মিয়ার বাজার যুদ্ধ-১, কুমিল্লা
১০ জুন রাতে লেফটেন্যান্ট মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্লাটুন মিয়ার বাজারের দক্ষিণে রাজারমার দিঘি ও জগমোহনপুর কাচারীর শত্রু অবস্থানের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। পাকসেনারা এই সাহসী আক্রমণে সম্পূর্ণরূপে হতচকিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের ব্যাংকারে গ্রেনেড ছুঁড়ে ৮ জন পাকসেনাকে নিহত ও ৫ জনকে আহত করে। পাকসেনারা বাধ্য হয়ে তাদের অবস্থান পরিত্যাগ করে। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থানটি দখল করে বাংকারগুলি ধ্বংস করে দেয় এবং পাকদের পরিত্যক্ত অস্ত্রশস্ত্র হস্তগত করে। ঐ দিনই দু’টি অ্যাম্বুশ পার্টি ফুলতলি এবং মিয়ার বাজারের কাছে অ্যাম্বুশ পাতে। পাকসেনাদের দু’টি গাড়ি রাত সাড়ে চারটায় ফুলতলিতে অ্যাম্বুশের ফাঁদে পড়ে। অ্যাম্বুশ পার্টি একটি গাড়ি ধ্বংস করে দেয় এবং অপর গাড়িটির ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। শেষের গাড়িটির ভিতর অ্যাম্বুশ পার্টি দু’টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শত্রুদের ৬ জন নিহত হয়। মিয়ারবাজারে অ্যাম্বুশেও পাকসেনাদের ৫জন লোক নিহত হয়। অ্যাম্বুশ পার্টি একটি মর্টার দখল করে নেয়।
[১৮] আবুল কাশেম হৃদয়
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত