You dont have javascript enabled! Please enable it! বাংলাদেশের গণহত্যা বিচারে প্রথম দাবি - সংগ্রামের নোটবুক

গণহত্যা বিচারে প্রথম দাবি

বাংলাদেশে যে হত্যাকাণ্ড চলছিল বিদেশি অনেকে প্রথম তা বলতে চায়নি বা জেনোসাইড শব্দটি উচ্চারণ করতে চায়নি। গণহত্যার বিচারের দাবিরতো প্রশ্নই আসে না। কিন্তু সে দাবিই করেছিল যুক্তরাজ্যের একটি সংস্থা যার নাম আমরা অনেকে জানি না।
বাংলাদেশের মানুষকে সমর্থন জানানোর জন্য অনেক সংস্থা ব্রিটেনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরকম একটি সংস্থা ছিল-ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ। সংস্থাটি সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে, অনুমান করে নিচ্ছি ব্রিটেনের কিছু আইনজীবী এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
জুন মাসের ২৫ তারিখে লন্ডনের কনওয়ে হলে তাঁরা একটি সভা আহ্বান করেছিল। সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন লেডি গিফোর্ড। সভা শেষে জন প্ল্যাটস মিলস কিউ সি বাংলাদেশের গণহত্যার বিচার দাবি করে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাব সমর্থন করেন ব্যারিস্টার অশোক সেন [ভারতের প্রাক্তন আইন মন্ত্রী]। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী [ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তন উপাচার্য], ব্যারিস্টার শাখাওয়াত হোসেন এবং ব্যারিস্টার লর্ড গিফোর্ড। সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি পাস হয়। অনুমিত, বাংলাদেশের গণহত্যার বিচার চেয়ে বিদেশে এরকম কোনো সংস্থা জুনের আগে দাবি জানায়নি।
প্রস্তাবে বলা হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদের উচিত ইসলামাবাদের পাকিস্তান সরকার এবং ঢাকায় সেনাবাহিনী ও তাদের কর্মকর্তারা গণহত্যা করছে কিনা তা জানার জন্য আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল গঠন করা উচিত। এবং জেনিভা কনভেনশন ভঙ্গ করে কেউ যদি সে অপরাধ করে থাকে তবে বিচার করে তার শাস্তি প্ৰদান—
“This public meeting resolves to require its convenors to take immediate steps to set up a preparatory committee with the Genocide convention to use the security council to establish an International War Crimes Tribunal to inquire into the conduct of the Pakistan Government in Islamabad and its military regime established in Dacca and military leaders serving them and try and punish those who may have committed crimes, in violation of the Genocide Convention.”

সূত্র: দলিলপত্র: খন্ড ১৩
একাত্তরের বন্ধু যাঁরা- মুনতাসীর মামুন