আপনি যদি মৃত্যু
বরণ করতে চান—
[জয়বাংলা প্রতিনিধি ]
বাংলাদেশের অধিকৃত এলাকায় নরককুণ্ড থেকে শুধুমাত্রা জীবন নিয়ে যারা ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ নাকি আবার বেয়নেটের ডগায় বিদ্ধ হওয়ার জন্য পড়ি-মরি করে পুরানো যায়গায় ফিরে যাচ্ছে। ইয়াহিয়ার সামরিক জান্তা অন্ততঃ এর-রকম আভাষ দিচ্ছে তাদের গায়েবী আওয়াজ ও নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্রের মাধ্যমে।
ভারত থেকে যে সব শরণার্থী ফিরে যাবে তাদের ‘অভ্যর্থনা ও হত্যার’ জন্য কি জাতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তার নির্দেশ প্রদান করেছে ইষ্টার্ন কম্যান্ডের কম্যান্ডার লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী। নিয়াজী স্বাক্ষরিত ‘নিরাপত্তা পাস’ নামক গোলাবী রঙের কার্ডে বলা হয়েছে, “যে কোন মিলিটারী /পুলিশ ফাঁড়ি অথবা শান্তি কমিটি এই কার্ড ধারীকে গ্রহণ করিবেন এবং তাহার উপর কোন প্রকার শারীরিক নির্যাতন করা যাইবে না, তাহাকে পাকিস্তানি হিসাবে পুনরায় গ্রহণ করিতে হইবে যেহেতু সে পরের প্ররোচনায় পথভ্রষ্ট হইয়াছিল।“ এর উর্দু তরজমাও ‘পাস’-এর প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছে।
অপর পাতায় ‘জরুরী নির্দেশাবলী’ শিরোনামায় বলা হয়েছে
“১। কার্ডধারী ইহা ডান হাতে উচু করিয়া ধরিবেন এবং আত্মসমর্পণের সময় যখন মিলিটারী পুলিশ ফাঁড়ির দিকে অগ্রসর হইবেন তখন উভয় হস্ত মাথার উপর উঠাইবেন।
“২। যদি কাহারাও সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্র থাকেতবে তাহা ঘাড়ের উপর ঝুলাইয়া ব্যারেলটিকে নীচের দিকে নামাইয়া আসিতে হইবে।
“৩। তাহাকে গ্রহণ করার পর নিরস্ত্র করা হইবে এবং যত্নের সহিত খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করিয়া যতশীঘ্র সম্ভব নিরাপদ স্থানে অপসারণ করা হইবে।”
এ নির্দেশেরও উর্দু তরজমা ছাপা হয়েছে।
কার্ডের নীচে ইংরেজীতে লেখা রয়েছে EPGP-70/71-4605 H – 1 Lakh.
এ কার্ডেই ‘শরণার্থী অভ্যর্থনার’ নমুনা পাওয়া যাবে।
নিরাপত্তা পাস
যে কোন মিলিটারী/পুলিশ ফাঁড়ি অথবা শান্তি কমিটি এই কার্ডধারীকে গ্রহণ করিবেন
এবং
তাহার উপর কোন প্রকার শারীরিক নির্যাতন করা যাইবে না তাহাকে পাকিস্তানি হিসাবে পুনরায় করিতেগ্রহণ হইবে যেহেতু সে পরের প্ররোচানায় পথভ্রষ্ট হইয়াছিল।
حفاظتی پاس
اس پاس کے حامل کو کسی بھی فوجی چوکی پولیس
چوکی یا پیس کمیٹی میں قبول کیا جائیگا
اور
اسے جسمانی ضرر نہیں پہنچایا جائیگا . اسے پاکستانی کی حیثیت سے واپس آول کیا جائیگا جو غلط رهنمائی کی وجہ سے گمراہ ہو گیا ہے اور اسمیں اسکی اپنی
خطا ثم تهی
Lieutenant General
Commander Eastern Command
(Amir Abdullah Khan Niazi)
জয়বাংলা ॥ 2: ১৭ ॥ ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
সূত্র: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ . ১ম খণ্ড – মুনতাসীর মামুন