিতে গেলে রাজাকারদের হাতে ধরা পড়ে শহীদ হন)। আশাশুনি উপজেলা সদরের প্রবেশদ্বারে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে এ স্মৃতিসৌধটির অস্তিত্ব নেই। রাজাকারদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ কাজলের নামে আশাশুনির হেতালবুনিয়া গ্রামের নতুন নাম রাখা হয়েছে ‘কাজলনগর’। কাজল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার অধিবাসী হলেও আশাশুনি উপজেলায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শহীদ হন। [জহুরুল আলম সিদ্দিকী]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড