আড়াইহাজার রেললাইন অপারেশন
আড়াইহাজার রেললাইন অপারেশন (নারায়ণগঞ্জ) পরিচালিত হয় ১১ই সেপ্টেম্বর। নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার রেললাইনে পাকসেনাদের নিয়মিত পাহারা ছিল। মুক্তিযােদ্ধারা রেললাইনে পাহারারত পাকসেনাদের শায়েস্তা করার সিদ্ধান্ত নেন। এ উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জের কমল, শামসুল হুদা, সিদ্দিক, তপন ও আশাবউদ্দীন অপারেশনের আগে জায়গাটা ভালােভাবে রেকি করেন। রেকি করে তারা আড়াইহাজার থানার একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। ১০ই সেপ্টেম্বর রাতে ঐ পাঁচজনসহ শাহজালাল, স্বপন, আলী আকবর, রফিকুল ইসলাম, নুরুল আমিন, আবু তাহের, সুরুজ মিয়া, আব্দুল কাদির, কমরুদ্দীন, নেভাল এস কে আব্দুস সােবহান, মফিজুল ইসলাম, মােজ্জামেল হক ভূঁইয়া, আমিনুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ আরাে ২৪ জন মুক্তিযােদ্ধা রেললাইনের সামনে এমবুশ করেন। পরের দিন সকালে ডিউটিরত পাকসেনারা রাজাকারসহ রেললাইনের ওপর দিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিল। এমতাবস্থায় মুক্তিযােদ্ধারা তাদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালান। তারাও পাল্টা জবাব দেয়। দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়। এ-যুদ্ধে পাঁচজন পাকসেনা নিহত হয়। [রীতা ভৌমিক]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড