ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব স্টুডেন্টস এর আবেদন
যুক্তরাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়-এর ছাত্রদের সংগঠন ‘ন্যাশনাল ইউনিয়ন’। অনেক সচেতন সংগঠনের মতো তাঁরাও বাংলাদেশের সমর্থনে এগিয়ে এসেছিল। দেরি হলেও ১১ অক্টোবর তাঁরা একটি বিবৃতি প্রকাশ করে যা সারা যুক্তরাজ্যে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ইউনিয়ন জানিয়েছিল— পূর্ববঙ্গের সাড়ে সাত কোটি মানুষ পাকিস্তান সামরিক জান্তার সুসংগঠিত গণহত্যার ভিকটিম, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ৬০ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। যাঁরা রয়ে গেছেন তাঁরা মৃত্যুর সঙ্গে বসবাস করছেন।
আওয়ামী লীগের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ভোট দিয়েছিল। সামরিক শাসকরা জনগণের এই রায় মানেনি। বরং “In the true manner of a totalitarian army of occupation, the Pakistan army has directed all its wrath against political and professional leaders, teachers, students and writers.”
পূর্ববঙ্গে যা ঘটছে তা আর পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নয়। এবং তা বিশ্ব বিবেকের কাছে প্রশ্ন। বিশ্ব সম্প্রদায় কি এই বর্বরতার নিশ্চুপ সাক্ষী থাকবে? সে জন্য আমরা বিশ্বের বিবেকবানদের কাছে আবেদন জানাবো তাদের প্রভাব ব্যবহার করে দাবি জানাতে—
১. এখনই সামরিক দমননীতি বন্ধ করতে হবে
২. পূর্ববঙ্গের মানুষদের কাছে গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক সমাধান হতে হবে
৩. এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে হবে যাতে নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে শরণার্থীরা ফিরতে পারে
৪. সামরিক শাসন ও রাজনৈতিক মীমাংসা দীর্ঘায়িত হতে পারে সে কারণে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করতে হবে।
ইউনিয়ন বিশ্বের সব দেশের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, যাতে এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে যাতে দ্রুত শরণার্থীরা ফিরতে পারে।
সূত্র: দলিলপত্র: খন্ড ১৩
একাত্তরের বন্ধু যাঁরা- মুনতাসীর মামুন