সংবাদ
২৮শে জুন ১৯৬৯
ছাত্রলীগ কাউন্সিল অধিবেশন সমাপ্ত
(নিজস্ব বার্তা পরিবেশক)
গতকাল (শুক্রবার) সকাল দশটায় স্থানীয় ইঞ্জিনীয়ার্স ইনষ্টিটিউটে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগের প্রাদেশিক কাউন্সিল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগের তদানীন্তন সভাপতি জনাব আব্দুর রউফ কাউন্সিল অধিবেশন উদ্বোধন করেন। এই উপলক্ষে ৪টি ‘শ্বেতকপোত উড়ানো হয়। জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের পর সভায় প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।
প্রথম অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে জনাব আবদুর রউফ সাংগঠনিক, রাজনৈতিক ও ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন যে, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ছাত্র লীগ বিশ্বাসী। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ছাত্র প্রতিষ্ঠানের সহিত সংহতি বজায় রাখারও তিনি দৃঢ় মত অভিব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযোগ্য যে, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবর রহমান ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী প্রধান অতিথি হিসাবে সম্মেলনে উপস্থিত হইতে পারেন নাই। সম্মেলনে তিনি একটি শুভেচ্ছাবাণী পাঠান।
ইহার পর ছাত্র লীগের তরফ হইতে ‘ইত্তেফাক’ সম্পাদক মরহুম তফাজ্জল হোসেন, অধ্যক্ষ মুহম্মদ আবদুল হাই, ডঃ মার্টিন লুথার কিং ও ডঃ জাকির হোসেনের মৃত্যুতে ৪টি শোক প্রস্তাব পাঠ করা হয়। ইহাছাড়া ছাত্র লীগ নেত্রী ও প্রাদেশিক সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদিকা রাফিয়া আক্তার (ডলি) কাউন্সিলরদের অভ্যর্থনা জানান।
দ্বিতীয় অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদকের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনাব খালেদ মোহাম্মদ আলী।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযোগ্য যে, ছাত্রলীগের প্রাদেশিক কাউন্সিলকে কেন্দ্ৰ করিয়া গতকাল সকাল হইতেই সম্মেলন কক্ষের দরজায় এবং বহির্ভাগের রাস্তায় বিবদমান দুইটি গ্রুপের মধ্যে দারুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
ইহার পর রমনা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আগমন করিয়া সম্মেলন কক্ষের রাস্তায় ‘ব্যারিকেট’ তৈরী করিলে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।
সন্ধ্যায় তৃতীয় অধিবেশনে নির্বাচনী অনুষ্ঠান স্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৮-৬৯ সালের জন্য কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে জনাব তোফায়েল আহমদ ও আ, স, ম আবদুর রবকে নির্বাচিত করা হয়।
সুত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু: পঞ্চম খণ্ড ॥ ষাটের দশক ॥ চতুর্থ পর্ব ॥ ১৯৬৯