ভেটখালী যুদ্ধ, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার ভেটখালী ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে রাজাকারদের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল। তাদের অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। এলাকার লোকজন তাদেরকে উৎখাতের চেষ্টা নেয় কয়েকবার। কিন্তু সক্ষম হয় না। পক্ষান্তরে রাজাকার বাহিনীর দৌরাত্ম্য আরও বাড়ে। এখানে ৭০/৭৫ জন রাজাকার ও কয়েকজন পাঞ্জাবী-মিলিশিয়া থাকতো। এ ক্যাম্প আক্রমণের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা পরিকল্পনা করে। কৈখালী ক্যাম্প হতে নদী পার হয়ে সামসুর রহমান কারিগরের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের মুক্তিযোদ্ধার দল এ আক্রমণে অংশ নেয়। এ যুদ্ধে অন্যদের মধ্যে এল.এম.জি. এন্তাজ (এল.এম.জিতে পারদর্শিতার জন্য খেতাব), নিরাপদ বাইন, পরিতোষ, আমজাদ, আশাশুনির আবুবকর প্রমূখ অংশগ্রহণ করে। প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে দুপুরের পরপরই তারা রাজাকার ক্যাম্পের কাছাকাছি পৌঁছে আক্রমণ শুরু করে। রাজাকাররাও পাল্টা ফায়ার শুরু করে। সন্ধ্যার দিকে রাজাকারদের পাল্টা গুলিবর্ষণ থেমে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে রাজাকাররা ক্যাম্প ছেড়ে পিছন দিক দিয়ে গোপনে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাম্প দখল করে। ক্যাম্পে পরবর্তীতে আবার রাজাকাররা যাতে ঘাঁটি করতে না পারে সে জন্য মুক্তিযোদ্ধারা বিস্ফোরক দিয়ে ক্যাম্প ভবনটি উড়িয়ে দেয়।
[১২] আশেক-ই-এলাহী
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত