যুক্তরাজ্যের সংসদে প্রথম যিনি বললেন
গণহত্যা শুরু হলে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সদস্যরা বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে তখনও বর্হিদেশীয় রাষ্ট্রসমূহ স্পষ্ট কোনো ধারণা পায়নি বা এ সম্পর্কে কী নীতি হবে তাও ঠিক হয়নি। কিন্তু সে সময়ই ৩১ মার্চ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের সদস্য রাসেল জনস্টোন পরিষ্কার ভাষায় বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনিই প্রথম সংসদ সদস্য যিনি বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন— পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকটের গড়ে ওঠা এতদিন আশঙ্কার সঙ্গে আমরা পর্যবেক্ষণ করছিলাম। সবকিছু এখনও স্পষ্ট নয়। অনেক কিছু পরস্পর বিরোধী কিন্তু দুটি বিষয় অস্বীকার করা যায় না। প্রথমত
“Firstly there is clear majority demand for independence in East Pakistan.”
দ্বিতীয়ত এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সরকার সৈন্য পাঠাচ্ছে এবং নির্যাতন চালাচ্ছে। প্রত্যক্ষ সূত্র অনুসারে সিভিলিয়ানদের ব্যাপক হারে হত্যা করা হচ্ছে।
“[repressive measure] have been savage and indiscriminate and have resulted in the widespread slaughter of civilians.”
এছাড়া বন্যায় ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পূর্বপাকিস্তান। সেখানেও ত্ৰাণ অব্যাহত রাখতে হবে।
ব্রিটেন এখন এই যুক্তি দেখাতে পারবে না যে এটি অভ্যন্তরীণ বিষয় আমরা যা দেখছি তা অসহ্য বর্বরতা যা চরম রাজনৈতিক ভুলের কারণে ঘটছে এবং যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কমনওয়েলথের সিনিয়র সদস্য হিসেবে ব্রিটেনের উচিত শান্তি ও একটি সমাধানে পৌঁছাতে সাহায্য করা।
সূত্র: Bangladesh Documents
একাত্তরের বন্ধু যাঁরা- মুনতাসীর মামুন