You dont have javascript enabled! Please enable it! 1969.06.01 | শেখ মুজিবের আসন্ন করাচী সফর : রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক উৎসাহের সঞ্চার | দৈনিক ইত্তেফাক - সংগ্রামের নোটবুক

দৈনিক ইত্তেফাক
১লা জুন ১৯৬৯
শেখ মুজিবের আসন্ন করাচী সফর : রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক উৎসাহের সঞ্চার
(ইত্তেফাকের করাচী অফিস হইতে)

২৯শে মে- আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবর রহমানের আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে করাচী আগমনকে উপলক্ষ করিয়া এখানকার রাজনৈতিক মহলে এক আলোড়ন সৃষ্টি হইয়াছে। তথাকথিত ‘ষড়যন্ত্র’ মামলা হইতে মুক্তি লাভের পর ইহাই হইবে আওয়ামী লীগ প্রধানের সর্বপ্রথম করাচী সফর।
মানকীর পীর সাহেব মওলানা রুহুল আমিন, যিনি সম্প্রতি শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে মুগ্ধ হইয়া আওয়ামী লীগে যোগদান করিয়াছেন, তিনি ইতিমধ্যে ঢাকা হইতে করাচী আসিয়া পৌঁছিয়াছেন।
তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, করাচী উপস্থিতির পর হইতেই তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীদের সহিত দলের সাংগঠনিক ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা শুরু করিয়াছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় আওয়ামী নেতারা শেখ মুজিবর রহমানের প্রতি তাদের গভীর শ্রদ্ধা এবং আস্থা প্রদর্শন করিয়াছেন।
পীর সাহেব বিশ্বাস করেন যে, যদি শেখ মুজিবর রহমান পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থান সফর করেন এবং নেতৃবৃন্দের সহিত আলাপ- আলোচনা করেন তবে পশ্চিম পাকিস্তানের আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসাবে গড়িয়া তোলা যাইবে।
তিনি বলেন, শেখ সাহেবকে করাচীতে সম্বর্ধনা জ্ঞাপনের জন্য ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হইয়াছে।
করাচী অবস্থানকালে শেখ মুজিবর রহমান আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সহিত আলোচনা করা ছাড়াও অন্যান্য দলীয় নেতার সহিতও বৈঠকে যোগদান করিবেন বলিয়া আশা করা যাইতেছে।
পীর সাহেব এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি প্রথম করাচী এবং পরে অন্যান্য স্থানের নেতৃবৃন্দের সহিত দলের পুনঃসংগঠনের ব্যাপারে আলোচনা করিবেন।

সুত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু: পঞ্চম খণ্ড ॥ ষাটের দশক ॥ চতুর্থ পর্ব ॥ ১৯৬৯