ভারতীয় উপমহাদেশে সংকট থেকে মুক্তির পথ
ইউরি ঝুকোভ
‘প্রাভদা’র রাজনৈতিক ভাষ্যকার
ভারতীয় উপমহাদেশে যুদ্ধের দাবানল এখনো জ্বলছে। এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম দুটি দেশ ভারত ও পাকিস্তানে রক্তপাতের দিকে তাকিয়ে যুক্তিসঙ্গত উদ্বেগের সঙ্গেই জনগণ এই বিপজ্জনক সংঘর্ষের অন্যতম অবসান দাবি করছেন এবং এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কারণগুলোর রাজনৈতিক নিষ্পত্তির জন্য তাগিদ দিচ্ছেন।
যাহোক, উত্তেজনার প্রশমনে নয় পরন্তু বিস্ফোরণের বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছান পর্যন্ত অবিচলভাবে উত্তেজনা বাড়িয়ে চলায় আগ্রহী শক্তিগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হয়। এই শক্তিগুলো আজকে শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য সাধারণ কামনাকে ফটকাবাজির উদ্দেশ্যে লাগাচ্ছে। ওরা চতুর পরিকল্পনা ও সন্দেহজনক কর্মসূচী হাজির করছে, যেগুলো অধ্যায়ের দিক থেকে শান্তিপূর্ণ কিন্তু বস্তুতপক্ষে বিস্ফোরক পদার্থে পূর্ণ। এগুলো রূপায়িত হলে পরিস্থিতি ঘোরালোই হতে পারে মাত্র।
যুদ্ধ বিরতির আবেদনের ওপরেই শুধু মনোযোগ নিবদ্ধ করার জন্য এবং এই সংঘর্ষের কারণগুলোকে অস্বীকার করার জন্য হালে যে চেষ্টা চালানো হচ্ছে, সেগুলোর লক্ষ্য ঠিক এইটি। এ কথা সাধারণভাবে জানা আছে যে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চীনা ও মার্কিন কূটনীতিকরা জাতিসংঘে এই অভিমুখে জোরদার চেষ্টা চালিয়েছেন, যার ফলে অতি উগ্র প্রতিক্রিয়াপন্থীরা উল্লসিত হয়েছে।
ঘোলা জলে মৎস্য শিকার
বস্তুত ‘নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ’ ৭ ডিসেম্বর যে অতি খোলাখুলি মন্তব্য করেছে, তার কিরূপ মূল্যায়ন করা যেতে পারে। পত্রিকাটি প্রতিক্রিয়া আর যুদ্ধের শক্তিগুলোর ইঙ্গিত অভিপ্রায়কে প্রকাশ করে লিখেছে, এই গোলমেলে অবস্থা থেকে নিজেদের জন্য সম্ভাব্য সকল সুবিধা কব্জা করাই আমাদের কর্মনীতি হওয়া উচিত। পত্রিকাটি লিখেছে, এই সুবিধাগুলো বেশ বড় ও পয়লা দরের হতে পারে এবং এই সুযোগগুলো ব্যবহার করতে ব্যর্থ হলে ইতিহাসে আমরা বোকা বলে স্মরণীয় হয়ে থাকব।
আমি স্থিরনিশ্চয় যে, জাতিসংঘের লবিতে ও হালে কৃত্রিমভাবে তাতিয়ে দেওয়া বিকার ভুল তথ্য দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে যারা সেদিন সেই প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছিল, যেটি প্রথমদৃষ্টিতে তাদের কাছে শান্তিকামী বলে প্রতিভাত হয়েছিল; কিন্তু সেটির মধ্যে আসলে বিধৃত ছিল সংঘর্ষের আরও অবনতির বীজ—যেহেতু এটির মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান সংকটের শান্তিপূর্ণ মীমাংসার একটি কথাও ছিল না—তাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেছিল তারা একটা ভালো কাজ করেছে। কিন্তু স্পষ্টতই তারা এ কথাটা বিবেচনার মধ্যে আনতে পারেনি যে, বিষয়গতভাবে বললে এই প্রস্তাবটি শুধু তাদেরই সুযোগ করে দিয়েছিল, যারা এই গোলমেলে অবস্থা থেকে সম্ভাব্য সবরকম সুবিধা কব্জা করতে চেয়েছিল।
সেজন্যই আজকে ঠান্ডা মাথায় ও ধৈর্য সহকারে ভারতীয় উপমহাদেশে বিয়োগান্ত ঘটনাবলির মূল কথাটি বারবার ব্যাখ্যা করা এবং যারা শান্তি স্থাপনকারী হিসেবে নিজেদের জাহির করে আসলে পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে চেষ্টা করছে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
একটি প্রশ্নেরই দুটি দিক
পোলিশ ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স পার্টির ষষ্ঠ কংগ্রেসে কমরেড এল আই ব্রেঝনেভ সঠিকভাবেই বলেছেন যে, ভারতীয় উপমহাদেশে সামরিক সংঘর্ষ পূর্ব পাকিস্তানি জনসমষ্টির মৌল অধিকার ও সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত ইচ্ছার রক্তাক্ত দমনেরই ফল, সেই কারণেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ক্রমাগত প্রস্তাব করেছে যে, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ অবিলম্বে অস্ত্র সংবরণ করুক এবং সকল সামরিক তৎপরতা বন্ধ করুক এবং যুগপৎ (লক্ষ করুন, যুগপৎ) পাকিস্তান সরকারকে ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসের নির্বাচনে ব্যক্ত পূর্ব পাকিস্তানের জনসমষ্টির ইচ্ছাকে অবিলম্বে স্বীকার করে নিয়ে সেখানে রাজনৈতিক মীমাংসা অভিমুখী কার্যকরী ব্যবস্থাদি গ্রহণ করতে হবে। এ দুটি বিষয় অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত।
৯ ডিসেম্বর প্যারিসের দৈনিক লু’মানিতে পরিতাপের সঙ্গে বলেছে যে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ‘বাঙালিদের ভাগ্যকে অস্বীকার করেছে এমন সুপারিশসমূহ’ গ্রহণ করেছে এবং বিবেচনার মধ্যে নিতে পারেনি সেই ‘সমস্যাটিকে যেটি এই যুদ্ধের কারণ—বাঙালি জনসমষ্টির বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আচরিত প্রতিহিংসা।’ পত্রিকাটি সঠিকভাবেই ঘোষণা করেছে, সেজন্যই ‘যুদ্ধের দূরীকরণের জন্য প্রয়োজন এর কারণের দূরীকরণ।’
এই উপায়েই শুধু দাবানল নেভানো যায়। অন্যথায়, যুদ্ধ-বিরতি ঘটলে পূর্ব পাকিস্তানকে পুনরায় পিটুনি ফৌজের হাতে তুলে দেওয়া হবে, যারা একে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলত। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর থেকে এই ফৌজ সাড়ে সাত কোটি নর-নারীর বিরুদ্ধে শুরু করল এক অঘোষিত এবং অভূতপূর্ব রক্তাক্ত ও নির্মম যুদ্ধ। এদের একমাত্র অপরাধ ছিল তারা ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে তাদের মৌল অধিকার দাবি করেছিল। মর্নিং স্টার লিখেছে, প্রতিহিংসার আমলে পাকিস্তানি ফৌজ দশ লক্ষ মানুষকে খুন করেছে এবং আশ্রয়চ্যুত করেছে তিন কোটি মানুষকে।
‘শান্তি প্রকল্প’ গিয়ে এই দাঁড়াচ্ছে। এ প্রকল্পের সক্রিয় সমর্থন করছে আমেরিকান ও চীনা কূটনীতিকরা, যারা ক্রমাগত চেষ্টা করে চলেছে সবকিছু এমনভাবে দেখাতে, যেন পূর্ব পাকিস্তান সমস্যা বলে কিছু নেই, যেন দুটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ ছাড়া আর কিছু নেই। একই সময়ে ওরা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে, যদিও বৃথা এই চেষ্টা, ভারতকে আগ্রাসনের অভিযোগে অভিযুক্ত করতে, যদিও রাষ্ট্রসংঘে সেক্রেটারি জেনারেল উ থান্ট কর্তৃক উত্থাপিত রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার যে, পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী প্রথম ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ করেছিল।
ভারতীয় উপমহাদেশে ঘটনাবলি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করে আমেরিকান জনগণ আরও বেশি করে দাবি করছেন যে, মার্কিন প্রশাসন তাদের বিপজ্জনক নীতি পরিত্যাগ করুক, যেহেতু এরূপ নীতি শান্তির পরিপোষক নয় এবং আমেরিকার জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।
৭ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন পোস্ট-এর পর্যবেক্ষক যোসেফ ক্রাফট্ লিখেছেন যে, ভারত-পাক সংকট সম্পর্কে নিক্সন প্রশাসনের মনোভাবের বৈশিষ্ট্য হলো নৈতিক অন্ধতা ও রাজনৈতিক বাস্তববুদ্ধির অনুপস্থিতির এক অদ্ভুত মিলন। তিনি পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, ভারতীয় উপমহাদেশে বর্তমান ঘটনাবলির মূল নিহিত আছে সেই মার্চের মাঝামাঝি পাকিস্তান সরকার অস্ত্রবলে জনগণের আন্দোলনকে দমন করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার মধ্যে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই সিদ্ধান্তের পরিণতি হলো এক বিরাট নৈতিক অপরাধ। পাকিস্তানি ফৌজ লক্ষ লক্ষ নিরীহ নর-নারীকে খুন করেছে, নিযুত নিযুত মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
মার্কিন সরকারের সরকারি মুখপাত্রের যে বিবৃতিতে সামরিক তৎপরতার জন্য ভারতকে দোষী করা হয়েছে, সেই বিবৃতির উল্লেখ করে নিউইয়র্ক টাইমস-এ অ্যান্টনি লিউইস ৬ ডিসেম্বর লিখেছেন যে, ভারতের উদ্বেগের পরিমাণ ও তার ওপর চাপানো অসহনীয় বোঝার কথা মনে রাখলে বলতে হবে, এই দেশ বিরাট সংযম দেখিয়েছে।
রিপাবলিকান প্রশাসনের কপট ও বিপজ্জনক নীতির তীব্র নিন্দা করে ৭ ডিসেম্বর সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি বলেছেন যে, গত আট মাস ধরে যেখানে মার্কিন সরকার পূর্ব বাংলায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিয়মিত ও নিষ্ঠুর নির্যাতনের নিন্দা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছে, সেখানে তারা এখন ভারতের নিন্দা করছে।
এবং সিনেটর কেনেডি আতঙ্কের সঙ্গে প্রশ্ন করেছেন, আমেরিকা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতে বসবাসকারী মনুষ্যজাতির এক-ষষ্ঠাংশের সঙ্গে কলহ করতে চায় কি না। তিনি বলেছেন যে, দক্ষিণ এশিয়ায় সংকট সম্পর্কে মার্কিন সরকারের কর্মনীতি বোঝা দুষ্কর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এরূপ কাণ্ডজ্ঞানপূর্ণ কণ্ঠস্বর আরও জোরে ধ্বনিত হচ্ছে; কিন্তু ওয়াশিংটনের কর্তা ব্যক্তিরা এতে কর্ণপাত করতে ইচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, ৬ ডিসেম্বর পিকিং যাবার পথে পাকিস্তান সফর করার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের আমন্ত্রণের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন যে, পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা’ এবং ‘বন্ধুত্ব’ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
পিকিং কি চায়?
হালে বিশ্ব জনমত বলছে যে, পিকিংয়ের নেতারা জাতিসংঘের মঞ্চকে ব্যবহার করছেন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সংঘর্ষের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা খুঁজে বের করবার জন্য নয়, পরন্তু ঘৃণা ও বিবাদ-বিসম্বাদকে তাতিয়ে দেওয়ার জন্য। আর তাদের প্রচারের বিষাক্ত তীর ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের দিকে উদ্যত।
‘চীন ও আমেরিকা সোভিয়েত ইউনিয়নের ও ভারতের বিরুদ্ধে দ্বৈত সংগীত চালিয়ে যাচ্ছে’ শীর্ষক সম্পাদকীয় প্রবন্ধে লু’মানিতে ৭ ডিসেম্বর বলেছে যে, জাতিসংঘে লোকায়ত্ত চীনের প্রতিনিধিদের বক্তৃতা ‘এক কোটি পাকিস্তানি শরণার্থীর ভাগ্য সম্পর্কে এবং হিংস্রতার শিকার পূর্ব বাঙলার জনসমষ্টির ভাগ্য সম্পর্কে পিকিংয়ের পরিপূর্ণ ঔদাসীন্যেরই প্রমাণ।’ বিষয়টির পুনরায় উল্লেখ করে পত্রিকাটি জোর দিয়ে বলেছে যে, ‘সোভিয়েত বিরোধিতার জোরে এবং ভারতের প্রতি বৈরিতাপূর্ণ মনোভাবের দরুন পিকিং সরকার ওয়াশিংটন প্রশাসনের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করেছে।’
আজকার অনুরূপ মন্তব্য প্রকাশ করে কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টিগুলোর বহু সংবাদপত্র লিখেছে যে, সামরিক সংঘর্ষের শিকার কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য সম্পর্কে ঔদাসীন্যের বৃহৎ শক্তিসুলভ নীতিসহ মাওবাদীদের জাতীয়তাবাদী সংকীর্ণমনা কাজ তাদের নিয়ে যাচ্ছে প্রলেতারীয় আন্তর্জাতিকতাবাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার দিকে।
এমনকি বুর্জোয়া পত্র-পত্রিকাও আজকার চাপা উল্লাসে পিকিংয়ের নীতি কিরূপ বিকট সে কথা বলছে। ৬ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক পোস্ট লিখেছে যে, পরিস্থিতি আরও কম গুরুতর হলে এটি রাজনৈতিক কমেডির ন্যায় প্রতিভাত হত। পত্রিকাটি লিখেছে, যে পিকিং নিজেকে ‘মুক্তি সংগ্রামের’ নেতা বলে ঘোষণা করেছিল, সে বাংলাদেশের মুক্তি- কামনাকে দমন করতে পাকিস্তানের চেষ্টাকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছে। কিন্তু এটা কমেডি নয়, বরং ট্রাজেডি। এবং এই পত্রিকাটিই লিখেছে যে, পিকিংয়ের সঙ্গে একমত হয়ে আমেরিকা এরূপ চরম এক সময়ে দিল্লির বিরুদ্ধে প্রচার যুদ্ধ চালাচ্ছে।
কিন্তু এইসব লজ্জাজনক বাগাড়ম্বর, যার সাহায্যে এই আশঙ্কাজনক মুহূর্তে চেষ্টা চালানো হচ্ছে যুদ্ধ ও শান্তির সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সম্পর্কিত আলোচনাকে রাজনৈতিক চক্রান্তের স্বার্থে ব্যবহার করার, অপ্রতিরোধ্য বাস্তবের সামনে শক্তিহীন। এই বাস্তব হলো নিজেদের আইনসম্মত অধিকারকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি নর-নারীর দৃঢ় সংকল্প।
এই হলো বাস্তব। সেই কারণেই ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভূত বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে নিষ্কৃতির একমাত্র পথ নিহিত রয়েছে যুগপৎ অব্যবহিত যুদ্ধ-বিরতি এবং রাজনৈতিক মীমাংসার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থাদি গ্রহণকে সুনিশ্চিত করার মধ্যে।
এপিএন, ১১ ডিসেম্বর, ১৯৭১
সূত্র: বাংলাদেশের সংগ্রাম ও সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা