You dont have javascript enabled! Please enable it! ব্রিগেডিয়ার মিয়া তাসকীন উদ্দিন, লে. কর্নেল জায়েদী, মেজর আকবর ও তাদের সহযোগীদের লালমাই-এ সংঘটিত গণহত্যা, নির্যাতন ও যুদ্ধাপরাধ - সংগ্রামের নোটবুক

মিঞা তাসকীন উদ্দীন, ব্রিগেডিয়ার (২১ আজাদ কাশ্মীর, পিএ-১১৪৮)
জায়েদী, লে. কর্ণেল (২১ আজাদ কাশ্মীর)
পদ: ইপিসিএএফ
আকবর, মেজর ৯১ ব্রিগেড
কুমিল্লা, লালমাই।
আব্দুল কাদির খান, ব্রিগেডিয়ার (৯৩ ব্রিগেড, পিএ-১৬৭৪)
পদ: ব্রিগেড কমান্ডার
জায়েদী, লে. কর্নেল (৯১ ব্রিগেড)
পদ: ইপিসিএএফ

অপরাধ: ব্রিগেডিয়ার তাসকীন ছিল ৯১ ব্রিগেডের সদর দপ্তরের প্রধান। ব্রিগেডিয়ার তাসকীনের নির্দেশে কর্ণেল জায়েদী ও অন্যান্য অধস্তন অফিসাররা লালমাই অঞ্চলে গণহত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞসহ যাবতীয় মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে।
হামুদুর রহমান কমিশনের নিকট প্রদত্ত সাক্ষ্যে তাসকীন স্বীকার করে যে তার অধস্তন অফিসাররা আইন হাতে তুলে নিয়েছিল। ধলঘাট নামক একটি কমান্ড অঞ্চলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাঙালিদেরকে বিনাবিচারে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয় বলেও সে স্বীকার করে।
কুমিল্লার কোতোয়ালী থানার লালমাই-এ মেজর আকবরের নেতৃত্বে পাক হানাদার বাহিনী ব্যাপক গণহত্যা চালায়। ২৭ মার্চ পাকবাহিনী এখানকার সিএন্ডবি’র বাংলো ও তার আশপাশের এলাকা দখল করে প্রায় দশ সহস্রাধিক লোক হত্যা করে। এরা সিএন্ডবি’র বাংলোকে নির্বিচার ধর্ষণের দূর্গ হিসেবে ব্যবহার করে। এখানকার প্রতি ইঞ্চি জায়গা খুঁড়লে পাওয়া যাবে শহীদদের হাড়গোড় ও কঙ্কাল। মেজর আকবর ছিল এখানকার সকল হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের মূল হোতা।
সাক্ষী: বড়ধর্মপুরের আব্দুল মালেকের সাক্ষ্যে জানা যায়, পাকিস্তানী আর্মিরা লালমাই-এর সিএন্ডবি’র বাংলো ও এর আশপাশ এলাকার ১০ হাজার বাঙালিকে হত্যা করে। তিনি তাঁর গ্রামের অন্যান্য সকল হত্যাকাণ্ডের জন্যও মেজর আকবরকে দায়ী করেন।
ব্রিগেডিয়ার মিয়া তাসকীন উদ্দিন, লে. কর্নেল জায়েদী, মেজর আকবর ও তাদের সহযোগীদেরকে লালমাই-এ সংঘটিত গণহত্যা, নির্যাতন, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা যায়।
[১৪] ডা. এম.এ. হাসান

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত