আগরতলা মামলা
১৯৬৮ সালে পাকিস্তানের আইয়ুব সরকার আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এক নম্বর আসামি করে ৩৫ জন বাঙালি সামরিক-বেসামরিক সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক মামলা দায়ের করে, তা-ই আগরতলা মামলা। এর আনুষ্ঠানিক নাম ছিল, রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য। তখন এটি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামেই সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করে। এ মামলাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয় উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
মামলার প্রধান আসামি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর দ্বিতীয় আসামি ছিলেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মােয়াজ্জেম হােসেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জন ছিলেন সিএসপি, যথা- আহমেদ ফজলুর রহমান, রুহুল কুদ্দুস এবং খান মাে. শামসুর রহমান। অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন স্টুয়ার্ড মুজিবুর রহমান (নৌবাহিনী), সুলতান উদ্দীন আহমেদ (নৌবাহিনী), নূর মােহাম্মদ (নৌবাহিনী), ফ্লাইট সার্জেন্ট মাহফিজউল্লাহ (বিমানবাহিনী), এ বি এম আবদুস সামাদ (বিমানবাহিনী), দলীল উদ্দিন (সেনাবাহিনী), ফ্লাইট সার্জেন্ট মােহাম্মদ ফজলুল হক (বিমানবাহিনী), ভূপতি ভূষণ চৌধুরী ওরফে মানিক চৌধুরী, বিধান কৃষ্ণ সেন, সুবেদার আবদুর রাজ্জাক (সেনাবাহিনী), মুজিবুর রহমান (সেনাবাহিনী), মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক (বিমানবাহিনী), সার্জেন্ট জহুরুল হক (বিমানবাহিনী), এ বি মুহাম্মদ খুরশিদ (নৌবাহিনী), রিসালদার এ কে এম শামসুল হক (সেনাবাহিনী), হাবিলদার আযিযুল হক, এস এস সি মাহফুজুল বারী, সার্জেন্ট শামসুল হক, মেজর শামসুল আলম, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ আবদুল মুতালিব, ক্যাপ্টেন এম শওকত আলী মিঞা, ক্যাপ্টেন খােন্দকার নাজমুল হুদা, ক্যাপ্টেন এ এন এম নুরুজ্জামান, সার্জেন্ট আবদুল জলিল, মােহাম্মদ মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট এস এম এম রহমান, সুবেদার এ কে এম তাজুল ইসলাম, মােহাম্মদ আলী রেজা, ক্যাপ্টেন খুরশীদ উদ্দিন আহমেদ এবং লেফটেন্যান্ট আবদুর রউফ।
মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে সরকারি ভাষ্য ছিল এরূপ: ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথমদিকে পাকিস্তান সরকার সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীতে চাকরিরত, চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত এবং সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কিছুসংখ্যক বাঙালি কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার একটি ষড়যন্ত্র সম্বন্ধে জানতে পারে। তাই গােপনসূত্রে প্রাপ্ত এ তথ্যের ভিত্তিতে ডিসেম্বর মাসেই এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রতিরক্ষা আইন ও ডিফেন্স সার্ভিসেস আইনে গ্রেপ্তার করা শুরু হয়। প্রথমে সামরিক বাহিনীর ৬ জন সদস্য এবং ২ জন সিএসপি অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ৬ই জানুয়ারি (১৯৬৮) সরকারি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঐদিন পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত ২৮ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। ষড়যন্ত্রের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানস্থ ভারতীয় দূতাবাসের প্রথম সেক্রেটারি পি এন ওঝার যুক্ত থাকার অভিযােগে একই তারিখে পাকিস্তান সরকার তাঁকে বহিষ্কারের কথা ঘােষণা করে। ১৮ই জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রেসনােটে বলা হয়, ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা ও পরিচালনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই অন্যান্যদের সঙ্গে তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ১৯৬৬ সালের মধ্যবর্তী সময় থেকে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে বন্দি অবস্থায় ছিলেন এবং সে অবস্থায়ই তাকে মামলায় যুক্ত করা হয়। মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযােগ ছিল, এক নম্বর আসামি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের সাহায্যে সশস্ত্র পন্থায় পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন বা স্বাধীন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। আরাে বলা হয় যে, মুজিব ও তার সহযােগীরা এ ব্যাপারে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যােগাযােগ রক্ষা করে চলেন। এমনকি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শেখ মুজিবসহ এঁদের কেউ-কেউ গােপন বৈঠকে মিলিত হন।
মামলার বিস্তারিত বিবরণে বলা হয়, ১৯৬৪ সাল থেকেই অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময়ে উল্লিখিত উদ্দেশ্যে একাধিক স্থানে গােপন বৈঠকে মিলিত হয়ে ষড়যন্ত্র করেন। প্রথমে তারা সেনাবাহিনীর কোনাে এক দিবসে পূর্ব পাকিস্তানে কমান্ডাে স্টাইলে আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানি অফিসারদের বন্দি এবং সেনাছাউনি দখল করে তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা ভাবতে থাকেন। এ লক্ষ্যে তারা একটি গােপন নেটওয়ার্ক গড়ে তােলেন। এক নম্বর আসামি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্বন্ধে বলা হয়, ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইনে বন্দি হওয়ার পূর্বে তিনি মামলার দুই নম্বর আসামি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মােয়াজ্জেম হােসেন ও অন্যদের সঙ্গে একাধিক গােপন বৈঠকে মিলিত হন এবং প্রয়ােজনীয় তহবিল সংগ্রহের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এও বলা হয় যে, ১৯৬৭ সালের ১২ই জুলাই তারা কয়েকজন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা গিয়ে ভারত সরকারের সাহায্য কামনা করেন।
আগরতলা মামলার পেছনে আইয়ুব সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, বাঙালির আপােসহীন নেতা ও আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জনসমক্ষে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ভারতীয় চর হিসেবে চিহ্নিত করে তার ৬-দফা ভিত্তিক বাঙালির জাতীয় মুক্তির আন্দোলনকে চিরতরে নস্যাৎ করে দেয়া। এ উদ্দেশ্যে কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তাকে এ মামলায় জড়ানাে হয়। শুধু তাই নয়, তাকে করা হয় এক নম্বর আসামি। উল্লেখ্য যে, ১৯৬৬ সালে মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসন-শােষণ থেকে বাঙালির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে ঐতিহাসিক ছয়দফা কর্মসূচি পেশ করেছিলেন। এরপর ছয়দফার পক্ষে তিনি দেশজুড়ে ব্যাপক প্রচারে নামেন। দ্রুত এর পক্ষে জনমত গড়ে উঠতে থাকে। তা দেখে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব ৬-দফাকে বিচ্ছিন্নতার কর্মসূচি হিসেবে আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে অস্ত্রের ভাষা প্রয়ােগের হুমকি দেন।
প্রথমে সরকার সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রতিরক্ষা সার্ভিস আইনে বিচারের কথা ভাবে। পরে সে চিন্তা বাদ দিয়ে বিশেষ আদালতে সকলের বিচারের ব্যবস্থা করা হয়। এ লক্ষ্যে ১৯৬৮ সালের ২১শে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট আইয়ুব এক অর্ডিন্যান্স জারি করেন। তিন সদস্যবিশিষ্ট বিশেষ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ছিলেন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জাস্টিস এস এ রহমান। তিনি ছিলেন পাঞ্জাবি। অপর দুজন সদস্য ছিলেন বিচারপতি মুজিবুর রহমান খান ও বিচারপতি মুকসুমুল হাকিম। ঢাকার কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টের একটি সুরক্ষিত কক্ষে (বর্তমানে বিজয় কেতন জাদুঘর) স্থাপিত হয়েছিল বিচারালয়। ১৯শে জুন থেকে সেখানে বিচারকার্য শুরু হয়। মামলার সাক্ষী ছিল। ২৫১ জন। মামলায় অভিযুক্তদের মধ্য থেকে ১১ জনকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁদের রাজসাক্ষী করা হয়। পরবর্তীতে তাঁদের ৪ জনকে বৈরী ঘােষণা করা হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঞ্জুর কাদের ও এডভােকেট টি এইচ খান। প্রধান আসামি শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী আবদুস সালাম খান, আতাউর রহমান খানসহ আরাে কেউ-কেউ। এছাড়া যুক্তরাজ্যবাসী বাঙালিরা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ও প্রখ্যাত আইনজীবী স্যার থমাস উইলিয়াম কিউসি-কে শেখ মুজিবের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে প্রেরণের ব্যবস্থা করে। থমাস উইলিয়ামের আগমনের ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমে এ মামলা আরাে অধিক গুরুত্ব লাভ করে।
আত্মপক্ষ সমর্থনে শেখ মুজিব ট্রাইব্যুনালের সামনে এক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তাতে তিনি তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের কথা তুলে ধরে নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেন। তিনি এও উল্লেখ করেন যে, পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর শােষণ নিষ্পেষণ অব্যাহত রাখতেই এ মামলায় তাকে জড়ানাে হয়েছে। রাজসাক্ষীদের কেউ-কেউ ট্রাইব্যুনালের সামনে মামলার বিপক্ষে বক্তব্য রাখেন এবং কীভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে অসত্য সাক্ষ্য দিতে তাদের বাধ্য করা হয় সে-কথা তুলে ধরেন, যা ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
বস্তুত আইয়ুব সরকার যে-উদ্দেশ্যে আগরতলা মামলা দায়ের করেছিল, তা সফল না হয়ে বরং বুমেরাং হয়। দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলার কারণে ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্য, সাক্ষী ও অভিযুক্তদের জেরা পত্র-পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়, যা মামলার বিপক্ষে জনমত গঠনে সহায়ক হয়। জনমনে বদ্ধমূল ধারণা জন্মে যে, এটি হলাে বাঙালিদের বিরুদ্ধে আইয়ুব সরকারের দায়ের করা একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। ফলে বাঙালিদের মধ্যে দ্রুত জাতীয়তাবাদী চেতনার স্ফুরণ ঘটে। আগরতলা মামলা বাতিল করে শেখ মুজিবসহ সকল বন্দির মুক্তি এবং আইয়ুব সরকারের পদত্যাগের দাবিতে পূর্ব বাংলার ছাত্রসমাজ এগারােদফা কর্মসূচির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলন গড়ে তােলে। সে-সময় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ঢাকার সেনানিবাসে বন্দি অবস্থায় আগরতলা মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। অনুরূপ আরাে কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয় উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। এর ফলে আগরতলা মামলা বাতিল হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল বন্দি নিঃশর্ত মুক্তি লাভ করেন এবং কিছুদিনের মধ্যে আইয়ুব সরকারের পতন ঘটে।
প্রকৃতপক্ষে আগরতলা মামলা ভিত্তিহীন ছিল না। বিভিন্ন তথ্য-সূত্রে আজ তার প্রমাণ মেলে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই এরূপ ধারণার সৃষ্টি হয় যে, এই রাষ্ট্রীয় কাঠামােয় বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার অর্জন সম্ভব নয়। ষাটের দশকের শুরু থেকে এ ধারণা ছাত্র, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, বাঙালি সামরিক সদস্য, আমলা, ব্যবসায়ীসহ জনগণের বিভিন্ন অংশের মধ্যে ক্রমশ বিস্তার লাভ করতে থাকে।
১৯৪৭ সালে ভারতের দুই অংশ নিয়ে গঠিত পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রভাবনা ছিল না। তাঁর ভাবনায় ছিল বাঙালিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র। পাকিস্তান আন্দোলন কালেও তিনি সে স্বপ্ন দেখেছেন।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের প্রাক্কালে যুক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী শরৎ চন্দ্র বসু, কিরণ শংকর রায়, আবুল হাশিম প্রমুখ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীন অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং কলকাতায় একাধিক ছাত্র-জনতার সভায় এর পক্ষে বক্তৃতা করেন। ১৯৬১ সালে তিনি কমরেড মণি সিংহ ও খােকা রায়ের সঙ্গে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা প্রশ্নে গােপন বৈঠক করেন। ১৯৬২ সালে তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা যান এবং সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিংহ ও অন্যান্যদের মাধ্যমে ভারত সরকারের সঙ্গে যােগাযােগের চেষ্টা করেন। পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার প্রশ্নে তিনি ১৯৬২ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর কাছে পত্র লেখেন। তবে পাকিস্তান থেকে বাঙালিদের স্বাধীন হওয়ার বিষয়টি আগরতলা মামলার কারণেই সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে চলে আসে। [হারুন-অর-রশিদ]।
সহায়ক গ্রন্থ: হাসান হাফিজুর রহমান (সম্পাদিত), বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র, দ্বিতীয় খণ্ড, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৮২; হরিভূষণ পাল, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা : ফিরে দেখা, আগরতলা ২০১৫; Sashanka S_Banerjee, India, Mujibur Rahman, Bangladesh Liberation & Pakistan, Dhaka 2013; সিরাজুল ইসলাম (সম্পাদিত), বাংলাপিডিয়া ১ম খণ্ড, এশিয়াটিক সােসাইটি অব বাংলাদেশ ২০০৩; কর্নেল শওকত আলী, সত্য মামলা আগরতলা, ঢাকা, প্রথমা প্রকাশন, ২০১২; মণি সিংহ, জীবন সংগ্রাম, ঢাকা, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী ২০১৫ফু সাহিদা বেগম, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলন, ঢাকা ১৯৯৯; হারুন-অররশিদ, বাংলাদেশ : রাজনীতি সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন ১৭৫৭২০১৮, ঢাকা, অন্যপ্রকাশ ২০১৮
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড