শ্যামপুর যুদ্ধ, বাকেরগঞ্জ
বাকেরগঞ্জ থানার শ্যামপুর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীনের ক্যাম্প ছিল। ১৫ নভেম্বর বিমান বাহিনীর জহিরুদ্দীন একটি দল নিয়ে শ্যামপুর পৌঁছেছিল। ১৬ নভেম্বর ৬ নং পাঞ্জাব রেজিমেন্ট হঠাৎ শ্যামপুর আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনী তাদের আক্রমণ প্রতিহত করে। তুমুল যুদ্ধ চলে। মন্টু তার এলএমজি দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের পিছু হটতে সাহায্য করে। সেদিন এলএমজি না থাকলে অনেক মুক্তিযোদ্ধা নিহত হতো। শ্যামপুর যুদ্ধে মঙ্গশীর শাহজাহান ও কর্ণকাটির আর্মি মোতালেব, কাদের ও রশীদ শহীদ হন। মোতালেব একটি পুত্র সন্তান লাভ করেছিল। কিন্তু তিনি তার সন্তানকে দেখে যেতে পারেননি। ১৮ নভেম্বর পাকিস্তান রেডিও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করলো যে পাকসেনারা বাকেরগঞ্জ থানার শ্যামপুরে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা হত্যা করেছে।
[৫৭] সিরাজ উদ্দীন আহমেদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত