সাঘাটায় অ্যাম্বুশ, গাইবান্ধা
ঈদুল ফিতরের ২ দিন আগে গাইবান্ধার সাঘাটা এলাকার রুস্তম আলী খন্দকার তার কোম্পানীকে চার কোম্পানীকে চার ভাগে বিভক্ত করে ব্রিজের উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণ দিকে অবস্থান গ্রহণের নির্দেশ দেন। উপদল চারটি সামসুল আলম, মহসিন, নাজিমুদ্দিন এবং এনামুলের নেতৃত্বে কমান্ডারের নির্দেশিত অবস্থানে লুকায়িত অবস্থায় অপেক্ষা করতে থাকে। মুক্তিবাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণের ফলে শত্রু দিশাহারা হয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে তারা বাংকার থেকে পলায়নের চেষ্টা করে। সে সময় কমান্ডার রুস্তম আলী খন্দকার-এর নেতৃত্বে দুইটি দল শত্রুর অবস্থানের ওপর সশরীরে হামলা করে এবং ২০ জনের মধ্যে ১৯ জনকে হত্যা করে। শত্রুর বাংকার থেকে মুক্তিসেনারা প্রচুর অস্ত্র এবং গোলাবারুদ জব্দ করে যা তাদের পরবর্তী অভিযানগুলোকে সফল করতে বহুলাংশে সাহায্য করেছিল।
[৫৯৬] অমিত কুমার বিশ্বাস
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত