You dont have javascript enabled! Please enable it! টাঙ্গাইল জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের সমাধিস্থলের তালিকা - সংগ্রামের নোটবুক

টাঙ্গাইল জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের সমাধিস্থলের তালিকা

ক্রমিক নম্বর শহীদের নাম ঠিকানা যুদ্ধের বিবরণ সমাধিস্থল
গোলাম রাব্বানী

পিতাঃ আহেদ আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ বেগুনবাড়ি,

থানাঃ কোতায়ালী,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

চেচোয়া চড়াঘাঁটি ব্রিজের কাছে শত্রুর বাংকার আক্রমণকালে মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রাব্বানী শাহাদতবরণ করেন। নিজ বাসস্থান।
সিরাজুল ইসলাম

পিতাঃ  তারা মিয়া,

গ্রাম ও ডাকঃ আকুয়া দক্ষিণপাড়া,

থানাঃ  কোতায়ালী,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

গোপালনগরের যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম শাহাদত বরণ করেন। গোপালনগর খিদির হাজির বাড়ির কাছে কাঁচা কবর।
আজিজুল হক

পিতাঃ তজিম উদ্দিন

পিতাঃ  তজিম উদ্দিন

গ্রাম ও ডাকঃ আকুয়া চুকাইতলা,

থানাঃ  কোতোয়ালী,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

গোপালনগরের যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হকের শাহাসতবরণ। গোপালনগর খিদির হাজীর বাড়ির কাছে কাঁচা কবর।
আবু চান

পিতাঃ  মমিন উস্তাগার

গ্রাম ও ডাকঃ ময়মনসিংহ,

থানাঃ  কোতোয়ালী,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

আকুয়া ভোটঘারের যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আবু চানের শাহাদতবরণ। আকুয়া দক্ষিনপাড়ায় জুকার মিয়ার বাড়ির নিকট কাঁচা কবর।
আব্দুল মোতালেব

পিতাঃ আমির হোসেন মুন্সী

ডাকঃ সেনের চর,

থানাঃ  অষ্টধার,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

বোরের চর ভাটিপাড়ার যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালব শাহাদতবরণ করেন। মাটিয়াস তলায় কাঁচা কবর।
শামসুল হক

পিতাঃ মোঃ আব্দুর রহিম

গ্রামঃ রসুলপুর,

ডাকঃ কুমারুলী,

থানাঃ নান্দাইল,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর নান্দাইল থানা ক্যাম্পে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ। সেখানে গুলি বিনিময় কালে ১৭ বৎসর বয়স্ক শামসুল হক শত্রুর গুলিতে শাহাদতবরণ করেন। নান্দাইল বাজার এলাকায় বর্তমান ভূমি অফিস সংলগ্ন পাকা কবর।
ইলিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া

পিতাঃ মৃত হাজী মোহাম্মদ হোসাইন, গ্রামঃ মেরাকুনা,

ডাকঃ পাচরুখা,

থানাঃ নান্দাইল,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

নান্দাইল বাজার এলাকায় বর্তমান সাব-রেজিস্টার অফিসের পিছনে পাকা কবর।
হাবিবুর রহমান

পিতাঃ মৃত সমসের রহমান

গ্রামঃ ভাটি সাতার,

ডাকঃ হেমগঞ্জ,

থানাঃ নান্দাইল,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর গোপনে কিশোরগঞ্জ স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থান পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহ করতে এসে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধৃত এবং গুলিতে শাহাদতবরণ করেন। নিজ বাসস্থান ভাটি সাভারে কাঁচা কবর।
শামসু

পিতাঃ ইউনুছ আলী,

থানাঃ ঈশ্বরগঞ্জ,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৯৭১ সালের ২৭ অক্টোবর দত্তপাড়া থানা আক্রমণকালে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা শামসু শাহাদতবরণ করেন।  দত্তপাড়া থানা এলাকায় পাকা কবর।
১০ আনোয়ারুল হোসেন

পিতাঃ নাম পাওয়া যায়নি

থানাঃ ঈশ্বরগঞ্জ,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১১ মান্নান

পিতাঃ মোঃ আবু মিয়া,

থানাঃ ঈশ্বরগঞ্জ,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১২ তাহের

পিতাঃ  আবু তালেব ফকির

থানাঃ ঈশ্বরগঞ্জ,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৩ মতিউর রহমান

পিতাঃ নুর আলী,

থানাঃ ঈশ্বরগঞ্জ,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৪ আব্দুল খালেক

পিতাঃ খোরশেদ উদ্দিন

থানাঃ ঈশ্বরগঞ্জ,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার পিছনে খালের পাড়ে পাকা কবর।
১৫ হাতেম

পিতাঃ নাম পাওয়া যায়নি

থানাঃ ঈশ্বরগঞ্জ,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৬ এবিএম আব্দুস সবুর

পিতাঃ মৃত শের আলী সরকার,

গ্রামঃ পাঁচপাড়া,

ডাকঃ টকপাঁচপাড়া ৬ নম্বর ইউনিয়ন,

থানাঃ ত্রিশাল,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে মুক্তিবাহিনী কর্তৃক রেল স্টেশনে পাকিস্তানি বাহিনীর উপর আক্রমণ । আক্রমণ কালে মুক্তিবাহিনীড় দলনেতা ডিএমপি ( পুলিশ ) আব্দুস সবুরের শত্রুর গুলিতে শাহাদতবরণ করেন। নিজ বাসস্থানে মসজিদের কাছাকাছি কাঁচা কবর।
১৭ কদম আলী,

পিতাঃ রমজান সরদার,

গ্রামঃ ধানীখোলা ,

ডাকঃ ধানী খোলা

থানাঃ ত্রিশাল,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

ধানীখোলা ময়েজউদ্দিন ডাক্তারের বাড়িতে হঠাৎ আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধা কদম আলীর  শাহাদতবরণ। পারিবারিক কবরস্থানে কাঁচা কবর।
১৮ আব্দুর রহমান

পিতাঃ মৃত ওসমান আলী মন্ডল

গ্রামঃ বইলর মুখী পাড়া,

ডাকঃ বইলর,

থানাঃ ত্রিশাল,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার বাঙনামারী চরে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান শাহাদতবরণ করেন। নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৯ আলতাফ আলী

পিতাঃ মৃত মুন্সী আহমেদ আল বাজারী

গ্রাম ও ডাকঃ সানকি ভাঙ্গা,

থানাঃ ত্রিশাল,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

ভান্ডাবরে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ আলী শহীদ হন। ১১ নম্বর ইউনিয়ন কবরস্থানে কাঁচা কবর।
২০ জয়নাল আবেদীন

পিতাঃ মৃত দবির উদ্দিন শেখ,

গ্রাম ও ডাকঃ সানকি ভাঙ্গা,

থানাঃ ত্রিশাল,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
২১ আক্কাস আলী

পিতাঃ মৃত সবজে আলী

গ্রাম ও ডাকঃ আমিরা বাড়ি

থানাঃ ত্রিশাল,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
২২ মমতাজ উদ্দিন

পিতাঃ মৃত সোনা উল্লাহ শেখ

গ্রাম ও ডাকঃ আমিরা বাড়ি

থানাঃ ত্রিশাল,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

ভাউয়ালিয়া বাজু, ভালুকা সম্মুখযুদ্ধে শাহাদতবরন করেন। নিজ বাসস্থানের কাঁচা কবর।
২৩ জালাল উদ্দিন

পিতাঃ মৃত মহর উদ্দিন

গ্রাম ও ডাকঃ বাঘাইতলা,

থানাঃ হালুয়াঘাট,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৯৭৯১ সালের ১৪ নভেম্বর কামালপুর যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শাহাদতবরণ করেন। কামালপুর ,

শেরপুর।

২৪ আরং রিসিল

পিতাঃ মৃত আদাই সাংমা

গ্রাম ও ডাকঃ বাঘাইতলা,

থানাঃ হালুয়াঘাট,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

 

২৫ আক্তার হোসেন

পিতাঃ মৃত মোবারক আলী সরদার

গ্রাম ও ডাকঃ মাজরাকুড়া,

থানাঃ হালুয়াঘাট,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৯৭১ সালের ২ নভেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর সীমান্ত ক্যাম্প দখল করার সময় মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন শাহাদতবরণ করেন। তেলিখালী বিডিআর ক্যাম্পের নিকটবর্তী গণকবর।
২৬ আজিজুল হক

পিতাঃ মৃত আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া

গ্রামঃ কুমার গাতী,

ডাকঃ মাজরাকুড়া,

থানাঃ হালুয়াঘাট,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৯৭১ সালের ৬ আগস্ট বান্দরকাটা পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প দখল যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আজিজুল হকের শত্রুর গুলিতে শাহাদতবরণ করেন। গোবড়াকুড়া, ভারত ও বাংলাদেশ সীমানার মাঝামাঝি জায়গায়।
২৭ পরিমল দ্রং

 পিতাঃ মৃত জয়গম্বর রিসিল

গ্রামঃ মনিকুড়া,

ডাকঃ হালুয়াঘাট,

থানাঃ হালুয়াঘাট,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

২৮ হয়রত আলী

পিতাঃ মৃত বসির উদ্দিন,

গ্রামঃ হোসেনপুর,

ডাকঃ ভাইটকান্দি,

থানাঃ ফুলপুর,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে তেলিখালী ক্যাম্প দখল যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হয়রত আলী শহীদ হন। তেলিখালী ক্যাম্প।
২৯ জসিম উদ্দিন

পিতাঃ মিয়াসর আলী,

গ্রামঃ কাউরাট,

ডাকঃ গোবিন্দপুর,

থানাঃ গোবিন্দপুর,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

পলাশকান্দা গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন শাহাদতবরণ করেন। পলাশকান্দা কাঁচা কবর।
৩০ সুধীর বড়ুয়া

পিতাঃ অশ্বিনী বড়ুয়া

গ্রাম ও ডাকঃ পটিয়া,

থানাঃ গৌরিপুর,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

শ্যামগঞ্জ পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে সুধীর বড়ুয়া শাহাদতবরণ করেন। শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে ঘাটের উত্তর পাশে কাঁচা কবর।
৩১ আফাজ উদ্দিন

পিতাঃ নবী হোসেন

গ্রাম ও ডাকঃ বালিঝড়ি,

থানাঃ গৌরিপুর,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

সরচাপুর পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আফাজ উদ্দিন শহীদ হন। বালিঝুড়িতে কাঁচা কবর।
৩২ মতিউর রহমান

পিতাঃ নজম আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ বীর আহাম্মদপুর,

থানাঃ গৌরিপুর,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার সম্মুখে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান শাহাদতবরণ করেন। ঈশ্বরগঞ্জ থানার সামনে কাঁচা কবর।
৩৩ মোহাম্মদ করিম

পিতাঃ মৃত আতছর রহমান

গ্রাম ও ডাকঃ লামকাইন,

থানাঃ গফরগাঁও,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর কন্যামন্ডল যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ করিম শাহাদতবরণ করেন। লামকাইন গ্রামে কাঁচা কবর।
৩৪ নিজাম উদ্দিন

পিতাঃ মৃত ইদ্রিস আলী

গ্রামঃ নয়াবাড়ি,

ডাকঃ কান্দিপাড়া,

থানাঃ গফরগাঁও,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর কাওরাঈদ, গয়েশপুর যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন শহীদ হন। কান্দিপাড়ায় কাঁচা কবর।
৩৫ আব্দুল মান্নান

পিতাঃ মৃত হালিম উদ্দিন

গ্রামঃ ছোড়বড়াই,

ডাকঃ কাওরাঈদ,

থানাঃ গফরগাঁও,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৯৭১ সালের ৩০ জুন শহীদ নগরে মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের শাহাদতবরণ। শহিদনগরে কাঁচা কবর।
৩৬ আব্দুল মান্নান

পিতাঃ আব্দুল জব্বার,

গ্রামঃ পাতলাশী,

ডাকঃ কুরচাই,

থানাঃ গফরগাঁও,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর গফরগাঁও ত্রিমোহনী যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান শহীদ হন। পাতলাশী গ্রামে কাঁচা কবর।
৩৭ মোঃ জামাল উদ্দিন

পিতাঃ ইমাম উদ্দিন

গ্রামঃ পাতলাশী,

ডাকঃ কুরচাই,

থানাঃ গফরগাঁও,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

পাতলাশী গ্রামে কাঁচা কবর।
৩৮ হাশেম খান

পিতাঃ আব্দুর রহমান খান

গ্রামঃ মাখল,

ডাকঃ নিগুয়ারি,

থানাঃ গফরগাঁও,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৯৭১ সালের ঈমঘুরের যুদ্ধে হাশেম খান শহীদ হন। পাগলা বাজারে কাঁচা কবর।
৩৯ ফজলুল হক ফকির

পিতাঃ সুরুজ আলী ফকির

গ্রাম ও ডাকঃ বারাইহাটি,

থানাঃ গফরগাঁও,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৯৭১ সালের ১২ জুন কন্যামন্ডল যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক ফকির শাহাদতবরণ করেন। বারইহাটি গ্রামে কাঁচা কবর।
৪০ মোঃ সহিদ মিয়া

পিতাঃ মৃত এলাহি

গ্রাম ও ডাকঃ দুবাশিয়া,

থানাঃ গফরগাঁও,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

দুবাশিয়া গ্রামে কাঁচা কবর।
৪১ ইসব আলী

পিতাঃ মৃত আব্দুস ছোবাহান

গ্রাম ও ডাকঃ ট্যাংগাবর,

থানাঃ গফরগাঁও,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

ট্যাংগাবর গ্রামে কাঁচা কবর।
৪২ মইজ উদ্দিন

পিতাঃ হুরমত আলী

গ্রাম ও ডাকঃ দুবাশিয়া,

থানাঃ গফরগাঁও,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

১৯৭১ সালের ৫ অক্টোবর দুবাশিয়া যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মইজউদ্দিন শহীদ হন। দুবাশিয়া গ্রামে কাঁচা কবর।
৪৩ হাসেন আলী

পিতাঃ মুছলেম উদ্দিন

গ্রামঃ রায়থুরা,

ডাকঃ মুক্তাগাছা,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হাসেন আলী শহীদ হন। রায়থুরা গ্রামে কাঁচা কবর।
৪৪ হাতেম আলী

পিতাঃ মৃত জিয়া ফরাজী

গ্রামঃ মহিষতারা,

ডাকঃ ঝনকা বাজার,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি থানার তন্তর যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী শহীদ হন। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি থানার তন্ত্র নামক স্থানে সমাধি।
৪৫ বাবর আলী

পিতাঃ ফরমান আলী

গ্রামঃ নন্দী বাড়ি,

ডাকঃ মুক্তাগাছা,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

৪৬ আব্দুস সাত্তার

পিতাঃ আবেদ আলী,

গ্রামঃ কাতকাই,

ডাকঃ ঝনকা বাজার,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

৪৭ সেহার আলী

পিতাঃ নায়েব আলী

গ্রামঃ গাটিরী,

ডাকঃ পদুরবাড়ি,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

৪৮ উমেদ আলী

পিতাঃ  জনাব আলী

গ্রামঃ চন্ডীমন্ডপ,

ডাকঃ চেচুয়া,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

৪৯ আব্দুল খালেক মির্জা

পিতাঃ আব্দুল জব্বার মির্জা

গ্রামঃ নন্দীবাড়ি,

ডাকঃ মুক্তাগাছা,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

৫০ নুরুল ইসলাম

পিতাঃ আব্দুর রহমান আকন্দ

গ্রামঃ বন্ধগোয়ালিয়া,

ডাকঃ রামভদ্রপুর,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

৫১ মনির উদ্দিন

পিতাঃ নজর আলী

গ্রামঃ ভাবকি,

ডাকঃ মুক্তাগাছা,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

৫২ আজগর আলী

পিতাঃ জবেদ আলী

গ্রামঃ নন্দীবাড়ী,

ডাকঃ মুক্তাগাছা,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

৫৩ মকবুল হোসেন

পিতাঃ আহাজ উদ্দিন মন্ডল

গ্রাম ও ডাকঃ কাঠবউলা,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

৫৪ সাহেব আলী

পিতাঃ মুছলেম উদ্দিন

গ্রাম ও ডাকঃ শিমলা,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। ভালুকা থানা এলাকায় সমাধি।
৫৫ মহর আলী

পিতাঃ অহেদ আলী

গ্রামঃ কান্দুনিয়া,

ডাকঃ বেগুনবাড়ি,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

ময়মনসিংহ জেলার সদর থানায় বোররচর গ্রামে কাঁচা কবর।
৫৬ আবুল কালাম

পিতাঃ জাহিদ আলী,

গ্রামঃ তারাটি চরপাড়া,

ডাকঃ তারাটি ,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি যুদ্ধে শাহাদতবরণ করেন। জামালপুর জেলায় সরিষাবাড়ি এলাকায় সমাধিস্থল।
৫৭ হযরত আলী

পিতাঃ মাসুদ আলী,

গ্রামঃ সুহিলা,

ডাকঃ ঝনকা বাজার,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার উচাখিলা যুদ্ধে শাহাদতবরণ করেন। উচাখিলা চরআলগী গ্রামে কাঁচা কবর।
৫৮ শামছুল হক

পিতাঃ লাবু মন্ডল,

গ্রামঃ শশাকান্দা পাড়া,

ডাকঃ খামারের বাজার,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার যুদ্ধে শহীদ হন। ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানা এলাকায় সমাধি।
৫৯ আজিজুল রহমান

পিতাঃ জাফর আলী,

গ্রামঃ লক্ষ্ণীখোলা,

ডাকঃ মুক্তাগাছা,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার খেরুয়াজানি ইউনিয়নের যুদ্ধে শহীদ হন। পৌর কবরস্থান,

মুক্তাগাছা, কাঁচা কবর।

৬০ গিয়াস উদ্দিন

পিতাঃ মোঃ নাছির উদ্দিন সরকার,

গ্রামঃ ধুরধুরিয়া,

ডাকঃ আলীপুর,

থানাঃ ফুলবাড়িয়া,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

ত্রিশাল থানার যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন শাহাদতবরণ করেন। ধুরধুরিয়া গ্রামের মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে কাঁচা কবর।
৬১ হযরত আলী

পিতাঃ মৃত সাবু মন্ডল,

গ্রামঃ আকতা,

ডাকঃ বাবুগঞ্জ,

থানাঃ ফুলবাড়িয়া,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

রাঙামাটিয়ার যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী শাহাদত বরন করেন। কবর কোথায় দেয়া হয়েছে জানা যায়নি।
৬২ আব্দুর রশিদ
পিতাঃ মৃত সদরজমা মন্ডল,

গ্রামঃ খাটপুড়া,

ডাকঃ চচুয়া বাজার,

থানাঃ নেত্রকোনা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর ভোর নেত্রকোনায় মুক্তিবাহিনীর চূড়ান্ত আক্রমণকালে মোক্তার পাড়ার মগড় নদীর ব্রিজে যুদ্ধের সময় শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। নিজ বাসস্থান।
৬৩ আব্দুল জব্বার খাঁন ( আবু খাঁ)

পিতাঃ মৃত হাসান আলী খাঁন,

গ্রামঃ গাবরাগতী,

ডাকঃ নাড়িয়াপাড়া,

থানাঃ নেত্রকোনা

জেলাঃ নেত্রকোনা।

নেত্রকোনা পৌর কবরস্থান।
৬৪ আবু সিদ্দিক আহম্মেদ (সাত্তার )

পিতাঃ মৃত ভুমন শেখ,

গ্রামঃ গাবরাগাতী,

ডাকঃ নাড়িয়াপাড়া,

থানাঃ নেত্রকোনা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

৬৫ আব্দুল কাদির

পিতাঃ মৃত নঈম উদ্দিন,

গ্রামঃ কুনিয়া,

ডাকঃ কুনিয়া,

ডাকঃ কুমারী,

থানাঃ নেত্রকোনা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

নিজ বাসস্থান।
৬৬ লুৎফর রহমান

পিতাঃ মৃত আব্দুল সোবহান তালুকদার

গ্রামঃ নন্দীপুর,

ডাকঃ বেখৈরহাট,

থানাঃ নেত্রকোনা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

মোঃ লুৎফর রহমান ভারতের তুরা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশের হালুয়াঘাট সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত শেষে হালুয়াঘাট থানাধীন নাগলা বাজার যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ লুৎফর রহমান শহীদ হন। নাগলা বাজার,

হালুয়াঘাট।

৬৭ বদিউজ্জামান (মুক্তা)

পিতাঃ নাম জানা যায়নি,

গ্রামঃ বিরামপুর,

থানাঃ নেত্রকোনা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান মুক্তা রেকি করার জন্য নেত্রকোনা শহরে প্রবেশ করেন। গ্রেনেডসহ পাকিস্তানি সেনারা হাতে ধরে পড়েন এবং গুলিতে শাহাদতবরণ করেন। নেত্রকোনা সদর থানা মোক্তার পাড়া সেতু সংলগ্ন।
৬৮ আব্দুল আজিজ

পিতাঃ মৃত ডাঃ মোঃ মকবুল হোসেন,

গ্রামঃ দিগলা,

ডাকঃ কেয়ামতলা,

থানাঃ কলমাকান্দা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই সীমান্ত ক্যাম্প লেংগোরার ৩ মাইল দক্ষিণে নাজিরপুর বাজারে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল আজিজ শহীদ হন। কলমাকান্দা থানার উত্তরাংশে সীমান্ত পিলার সংলগ্ন গণকবর।
৬৯ ফজলুল হক

পিতাঃ মৃত ফরহাদ আলী,

গ্রামঃ নাগড়া,

ডাকঃ নেত্রকোনা,

থানাঃ কলামাকান্দা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

৭০ নুরুজ্জামান

পিতাঃ মোফাখারুল ইসলাম,

গ্রামঃ মৌলাদিয়া,

ডাকঃ বীর আহম্মদপুর,

থানঃ গৌরীপুর,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

৭১ ইয়ার মামুদ

পিতাঃ শেখ লহর মামুদ,

গ্রামঃ রঘুনাথপুর,

ডাকঃ আধাপাকিয়া,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

৭২ ভবতোশ চন্দ্র দাস

পিতাঃ দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস,

গ্রামঃ বড়গ্রাম,

ডাকঃ যোগান টুলা,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

৭৩ দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস

পিতাঃ যতিন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস,

গ্রামঃ বড়গ্রাম,

ডাকঃ যোগান টুলা,

থানাঃ মুক্তাগাছা,

জেলাঃ ময়মনসিংহ।

৭৪ পাইলট ইসলাম উদ্দিন

পিতাঃ মৃত আব্দুল মজিদ মন্ডল,

গ্রামঃ রঘুরামপুর,

ডাকঃ কমলাকান্দা,

থানাঃ কমলাকান্দা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

তৎকালীন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পাইলট মুক্তিযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিন। ১১ নম্বর সেক্টরের অধীন যুদ্ধ করেন। ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর কুড়িগ্রাম জেলার আব্দুল্লাহপুর থানার যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে বল্লা বাজারে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প  আক্রমণকালে শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। বল্লা বাজার, থানঃ আব্দুল্লাহপুর,

জেলাঃ কুড়িগ্রাম।

৭৫ হাফিজ উদ্দিন

পিতাঃ সদর আলী ফকির ,

গ্রামঃ পশ্চিম লেংগুরা,

ডাকঃ লেংগুরা বাজার,

থানাঃ কমলাকান্দা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শিববাড়ি সীমান্ত ক্যাম্প মুক্তিবাহিনী আক্রমণ করে, যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাফিজ উদ্দিন বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে শহীদ হন। কলমাকান্দা থানার শিববাড়ি সীমান্তে দহগ্রামে কাঁচা কবর।
৭৬ আব্দুল মান্নান

পিতাঃ মৃত সদর আলী মন্ডল,

গ্রামঃ জিগাতিলা,

ডাকঃ লেংগুরা বাজার,

থানাঃ কমলাকান্দা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

৭৭ নূর আহম্মদ

পিতাঃ মৃত আব্দুল হেকিম

গ্রাম ও ডাকঃ পালগাঁও,

থানাঃ কমলাকান্দা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শিববাড়ি সীমান্ত ক্যাম্প মুক্তিবাহিনী আক্রমণ করে, যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাফিজ উদ্দিন বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে শাহাদতবরণ করেন। কলমাকান্দা থানার উত্তর সীমান্তে তেরতুপা নামক স্থানে কাঁচা কবর।
৭৮ মোখলেছুজ্জামান খান ( মোখলেছ)

পিতাঃ আব্দুল ওয়াহেদ খান,

গ্রামঃ বালিজুড়ী,
ডাকঃ মাছিয়ালী,

থানাঃ কেন্দুয়া,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর রাতে কেন্দুয়া থানাধীন বসুর বাজার সেতুতে পাকিস্তানি বাহিনীর উপর মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ। শত্রুর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুজ্জামান শাহাদতবরণ করেন। বহলী গ্রামে সাইডুলী নদীর পাড়ে ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন পাকা কবর।
৭৯ মোখলেছুর রহমান

পিতাঃ মৃত মনফর আলী তালুকদার ( নুরুল হক )

গ্রাম ও ডাকঃ কচন্দারা,

থানাঃ কেন্দুয়া,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

মোখলেছুর রহমান ভারতের তুরা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন; বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ; ১৯৭১ সালের ২৭ নভেম্বর আটপাড়া থানায় অবস্থানরত পাকিস্তানি বাহিনীর যোগাযোগ পথে দোজ গ্রামে মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশ করে। সম্মুখযুদ্ধে শত্রুর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান শাহাদতবরণ করেন। নিজ বাসস্থানে কবর।
৮০ আব্দুল গফুর

পিতাঃ মৃত আব্দুল মুতালিব মন্ডল,

গ্রাম ও ডাকঃ গোবিন্দশ্রী,

থানাঃ মদন,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

তারাইল থানা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুরের শাহাদতবরণ । গোবিন্দশ্রী গ্রামে পাকা কবর।
৮১ আব্দুর রাজ্জাক

পিতাঃ মৃত নবী হোসেন তালুকদার

গ্রামঃ আলমশ্রী,

ডাকঃ রাজতলা,

থানাঃ মদন,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

মদন থানার অন্তর্গত ফতেহপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্নগোপন। ১৯৭১ সালের ২৪ নভেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী বুলবুল চৌধুরী বাড়ি আক্রমণ করে। তারাইল থানাধীন ধলা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধার দল কর্তৃক পাকিস্তানি বাহিনীর গতিরোধ; সম্মুখযুদ্ধে ফতেহপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক শাহাদতবরণ করেন। নিজ বাসস্থানে পাকা কবর।
৮২ মফিজ উদ্দিন

পিতাঃ মৃত আব্দুল মজিদ

গ্রাম ও ডাকঃ কাইটাইল,

থানাঃ মদন,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

সুনামগঞ্জের তাহেরপুর থানা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মজিজ উদ্দিন শহিদ হন। শহীদ লাশ নেত্রকোনা জেলাধীন নিজ বাসস্তানে সমাহিত। নিজ বাসস্থানে পাকা কবর।
৮৩ মোহাম্মদ আলী কাজল

পিতাঃ মৃত মোফাজ্জেল হোসেন তালুকদার,

গ্রামঃ মনোহরপুর,

ডাকঃ জাহাঙ্গীরপুর,

থানাঃ মদন,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে ধানুয়া কামালপুর যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কাজলের শাহাদতবরণ। সীমান্তবর্তী ধানুয়া গ্রামে পাকা কবর।
৮৪ হারেজ উদ্দিন ফকির

পিতাঃ মৃত তপমীন ফকির,

গ্রামঃ সালকি মাটিকাটা,

ডাকঃ অভয়পাশা,

থানাঃ আটপাড়া,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

বারহাট্টা থানা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সায়দুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা হারেজ উদ্দিন ফকির শত্রুর গুলিতে শাহাদতবরণ করেন। বারহাট্টা থানার পাইকপাড়া গোরস্থান।
৮৫ সামস উদ্দিন

পিতাঃ মৃত গুনজর আলী,

গ্রামঃ পাইকুড়া,

ডাকঃ হিরণপুর,

থানাঃ পূর্বধরা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

কলমাকান্দা থানা এলাকায় রেকি করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সামস উদ্দিন শহীদ হন। নিজ বাসস্থানে কবর।
৮৬ আব্দুল জব্বার

পিতাঃ মৃত কফিল উদ্দিন

গ্রামঃ নিজহোগলা,

ডাকঃ হোগলা,

থানাঃ পূর্বধলা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

ভালুকা থানাধীন রায়ের গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ। শত্রুর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার শহীদ হন। ভালুকা থানার রায়ের গ্রাম প্রাথমিক স্কুলের মাঠে কবর।
৮৭ আলী নেওয়াজ

পিতাঃ মৃত আব্দুল গফুর

গ্রামঃ পাগলাকান্দা,

ডাকঃ বোঙলা,

থানাঃ পূর্বধলা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

৮৮ আব্দুল আজিজ

পিতাঃ মৃত মনির উদ্দিন,

গ্রামঃ নিজহোগলা,

ডাকঃ হোগলা,

থানাঃ পূর্বধলা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

৮৯ আকরাম আলী মীর

পিতাঃ মৃত আমছুর আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ হোগলা,

থানাঃ পূর্বধলা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

৯০ আমিরুল ইসলাম ফেরদৌস,

পিতাঃ মৃত আলহাজ আমির উদ্দিন তালুকিদার,

গ্রামঃ ধম্প,

ডাকঃ যাত্রাবাড়ি,

থানাঃ পূর্বধলা,

জেলাঃ নেত্রকোনা।

ঘোষগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় পাকিস্তানি সেনা বাহিনী ক্যাম্পে মুক্তিবাহিনী কর্তৃক আক্রমণ। যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম ফেরদৌস শাহাদতবরণ করেন। শিববাড়ি সীমান্তের ঘোষগাঁও ইউনিয়ন।
৯১ হারুন অর রশিদ,

পিতাঃ সেকান্দার আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ যোগির গোপা,

থানাঃ জামালপুর সদর,

জেলাঃ জামালপুর।

১৯৭১ সালের ১১ অক্টোবর বাউশী সেতুতে যুদ্ধকালে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারুন অর রশিদ শাহাদতবরণ করেন। সরিষাবাড়ি মুক্তিযোদ্ধা থানা কমান্ড অফিস প্রঙ্গণ।
৯২ জামাল উদ্দিন বীর বিক্রম,

পিতাঃ মোঃ নাছির উদ্দিন,

গ্রামঃ আড়ালিয়া,

ডাকঃ গোপালপুর বাজার,

থানা ও জেলাঃ জামালপুর।

১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার নাজিরপুর গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন শাহাদতবরণ করেন। নেত্রকোনা জেলার নাজিরপুর বাজারে পাকা কবর।
৯৩ মোঃ রাজ মাহমুদ

পিতাঃ জহির উদ্দিন,

গ্রাম ও ডাকঃ নান্দিনা,

থানাঃ জামালপুর সদর,

জেলাঃ জামালপুর।

১৯৭১ সালের ৩ জুন মুক্তিবাহিনীর ঘাটাইল থানা আক্রমণ । সেখানের পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রাজ মাহমুদ শহীদ হন। ঘাটাইল থানায় কালিহাতি বাজার সংলগ্ন কাঁচা কবর।
৯৪ ওয়াহেদ আলী,

পিতাঃ মৃত নিতন আলী,

গ্রামঃ ঘরঘরিয়া,

ডাকঃ নান্দিনা,

থানা ও জেলাঃ জামালপুর।

১৯৭১ সালের ১৫ জুলাই নুরুন্দী –পিয়ারপুর রেল স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণকালে শত্রুর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ওয়াহেদ আলী শাহাদতবরণ করেন। ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর পাশে নারায়ণখোলা বাজার।
৯৫ শাহজাহান

পিতাঃ মৃত আব্দুল জব্বার,

গ্রামঃ ঘরঘরিয়া,

ডাকঃ নান্দিনা,

থানা ও জেলাঃ জামালপুর।

৯৬ ইদ্রিস আলী

পিতাঃ কেনা শেঠ,

গ্রাম ও ডাকঃ সুবর্ণখিলা,

থানা ও জেলাঃ জামালপুর।

১৯৭১ সালের ১ জুলাই সুবর্ণখিলা গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর এক সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইদ্রিস আলী শহীদ  হন। বালুহাটা সরকারি কবরস্থান।
৯৭ হাবিবুর রহমান,

পিতাঃ গমেজ শেখ,

গ্রাম ও ডাকঃ পাথালিয়া,

থানা ও জেলাঃ জামামপুর।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর চন্দড়া কৃষি ( ফার্ম ) এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণকালে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাবিবুর রহমান শহীদ হন। নিজ বাসস্থান।
৯৮ বিল্লাল উদ্দিন

পিতাঃ জৈমত আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ সুবর্ণখিল,

থানা ও জেলাঃ জামালপুর।

১৯৭১ সালের ১ জুলাই সুবর্ণখিল গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর এক সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল উদ্দিনের শাহাদতবরণ। বালুহাটা সরকারি কবরস্থান।
৯৯ আব্দুল জলিল,

পিতাঃ শওকত আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ সুবর্ণখিলা,

থানা ও জেলাঃ জামালপুর।

১০০ আহম্মদ আলী,

পিতাঃ ফজর আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ সুবর্ণখিলা,

থানা ও জেলাঃ জামালপুর।

১০১ ইদ্রিস আলী,

পিতাঃ ফজর আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ সুবর্ণখিলা,

থানা ও জেলাঃ জামালপুর।

১৯৭১ সালের ৩১ জুলাই পাকিস্তানি বাহিনীর কামালপুর বিওপি আক্রমণকালে শত্রুর মর্টার শেলের আঘাতে মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী শাহাদতবরণ করেন। ধানুয়া, কামালপুর গণকবর।
১০২ মোজাম্মেল হক

পিতাঃ মোঃ মকছেদ আলী,

গ্রামঃ চচিয়াবাধা,

ডাকঃ তারাকান্দি,

থানাঃ সরিষাবাড়ি,

জেলাঃ জামালপুর।

নিজ বাসস্থানে পাকা কবর।
১০৩ জোয়াহের আলী,

পিতাঃ মোঃ জমির মুন্সী,

গ্রামঃ পাখিমারা,

ডাকঃ তারাকান্দি,

থানাঃ সরিষাবাড়ি,

জেলাঃ জামালপুর।

১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর বাউশি সেতুতে যুদ্ধকালে মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহের আলী শহীদ হন। সরিষাবাড়ি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিস প্রাঙ্গণের পাশে পাকা কবর।
১০৪ মোহাম্মদ জালাল,

পিতাঃ মৃত আজগর আলী,

গ্রামঃ কান্দামারা,

ডাকঃ পিংনা,

থানাঃ সরিষাবাড়ি,

জেলাঃ জামালপুর।

১৯৭১ সালের ১১ অক্টোবর বাউশি সেতুতে যুদ্ধকালে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ জালাল শহীদ হন। সরিষাবাড়ি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিস প্রাঙ্গাণের পাশে পাকা কবর।
১০৫ আবুল কালাম,

পিতাঃ সালাম মুন্সি,

গ্রামঃ বালিয়া,

ডাকঃ রায় দেবপাড়া,

থানাঃ সরিষাবাড়ি,

জেলাঃ জামালপুর।

১০৬ বেলাল হোসেন,

পিতাঃ মৃত কোরবান আলী,

গ্রামঃ গবিন্দপুর,

ডাকঃ গোপালদিঘী,

থানাঃ সরিষাবাড়ি,

জেলাঃ জামালপুর।

১৯৭১ সালের ২৬ আগস্ট চচিয়াবাধায় পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে এক সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বেলাল হোসেন শাহাদতবরণ করে। নিজ বাসস্থান।
১০৭ নুরুল ইসলাম,

পিতাঃ মৃত হাজী বিলাত আলী মুন্সী,

গ্রামঃ মনোয়ার,

ডাকঃ গোপালদিঘী,

থানাঃ সরিষাবাড়ি,

জেলাঃ জামালপুর।

১৯৭১ সালের ৬ আগস্ট সরিষাবাড়ি পিংনা সড়কে উপর অ্যামবুশের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম শহীদ হন। সরিষাবাড়ি পিংনা মসজিদের পাশে কাঁচা কবর।
১০৮ আমান উল্লাহ,

পিতাঃ নাম জানা যায়নি,

গ্রামঃ লাও দত্য,

ডাকঃ ইসলামপুর,

থানাঃ বকশীগঞ্জ,

জেলাঃ জামালপুর।

১৯৭১ সালের ১০  সেপ্টেম্বর কামালপুর উঠানীপাড়ায় পাকিস্তানি সেনা প্যাট্রল বাহিনীর হাতে মুক্তিযোদ্ধা আমান উল্লাহ শহীদ হন। বকশীগঞ্জ হাই স্কুলের পাশে গণকবর।
১০৯ তছলিম উদ্দিন,

পিতাঃ আব্দুল গফুর,

গ্রাম ও ডাকঃ সূর্যনগর,

থানাঃ বকশীগঞ্জ,

জেলাঃ জামালপুর।

ধানুয়া কামালপুর কছিম উদ্দিন চেয়ারম্যানের বাড়ির পিছনে কাঁচা কবর।
১১০ আব্দুস সামাদ ,

পিতাঃ মৃত নান্টু দেওয়ান,

গ্রামঃ মোজাহাটা,

ডাকঃ মোশাররফগঞ্জ,

১৯৭১ সালের ৩১ জুলাই ধানুয়া কামালপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখেযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ শহীদ হন। ধানুয়া কামালপুর গণকবর।
১১১ আব্দুল হাকিম

পিতাঃ মৃত জহির উদ্দিন,

গ্রামঃ চর ফুলকান্দি,

ডাকঃ কুলকান্দি,

থানাঃ ইসলামপুর,

জেলাঃ জামালপুর।

১১২ মজিবুর রহমান

পিতাঃ রিয়াজ উদ্দিন,

গ্রামঃ ভেঙগুরা,

ডাকঃ গঙ্গা পাড়া,

থানাঃ ইসলামপুর,

জেলাঃ জামালপুর।

১১৩ মতউর রহমান,

পিতাঃ আফিজ উদ্দিন,

গ্রামঃ মুখ সিমলা,

ডাকঃ মোশাররফগঞ্জ,

থানাঃ ইসলামপুর,

জেলাঃ জামালপুর।

নেকজাম হাই স্কুলে মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ শিবিরে পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান শহীদ হন। গ্রামের স্থানীয় গোরস্থানে কাঁচা কবর।
১১৪ আবু তাহের

পিতাঃ এমার উদ্দিন,

গ্রামঃ পিরোজপুর,

ডাকঃ দুরমুট,

থানাঃ ইসলামপুর,

জেলাঃ জামালপুর।

১১৫ সমর উদ্দিন,

পিতাঃ ইন্তাজ আলীম,

গ্রামঃ আদিপৈত ,

ডাকঃ মেলান্দহ,

থানাঃ মেলান্দহ,

জেলাঃ জামালপুর।

১৯৭১ সালের ১ জুলাই মাহমুদপুর সেতু এলাকায় মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুধে গুলি বিনিময়কালে মুক্তিযোদ্ধা সমর উদ্দিনের শাহাদতবরণ। নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১১৬ আব্দুল কুদ্দুস

পিতাঃ ওয়েজ আলী,

গ্রামঃ রোকনাই,

ডাকঃ দুরমুট,

থানাঃ মেলান্দহ,

জেলাঃ জামালপুর।

১১৭ আনোয়ারুল আজিম,

পিতাঃ আলহাজ আলতাফ হোসেন,

গ্রামঃ বদের স্বরশশ্যারিয়া,

ডাকঃ দেওয়ানগঞ্জ,

থানাঃ দেওয়ানগঞ্জ,

জেলাঃ জামালপুর।

মুক্তিযোদ্ধা আলণোয়ারুল আজিম, এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠক ও প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনঃ ৬ মে পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক ধৃত এবং অমানুষিক নির্যাতনে শহীদ হন
১১৮ খায়রুল জাহান বীর-প্রতীক,

পিতাঃ আলহাজ্ব আব্দুল হাই তালুকদার ২৬৮, শহীদ খায়রুল জাহান বীরপ্রতীক রোড, শোলাকিয়া,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

ময়মনসিংহ কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র মোঃ খায়রুল জাহান ভারতের মেঘালয় প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর প্রথমে মেজর হায়দারের অধীন ২ নম্বর সেক্টরে এবং পরে মেজর কে এম শফিউল্লাহর অধীন ৩ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর মুক্তিবাহিনীর কিশোরগঞ্জ ডাক বাংলোতে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এদিকে মুক্তিবাহিনীর আগমনের গোপন সংবাদ পেয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর কিশোরগঞ্জ সদরের খিলপাড়ায় অতর্কিত হামলাকালে সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খায়রুল জাহান শহীদ হন। পরবর্তী সময় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বীরপ্রতীক খেতাব ভূষিত হন। কিশোরগঞ্জ সদরে সিদ্বেরশ্বরী ঘাটে গণ কবর।
১১৯ মোহাম্মদ সম্রাট,

পিতাঃ মৃত মোঃ জমির হোসেন,

গ্রাম ও ডাকঃ বিন্নাটি,

থানা ও জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

কিশওরগঞ্জ সদর থানার মুন্নাপাড়া বালুয়া বিলের পাশে পাকিস্তানি সেনাদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সম্রাট শত্রুর হাতে মোঃ সম্রাট শত্রুর হাতে বন্দি ও শহীদ হন। বিন্নাটি ইউপি অফিস সংলহগ্ন মাঠে কাঁচা কবর।
১২০ তাহের উদ্দিন ভূঁঞা

পিতাঃ মৃত মোঃ আফছার উদ্দিন,

গ্রামঃ বিন্নাটি,

ডাকঃ নীলগঞ্জ,

থানা ও জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তাহের উদ্দিন ভূঁঞা রেকি করতে গেলে নন্দপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এবং পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে শাহাদতবরণ করে। বিন্নাটি ইউপি অফিস সংলগ্ন মাঠে কাঁচা কবর।
১২১ গোলাম মিয়া

পিতাঃ মৃত মোহাম্মদ আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ আব্দুল্লাহপুর,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে কুলিয়ারচর থানায় সালুয়া বর্ষণপাড়ায় মুক্তিবাহিনীড় ক্যাম্পে পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ করে। সেখানে শত্রুর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম মিয়া শহীদ হন। আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকট কাঁচা কবর।
১২২ মোস্তফা জামাল,

পিতাঃ মৃত মোঃ সিরাজুল ইসলাম,

গ্রামঃ ভৈরব বাস স্ট্যান্ড,

ডাকঃ ভৈরব,

থানাঃ ভৈরব,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোস্তফা জামাল নারায়ণপুর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প থেকে নিজ বাড়ি ভৈরবে আসার পথে আমলা পাড়া নামক স্থানে গ্রেনেডসহ পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরা পড়েন । ভৈরব রেলসেতুর কাছে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শাহাসতবরণ করেন। ভৈরব রেল স্টেশন সংলগ্ন কবরস্থানে কাঁচা কবর।
১২৩ নয়াজ মিয়া,

পিতাঃ মৃত মোঃ আব্দুল কাদের,

গ্রামঃ ভৈরব বাস স্ট্যান্ড,

ডাকঃ ভৈরব,

থানাঃ ভৈরব,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১২৪ মিজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ ,

পিতাঃ মৃত খুর্শিদুল হক,

গ্রামঃ জ্ঞানপুর,

ডাকঃ সরারচর,

থানাঃ বাজিতপুর,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

বাজিতপুর কলেজের বিএ পরীক্ষার্থী মিজবাহ উদ্দিন আহম্মদে। ভারতের অম্পিনগর ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে মেজর কে এম মেজর কে এম শফিউল্লাহর অধীন ৩নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ। ১৯৭১  সালের ১৯ অক্টোবর নিকলি পুলিশ স্টেশন আক্রমণ কালে শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। নিজ গ্রাম জ্ঞানপুরে পাকা কবর।
১২৫ আব্দুল মোতালিব ,

পিতাঃ মৃত আব্দুল আজিজ

গ্রামঃ গোছামারা,

ডাকঃ সরারচর,

থানঃ ভৈরব,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

মোঃ আব্দুল মোতালিব, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটোনা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ৩ নম্বর সেক্টর সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ। ১৯৭১ সালের ২৬ অক্টোবর বাজিতপুরে এক যুদ্ধে সরিষাপুর সেতুর নিচে  শত্রুর গুলিতে শাহাদতবরণ করেন। সারিষাপুর পারিবারিক গোরস্থানে কাঁচা কবর।
১২৬ আক্কেল আলী,

পিতাঃ নাম জানা যায়নি,

গ্রামঃ সালিষাপুর,
ডাকঃ ভৈরব,

থানাঃ বাজিতপুর,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১৯৭১ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাজিতপুর সোনালী ব্যাংকের ( তৎকালীন ন্যাশনাল ব্যাংক ) সামনে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে এক সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আক্কেল আলীর শাহাদতবরণ। সরারচর রেলগেটের উত্তর দিকে রেলসেতুর পাশে রেলওয়ে কবরস্থানে কাঁচা কবর।
১২৭ আনোয়ার হোসেন

পিতাঃ মৃত আব্দুল হাসিম,

গ্রাম ও ডাকঃ পিরিজপুর,

থানাঃ বাজিতপুর,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ সদর থানার কাটাবাড়িয়া সদুল্লার চর এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ার হোসেন শহীদ হন। পিরিজপুর পারিবারিক গোরস্থানে কাঁচা কবর।
১২৮ জসিম উদ্দিন,

পিতাঃ মৃত মুন ভূঁইয়া,

গ্রামঃ নিকলী,

ডাকঃ সরারচর,

থানাঃ বাজিতপুর,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জের তৎকালীন ন্যাশনাল সুগার মিলের পাশে পাকিস্তানি বাহিনীড় সাথে সম্মুখযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। নিকালী গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে কাঁচা কবর।
১২৯ নায়েক মোঃ মনজিল মিয়া,

পিতাঃ মৃত মোঃ ছিফত আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ বনগ্রাম, নদনা,

থানাঃ কাটিয়াদি,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

নায়েক মোঃ মনজিল মিয়া ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে ইস্তফা দেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন  রণাঙ্গনে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ৭ নভেম্বর ভোর রাতে ভিটিপাড়া ( বনগ্রাম) মুক্তিবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প পাকিস্তানি বাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হলে শত্রুর গুলিতে শাহাসতবরণ করেন।

বনগ্রাম নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৩০ কামাল পাশা,

পিতাঃ মৃত মোঃ নুরুল হক ভূঁইয়া,

গ্রাম ও ডাকঃ জামালপুর,

থানাঃ কাটিয়াদি,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্র মোঃ কামাল পাশা। ভারতের আগারতলা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩ নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ । ৫ নভেম্বর ১৯৭১ গচিহাটার যুদ্ধে বীরত্বের পরিচয় প্রদান। ১৯৭১ সালের ১৬ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কামাল পাশা চৌদ্দশত বাজারের কাছে খালের দক্ষিণ পাশে যাওয়ার সাথে সাথে অতর্কিত পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের শিকার হন এবং শহীদ হন। জামালপুর নিজ বাসস্থানে পাকা কবর।
১৩১ গিয়াস উদ্দিন,

পিতাঃ মৃত মোঃ নিজাম উদ্দিন,

গ্রামঃ মুগদিয়া,

ডাকঃ মসুয়া,

থানাঃ কাটিয়াদি,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

কটিয়াদি হাই স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ গিয়াস উদ্দিন। ভারতের বালুঘাট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সক্রিয় মক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ । ১৯৭১ সালের ২৮ নভেম্বর কিশোরগঞ্জে ১ মেইল দূরে মারিয়া নামক স্থানে গোল মসজিদের কাছে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে এক যুদ্ধে শত্রুর গুলিতে শাহাদতবরণ করেন। মুগদিয়া গ্রামে নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৩২ মতিউর রহমান,

পিতাঃ মশ্রব আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ কুমারপুর,

থানাঃ পাকুন্দিয়া,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ। ১৯৭১ সালের ১৭ অক্টোবর কালিয়াচাপড়া সুগার মিলের কাছে মুচিপাড়া এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। কুমারপুর গ্রামে নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৩৩ আব্দুল হাই,

পিতাঃ মৃত মোঃ আব্দুর রহিম,

গ্রামঃ সুখিয়া,

ডাকঃ পাকুন্দিয়া,

থানাঃ পাকুন্দিয়া,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১৯৭১ সালের ১০ নভেম্বর হোসেনপুর থানার ঢেকিয়া নামক স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে এক সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই শহীদ হন। হোসেনপুর থানার আড়াইবাড়ি ইউনিয়নের ঢেকিয়া নামকস্থানে পাকা কবর।
১৩৪ আব্দুল জব্বার,

পিতাঃ মৃত মোঃ আব্দুর রহিম,

গ্রামঃ সুখিয়া ,

ডাকঃ পাকুন্দিয়া,

থানাঃ পাকুন্দিয়া,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১৯৭১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর থানার ১ নং দক্ষিণ মাইঝপাড়া ইউনিয়নের নলোয়াগৌরি নামক স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শত্রুর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল জব্বার শহীদ হন। নেত্রকোনা জেলার ১ নম্বর দক্ষিণ মাইঝপাড়া ইউয়নের গোবরাচাপা গ্রামে পাকা কবর।
১৩৫ সামস উদ্দিন,

পিতাঃ মৃত আব্দুল মান্নাফ,

গ্রামঃ বাগপাড়া,

থানাঃ পাকুন্দিয়া,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ সদরের বত্রিশ মেলা এলাকার যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সামস উদ্দিন পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বন্দি হন এবং শত্রুর গুলিতে শাহাদতবরণ করেন। কিশোরগঞ্জ শহরের বত্রিশ মেলা প্রামাণিক বাড়ির পুকুর পাড়ের দক্ষিণ পাশে কাঁচা কবর।
১৩৬ মোঃ আজিজুল হক,

পিতাঃ মৃত মোঃ আব্দুল মান্নান মাস্টার,

গ্রামঃ কন্দরপদী,

ডাকঃ পাকুন্দিয়া,

থানাঃ পাকুন্দিয়া,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনা জেলার পুড়াকান্দুলিয়া বাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আজিজুল হক পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বন্দি হন এবং নৃশংসভাবে শহীদ হন। নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর থানার পুড়াকান্দুলিয়া বাজারের পাশে পাকা কবর।
১৩৭ মঞ্জুরুল হক,

পিতাঃ মৃত হাজী ছায়াম উদ্দিন,

গ্রামঃ কুমায়পুর,

থানাঃ পাকুন্দিয়া,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১৩৮ কামাল উদ্দিন,

পিতাঃ মোঃ জহির উদ্দিন ,

গ্রামঃ দিগাম্বরদী ,

থানাঃ পাকুন্দিয়া ,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর মঠখোলা আড়ালিয়া যুদ্ধে শত্রুর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ  কামাল উদ্দিন শাহাদতবরণ করেন। নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৩৯ আবু হেনা শামসুদ্দোহা,

পিতাঃ মৃত মোহাম্মদ আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ পুমদী,

থানাঃ হোসেনপুর,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

ভারতের তুরা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে ১১ নম্বর সেক্টরের অধীন বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ করার পর সর্বশেষে ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর নান্দাইল থানার দেওয়ানগঞ্জ বাজারে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শাহাদতবরণ করেন। পুমদী গ্রামে নিজ বাসস্থানে পাকা কবর।
১৪০ গিয়াস উদ্দিন,

পিতাঃ মৃত জনাব আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ হারেঞ্জা,

থানা; হোসেনপুর,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১১ নম্বর সেক্টরের অধীন বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ । ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর পাকুন্দিয়া থানার তারাকান্দি নামক স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। হারেঞ্জা গ্রামে নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৪১ হাবিবুর রহমান মুক্ত,

পিতাঃ মৃত ফহিম উদ্দিন সরকার,

গ্রামঃ সিদলা,

থানাঃ হোসেনপুর,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

সিদলা গ্রামে নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৪২ মোহাম্মদ শামসুদ্দিন,

পিতাঃ মৃত আব্দুল হামিদ,

গ্রামঃ চরপুমদী,

থানাঃ হোসেনপুর,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর হোসেনপুর থানার চরপুমদী বাজারের কাছে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শত্রুর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন শাহাদাতবরণ করেন। চরপুমদী গ্রামে নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৪৩ রবি হোসেন,

পিতাঃ মৃত মোঃ ওছমান,

গ্রাম ও ডাকঃ চরপুমদী,

থানাঃ হোসেনপুর,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

কিশোরগঞ্জ হোসেনপুর রাস্তার পাশে রামপুর নামক স্থানে কাঁচা কবর।
১৪৪ আবু বকর ,

পিতাঃ আহম্মদ আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ চরপুমদী,

থানাঃ হোসেনপুর,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

চরপুমদী গ্রামে নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৪৫ নবী হোসেন ভূঁঞা,

পিতাঃ মৃত সোনাধর ভূঞা,

গ্রামঃ চরজামাইল,

ডাকঃ হোসেনপুর,

থানাঃ হোসেনপুর,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

পাকিস্তানি বাহিনীর খবরাখবর ও গোপন তথ্য সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সরবরাহ । এ তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নবী হোসেন ভূঞা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এবং শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। সদর থানার ক্ষিরোদের বাজারের কাছে পাকা কবর।
১৪৬ সোহরাব উদ্দিন,

পিতাঃ মৃত ছফির উদ্দিন,

গ্রামঃ বীর পাইকশা,

ডাকঃ কুড়িমারা,

থানাঃ হোসেনপুর,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

এসএসসি পরীক্ষার্থী মোঃ সোহরাব উদ্দিন। ভারতের তুরা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে ১১ নম্বর সেক্টরের অধীন যুদ্ধে অংশগ্রহণ । পরে ঈশ্বরগঞ্জ থানার সামনে এক যুদ্ধে যুদ্ধরত অবস্থায় পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার সামনে নদীর পাড়ে পাকা কবর।
১৪৭ সুরুজ আলী,

পিতাঃ মৃত মিয়া হোসেন,

গ্রামঃ বীর পাইকশা,

ডাকঃ কুড়িমারা,

থানাঃ হোসেনপুর,

জেলাঃ কিশোরগঞ্জ।

গুরুদয়াল কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র মোঃ সুরুজ আলী, ভারতের তুরা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে ১১ নম্বর সেক্টরের অধীন যুদ্ধে অংশগ্রহণ । পরে ঈশ্বরগঞ্জ থানার সামনে এক যুদ্ধে যুদ্ধরত অবস্থায় পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন।
১৪৮ জয়নাল আবেদিন,

পিতাঃ নাম জানা যায়নি,

থানা ও জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কামালপুর উঠানীপাড়ায় পাকিস্তানি সেনা প্যাট্রল বাহিনীর হাতে মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিন শহীদ হন। বকশীগঞ্জ গোগাটায় পাকা কবর।
১৪৯ সালাউদ্দিন,

পিতাঃ মৃত আইনউদ্দিন,

গ্রামঃ আদি টাঙ্গাইল,

ডাকঃ টাঙ্গাইল ,

থানা ও জেলাঃ টাঙ্গাইল।

স্বাধীনতার প্রাক্কালে টাঙ্গাইল জেলা সদরে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণকালে শত্রুর হাতে বন্দি। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পানির ট্যাংকের নিচে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। পাঁচিল ঘেরা চিহ্নিত বধ্যভূমি। পানির ট্যাংক, জেলা সদর, টাঙ্গাইল।
১৫০ নজরুল ইসলাম বাকু

পিতাঃ মৃত অ্যাড. সিরাজ উদ্দিন আহম্মদ ,

গ্রামঃ কলেজ পাড়া,

ডাকঃ টাঙ্গাইল,

থানা ও জেলাঃ টাঙ্গাইল।

২য় বর্ষের ছাত্র শহীদ নজরুল ইসলাম। তারা নিজ নজরুল ইসলাম। তার নিজ বাড়ি থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এবং ১৯৭১ সালের ১৭ আগস্ট টাঙ্গাইল ভাতকুড়া নামক স্থানে শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে বাধাই করা কবর।
১৫১ আহসান আলী সরকার,

পিতাঃ মরহুম জমশেদ আলী,

গ্রামঃ পারদিঘলিয়া (সরকার পাড়া),

ডাকঃ পারদিঘলিয়া,

থানা ও জেলাঃ টাঙ্গাইল।

সংগ্রামের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ। ১৯৭১ সালের এপ্রিলের প্রথমেই কলেজ পাড়া থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। কাকমারী এম এম কলেজের ইটের ভাটায় ১৯৭১ সালের ৬ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। নিজ বাসভবন পারদিঘলিয়া টাঙ্গাইলে বাধাই করা কবর।
১৫২ আবুল কাশেম খান শফি,

পিতাঃ মৃত আবু আহম্মদ খান,

গ্রামঃ ভাতকুড়া,

ডাকঃ করটিয়া ,

থানা ও জেলাঃ টাঙ্গাইল।

ছাত্রনেতা শহীদ আবুল কাশেম খান শফি । সংগ্রামের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধে যোগদান। স্বাধীনতার কয়েকদিন পূর্বে ভাতকুড়া উত্তর পাড়ায় পাকিস্তানি বাহিনীর  প্রতিরক্ষার উপর আক্রমণ। ৫ ঘন্টা স্থায়ী সম্মুখযুদ্ধে শত্রুর এলএমজির গুলিতে শহীদ হন। ভাতকুড়া মসজিদ গোরস্থানে বাঁধাই করা কবর।
১৫৩ আব্দুল কুদ্দুস

পিতাঃ মুন্সী নয়ান উদ্দিন,

গ্রামঃ ছাব্বিশা,

ডাকঃ ভুয়াপুর,

থানা ও জেলাঃ টাঙ্গাইল।

টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধে অংশগ্রহণ । ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর ভুয়াপুর ইব্রাহিম বিদ্যালয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণকালে শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। নিজ বাসভবন ছাব্বিশায় পাকা কবর।
১৫৪ বাহাজ উদ্দিন,

পিতাঃ তালেব আলী,

গ্রামঃ পূর্ব শিয়ালকোল,

ডাকঃ ভুয়াপুর,

থানা ও জেলাঃ টাঙ্গাইল।

ভুয়াপুরের এলেঙ্গা নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী ও স্থানীয় গ্রামবাসী একত্র হয়ে রাস্তা কেটে ব্যারিকেড তৈরি করে। পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিবর্ষণে মুক্তিযোদ্ধা বাহাজ উদ্দিন শহীদ হন। নিজ বাসভবনে কাঁচা কবর।
১৫৫ হাবিবুর রহমান,

পিতাঃ মৃত খোরশেদ আলী সরকার,

গ্রামঃ রামপুর,

ডাকঃ গাবসারা ,

থানা ও জেলাঃ টাঙ্গাইল।

স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরিরত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হাবিবুর রহমান ১১ নম্বর সেক্টরের বেশ কিছু উদ্দেখ্যযোগ্য যুদ্ধে কোম্পানি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের ১৬ নভেম্বর বাড়িতে থাকাবস্থায় পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। ১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর পানির ট্যাংকের নিচে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে  শহীদ হন। পাঁচিল ঘেরা চিহ্নেত বধ্যভূমি। পানির ট্যাংক, জেলা সদর টাঙ্গাইল।
১৫৬ জিয়ারত আলী,

পিতাঃ মোহাম্মদ আলী,

গ্রামঃ শশিনারা দেলদুয়ার,

ডাকঃ শশিনারা,

থানাঃ দেলদুয়ার,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

২য় বর্ষের ছাত্র জিয়ারত আলী ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর রাত্রে মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া থানা আক্রমণ ও যুদ্ধ চলাকালীন সময়এ শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৫৭ খন্দকার মিজানুর রহমান ( মজনু),

পিতাঃ খন্দকার মোবারক আলী,

গ্রামঃ চালাআটিয়া,

ডাকঃ আটিয়া দরগাহ,

থানাঃ দেলদুয়ার,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে মালেহর গ্রামের ভিতর দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী পলায়নের সময় মুক্তিবাহিনীর দ্বারা আক্রন্ত। গুলি বিনিময়ের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শাহাদতবরণ করেন। পারিবারিক কবরস্থানে পাকা কবর।
১৫৮ মেজর আব্দুল খালেক ,

পিতাঃ মৃত মুক্তি শিকদার ,

গ্রামঃ কৈয়ামধু ,

ডাকঃ শালগ্রাম মধুপুর,

থানাঃ মধুপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

এলাকায় মেজর হিসেবে পরিচিত ল্যান্স নায়েক মেজর আব্দুল খালেকের ১৯৭১ সালের ১১ মে পর্যন্ত কাদের সিদ্দিকীর অধীন বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ। নিজ উদ্যোগে একটি মুক্তিবাহিনীর দল গঠন এবং ১১ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন যুদ্ধে যোগদান। ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে চুনিয়া নামক স্থানে অস্থায়ী অবস্থানে থাকাকালীন এক পাকিস্তানি সেনার গুলিতে শহীদ হন। চুনিয়ায় কাঁচা কবর।
১৫৯ আবু তালেব,

পিতাঃ মৃত আকবর আলী,

গ্রামঃ উত্তর মান্দিয়া,

ডাকঃ ফলদা বাজার,

থানাঃ গোপালপুর,

জেলঃ টাঙ্গাইল।

১১ নম্বর সেক্টরের অধীন যুদ্ধে অংশগ্রহণ। ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর মুক্তিবাহিনী কর্তৃক সুতি বিএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ক্যাম্পে আক্রমণকালে গুলি বিনিময়ের সময় শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৬০ সুরুজ আলী,

পিতাঃ মৃত জয়নুদ্দিন ,

গ্রামঃ গুনিপুর,

ডাক বাগুড়া,

থানাঃ গোপালপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১১ নম্বর সেক্টরের অধীন বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধে অংশগ্রহণ। ১৯৭১ সালের ৬ নভেম্বর মুক্তিবাহিনীর হেমনগর কলেজ থেকে হেমনগর সেতু পর্যন্ত অ্যামবুশ। টহলদার পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে গুলি বিনিময়। যুদ্ধকালীন শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৬১ আজগর আলী

পিতাঃ মৃত মুন্সি আলিম উদ্দিন,

গ্রামঃ সাতুটিয়া,

ডাকঃ কালিহাতি,

থানাঃ গোপালপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

কাগমারী কলেজের প্রাক্তন জিএস আজগর মুক্তিবাহিনীতে যোগদান। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীর এক কনভয় টাঙ্গাইল থেকে কালিহাতি আসার পথে কালিহাতি সেতুর শত্রুর কাছে বাধা প্রাদানের সময় শত্রুর গুলিতে শহীড হন। নিজ গ্রামে জগরমান কবরস্থানে পাকা কবর।
১৬২   আব্দুল হক,

পিতাঃ গাদু বেপারী,

গ্রামঃ সিংগাইর,

ডাকঃ বল্লা বাজার,

থানাঃ গোপালপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

পিতা পুত্র ২ জনেরই মুক্তিযুদ্ধে যোগদান। পরবর্তী সময় ১৯৭১ সালের ২২ মে উভয়ের বল্লা যুদ্ধে অংশগ্রহণ। যুদ্ধে এক পর্যায়ে শত্রুর ১ টি গুলি পুত্র দীন ইসলামের কপালে বিদ্ধ হয়। ব্রাশ ফায়ারে পিতা আব্দুল হক সহ উভয়েই শহীদ হন। পশ্চিম ছাতিয়াটি কবরস্থানে কাঁচা কবর।
১৬৩ মোশাররফ হোসেন,

পিতাঃ মফিজ উদ্দিন,

গ্রামঃ গোহাইল বাড়ি,

ডাকঃ গায়রাতৈল,

থানাঃ সখীপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

টাঙ্গাইল মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসেবে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ। ১৯৭১ সালের ১৯ আগস্ট নয়াপাড়া পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে যুদ্ধে শহীদ হন। নিজ বাড়িতে কাঁচা কবর।
১৬৪ সাবদুল,

পিতাঃ মৃত সোনা উল্লাহ,

গ্রাম ও ডাকঃ কালিদাস,

থানাঃ সখীপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

স্কুল শিক্ষক সাবদুল ভারত থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ২০ জুন রাতে দেওপাড়া পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে মুক্তিবাহিনীর  আক্রমণ। গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৬৫ নজরুল ইসলাম,

পিতাঃ ইয়াকুব আলী,

গ্রামঃ নিকরাইল,

ডাকঃ ভূয়াপুর,

থানাঃ সখীপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

৩০ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ বনগ্রামে অবস্থান। শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে লঞ্চযোগে পাকিস্তানি বাহিনী নাগরপুর থানায় যাওয়ার পথে বনগ্রামে মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশ। অ্যামবুশ বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। এ সংবাদ নাগরপুর থানায় পৌঁছলে তৎক্ষণাৎ থানা থেকে পাকিস্তানি সেনাদের ঘটনাস্থলে আগমন। এ যুদ্ধে ৬-৭ ঘন্টা গুলি বিনিময়ের পর মুক্তিবাহিনীর পশ্চাদপসরণ । পাকিস্তানি বাহিনীর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৬১ জন সাধারণ গ্রমাবাসী শহীদ হন। তন্নধ্যে ১ জন মুক্তিযোদ্ধার লাশ বনগ্রাম থেকে ৩০০ গজ দূর সাফাত মিয়ার বাড়ির পাশে সমাহিত। ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৬১ জন গ্রামবাসীর লাশ বনগ্রাম কবরস্থানে এক সাথে সমাহিত। নাগরপুর থানায় বনগ্রামে গণকবর।
১৬৬ মোহাম্মদ আলী ( নয়া),

পিতাঃ বক্তার আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ বাগীল,

থানাঃ সখীপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১৫ জুলাই ভোরে মির্জাপুর নয়াপাড়া পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ। শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। কালিদাস বাজারের পশ্চিম পাশে কাঁচা কবর।
১৬৭ জাহাঙ্গীর আলম,

পিতাঃ শরিয়ত আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ ঢাকা,

থানাঃ নাগরপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

৩০ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ বনগ্রামে অবস্থান। শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে লঞ্চযোগে পাকিস্তানি বাহিনী নাগরপুর থানায় যাওয়ার পথে বনগ্রামে মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশ। অ্যামবুশে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। এ সংবাদ নাগরপুর থানায় পৌঁছলে তৎক্ষণাৎ থানা থেকে পাকিস্তানি সেনাদের ঘটনাস্থলে আগমন। এ যুদ্ধে ৬-৭ ঘন্টা গুলি বিনিময়ের পর মুক্তিবাহিনীর পশ্চাদপসরণ। পাকিস্তানি বাহিনীর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৬১ জনসাধারণ গ্রামবাসী শহীদ হন। তন্নাধ্যে ১ জন মুক্তিযোদ্ধার লাশ বনগ্রাম থেকে ৩০০ গজ দূরে সাফাত মিয়ার বাড়ির পাশে সমাহিত । ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৬১ জন গ্রামবাসীর লাশ বনগ্রাম কবরস্থানে এক সাথে সমাহিত। নাগরপুর থানায় বনগ্রামে গণকবর।
১৬৮ আব্দুল হামিদ,

পিতাঃ রুস্তম আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ ঢাকা,

থানাঃ নাগরপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

নাগরপুর থানার বনগ্রামে গণকবর।
১৬৯ তারা মিয়া,

পিতাঃ এনায়েতুল্লাহ,

গ্রাম ও ডাকঃ ময়মনসিংহ,

থানাঃ নাগরপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

নাগরপুর থানার বনগ্রাম গণকবর।
১৭০ আব্দুল বাতেন,

পিতাঃ মৃত কবীর উদ্দিন,

গ্রামঃ কোদালিয়া,

ডাকঃ সিংদাইওর,

থানাঃ নাগরপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর ঘুরিওয়ালা গ্রামে পাকিস্তানি টহলদার বাহিনীর উপর মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ। সেখানে গুলি বিনিময়ের সময় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। কোদালিয়ায় নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে কাঁচা কবর।
১৭১ আব্দুল রউফ,

পিতাঃ মৃত এছাক মিয়া,

গ্রাম ও ডাকঃ কোনড়া,

থানাঃ নাগরপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সাটুরিয়ায় মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশ। সেখানে গুলি বিনিময়কালে শত্রুর গুলিতে আব্দুর রউফ শহীদ হন। কোনড়া উত্তরপাড়া কবরস্থানে কাঁচা কবর।
১৭২ সাইফুল ইসলাম,

গ্রাম ও ডাকঃ কোড়ালিয়া পাড়া,

থানাঃ নাগরপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ২৭ অক্টোবর নাগরপুরের নিকটে ধলেশ্বরী নদী পারাপারের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উপর মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ। গুলি বিনিময়কালে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে সাইফুল ইসলাম শাহাদতবরণ। মোকনা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পাকা কবর।
১৭৩ আহসান উদ্দিন,

পিতাঃ মৃত দিনার আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ আগতারাইল,

থানাঃ নাগরপুর,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ২৭ অক্টোবর নাগরপুরের নিকটে ধলেশ্বরী নদী পারাপারের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর উপর মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ। গুলি বিনিময়কালে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে আহসান উদ্দিন শহীদ হন। মোকনা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পাকা কবর।
১৭৪ মুকুল খান,

পিতাঃ মৃত সাহেব খান,

গ্রাম ও ডাকঃ গোনাপাড়া,

থানাঃ নাগরপুর,

জেলঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ২৭ আগস্ট রাতে মুক্তিবাহিনী কর্তৃক নাগরপুর থানা আক্রমণ। সেখানে গুলি বিনিময়কালে শত্রুর গুলিতে নাগরপুর কলেজের ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা মুকুল খান শহীদ হন। গোনপাড়া কবর স্থানে কাঁচা কবর।
১৭৫ আব্দুল হালিম মিয়া,

পিতাঃ মৃত মোসলিম উদ্দিন,

গ্রামঃ বাশাইল দক্ষিণপাড়া,

ডাক ও থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীর একটি কনভয় টাঙ্গাইল থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কালিহাতি থানার কদমতলিতে মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশ। গুলি বিনিময়ের সময় শত্রুর গুলিতে আব্দুল হালিম মিয়া শহীদ হন। নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৭৬ আব্দুল খালেক,

পিতাঃ মৃত মুন্সি রহমত,

গ্রামঃ বাশাইল দক্ষিণপাড়া,

ডাকঃ বাশাইল,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল পাকিস্তান বাহিনীর একটি কনভয় টাঙ্গাইল থেকে ময়মনসিংহ রওয়ানা। পথিমধ্যে কালিহাতি থানার কদমতলি নামক স্থানে মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশ। গুলি বিনিময়ের সময় শত্রুর গুলিতে আব্দুল খালেক শহীদ হন। নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৭৭ নাজিম উদ্দন,

পিতাঃ বিশু মিয়া,

গ্রাম ও ডাকঃ বাশাইল,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর রাতে মুক্তিবাহিনীর কর্তৃক বাশাইল থানা আক্রমণ। এ যুদ্ধে নাজিম উদ্দিন শহীদ হন। নিজ বাসস্থানে পাকা কবর।
১৭৮ আব্দুল রশিদ ,

পিতাঃ মৃত এরফান আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ বাশাইল,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

বাশাইল মুক্তিযোদ্ধা অফিস সংলগ্ন পাকা কবর।
১৭৯ সোহরাব আলী,

পিতাঃ মৃত দুঘাই মিয়া,

গ্রাম ও ডাকঃ বাশাইল,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৮০ আব্দুল বাসেদ,

পিতাঃ মৃত মানিক মোল্লা,

গ্রাম ও ডাকঃ বাশাইল,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৮১ আকবর হোসেন খান,

পিতাঃ মৃত ফজলুল রহমান খান,

গ্রামঃ বাঐখোলা,

ডাকঃ টেংগুড়া পাড়া,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল মুক্তিবাহিনীর কর্তৃক নাটিয়া পাড়া সেতু সংলগ্ন রাস্তায় অ্যামবুশ। পাকিস্তানি বাহিনীর একটি কনভয়ের উপর আক্রমণ । যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন শহীদ হন। পাটধাগড়ী গ্রাম্য কবরস্থানে কাঁচা কবর।
১৮২ তোফাজ্জল হোসেন,

পিতাঃ মৃত ফজলুর রহমান,

গ্রাম ও ডাকঃ কাউলজানি,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর বাশাইল থানায় কাউজানি এলাকায় পাকিস্তানি টহলদার বাহিনীর উপর এলাকার মুক্তিবাহিনীর উপর এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ। গুলি বিনিময়কালে শত্রুর তোফাজ্জল হোসেন শহীদ হন। নিজ গ্রামের কবরস্থানে কাঁচা কবর।
১৮৩ তালেব আলী,

পিতাঃ মৃত কাজিম উদ্দিন,

গ্রামঃ কামুটিয়া,

ডাকঃ বাথুলিসাদী,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ৪ নভেম্বর কামুটিয়া গ্রামে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনী এবং নথখোলা গ্রামে অবস্থানরত পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে সম্মুখযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। কামুটিয়া গ্রামের কবরস্থানে কাঁচা কবর।
১৮৪ মোস্তাফিজুর রহমান,

পিতাঃ মৃত আব্দুর রাজ্জাক,

গ্রামঃ কামুটিয়া,

ডাকঃ বাথুলিসাদী,

থানাঃ বাসাইল,
জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান শাহাদতবরণ করেন। ভূয়াপুর থানার অধীন ফুলধর পাড়া গ্রামের কবরস্থানে কাঁচা কবর।
১৮৫ নাজির হোসেন দেওয়ান,

পিতাঃ আয়নাল দেওয়ান,

গ্রামঃ পিচুরী,

ডাকঃ বাথুলিসাদী,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

ঈদুল ফিতরের পরের দিন মুক্তিবাহিনী বাশাইল নথখোকা রাস্তার কাশির বটতলী নামক স্থানে পাকিস্তানি টহলদার বাহিনীর উপর আক্রমণ করে। গুলি বিনিময়কালে শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। বাথুলিসাদী গ্রামের কবরস্থানে কাঁচা কবর।
১৮৬ আহম্মদ আলী,

পিতাঃ মোঃ বক্তার আলী,

গ্রামঃ বাগিল ,

ডাকঃ সলবল্লা,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর পাথরঘাটা পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ। শত্রুর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলীর শাহাদতবরণ। কালিদাস পানা উল্লাপাড়া কবরস্থানে কাঁচা কবর।
১৮৭ আব্দুস সাত্তার বেগ,

পিতাঃ এবাদ বেগ,

গ্রামঃ বিরলা,

ডাকঃ কাশিল,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরলা এলাকায় অ্যামবুশ। বাশাইল ক্যাম্প হতে টহলদার পাকিস্তানি বাহিনীর আগমন। মুখোমুখি যুদ্ধ। সে যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে আব্দুস সাত্তার বেগ শহীদ হন। গ্রামের কবরস্থানে কাঁচা কবর।
১৮৮ জয়নাল বেগ,

পিতাঃ মৃত তারি বেগ,

গ্রামঃ বিরলা,

ডাকঃ কাশিল,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৮৯ বিশু বেগ,

পিতাঃ মৃত রুস্তম বেগ,

গ্রামঃ বিরলা,

ডাকঃ কাশিল,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯০ করমান বেগ,

পিতাঃ মৃত মকিম বেগ,

গ্রামঃ বিরলা,

ডাকঃ কাশিল,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

 

১৯১ ফজল বেগ,

পিতাঃ মৃত মকিম বেগ,

গ্রামঃ বিরলা,

ডাকঃ কাশিল,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯২ সোবহান বেগ ,

পিতাঃ আফছেক বেগ,

গ্রামঃ বিরলা,

ডাকঃ কাশিল,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৩ জলিল মিয়া (দুলাল ) ,

পিতাঃ মোঃ সোহরাব মিয়া,

গ্রামঃ কাশিল,

ডাকঃ কাশিল,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
১৯৪ আজহার মিয়া,

পিতাঃ মৃত জব্বার মিয়া,

গ্রাম ও ডাকঃ কাশিল,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৫ মোকছেদ আলী,

পিতাঃ মৃত হামেজ মিয়া,

গ্রাম ও ডাকঃ কাশিল,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৬ লাল মিয়া,

পিতাঃ মিজানুর রহমান,

গ্রামঃ হাকিমপুর,

ডাকঃ জসিহাটি,

থানাঃ বাশাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

নথখোলা নদীর পূর্ব পাশে কামুটিয়ায় অবস্থানরত মুক্তিবাহিনী কর্তৃক ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর নথখোলা নদীর পশ্চিম পাশে নথখোলা গ্রামে অবস্থানরত পাকিস্তানি বাহিনী ক্যাম্পে আক্রমণ। গুলি বিনিময়কালে শত্রুর গুলিতে লাল মিয়া শহীদ হন। গ্রামের কবরস্থানে পাকা কবর।
১৯৭ মানিক খান,

পিতাঃ মৃত সাদেক আলী,

গ্রামঃ দত্তগ্রাম,

ডাকঃ কে গৌরাঙ্গী,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক ১৯৭১ সালের ২১ মে পাকুটিয়া বাজারের পূর্ব পাশে অ্যামবুশ। টহলদার পাকিস্তানি বাহিনী মধুপুর থেকে কালিহাতি আসার পথে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। শত্রুর গুলিতে মানিক খান শাহাদতবরণ করেন। ঘাটাইল ঈদগাহ মাঠের উত্তর পাশে কাঁচা কবর।
১৯৮ আব্দুল আজিজ ,

পিতাঃ নাম পাওয়া যায়নি,

গ্রামঃ বাসজানা,

ডাকঃ জামালপুর,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর একটি কনভয় ঘাটাইল থেকে কালিহাতি ক্যাম্পে আসার পথে ব্রাহ্মণশাসন রাস্তার উপর মুক্তিবাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত। শত্রুর গুলিতে আব্দুল আজ্জিজ শহীদ হন। তারাগঞ্জ বাজারে পাকা কবর।
১৯৯ হাতেম আলী,

পিতাঃ মৃত হাছান আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ গৌরাঙ্গী,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১৬ আগস্ট পাকিস্তানি বাহিনীর একটি দল ঘাটাইল থেকে সাগরদিঘীতে যাওয়ার পথে মাকরাই নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত। শত্রুর গুলিতে শাহাদতবরণ করেন। সরাবাড়ি মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান।
২০০ আবুল হোসেন,

পিতাঃ মৃত বাহার মন্ডল,

গ্রামঃ সোলাকুড়া,

ডাকঃ লোহানী সাগরদিঘী,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর ফুলবাড়িয়া থানা ক্যাম্প আক্রমণের লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধারা সাগরদিঘী ক্যাম্প ত্যাগ করেন । মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন অসুস্থ থাকায় ক্যাম্পে থেকে যান। পাকিস্তানি বাহিনী সাগরদিঘী এলাকায় রেড করে । উপায়ন্তর না দেখে আবুল হোসেন একাই পাকিস্তানি বাহিনীরকে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন এবং পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। সাগরদিঘী বাজারের উত্তর পাশে বড়ো আমগাছের কাছে পাকা কবর।
২০১ আলী আকবর,

পিতাঃ মৃত জিয়া উল্লাহ,

গ্রামঃ দেওগ্রাম,

ডাকঃ কে গৌরাঙ্গী,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণশাসন বাজারের পূর্ব পাশে পলায়ন পর পাকিস্তানি বাহিনীর উপর মুক্ততবাহিনীর আক্রমণ। যুদ্ধে শত্রুর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর শহীদ হন। নিজ বাসস্থানে কাঁচা কবর।
২০২ আব্দুস সালাম,

পিতাঃ মৃত ময়েন উদ্দিন,

গ্রামঃ খায়েরপাড়া,

ডাকঃ শাহী আনেদুল ,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর ভুয়াপুর থানায় সিংগুরিয়া নামক স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর উপর মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ । যুদ্ধে শত্রুর গুলিতে আব্দুস সালাম শহীদ হন।
২০৩ মনসুর আলী,

পিতাঃ মৃত মুনুরুদ্দিন,

গ্রামঃ শাহপুর,

ডাকঃ ঘাটাইল,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর সংবাদ পেয়ে মুক্তিবাহিনীর কানিয়া পাড়া ব্রিজের পূর্ব পাশে অবস্থান। ঘাটাইল থেকে মধুপুরের উদ্দেশে পাকিস্তানি বাহিনীর রওয়ানা হলে সেতুতে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনী দ্বারা বাধাপ্রাপ্তি। সেখানে শত্রুর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আলী শাহাদতবরণ করেন।
২০৪ আব্দুস সোবহান,

পিতাঃ মৃত জনাব আলী,

গ্রামঃ ফুল্মালির চালা,

ডাকঃ লোহানী সাগরদিঘী,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী ঘাটাইল ক্যাম্প হতে সাগরদিঘীতে ঠহলকালে ধলাপাড়া নামকস্থানে মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ করে। প্রতিরোধ শত্রুর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা আব্দ্রস সোবহান শহীদ হন।
২০৫ বজরত আলী,

পিতাঃ মৃত ইব্রাহিম আলী,

গ্রামঃ ব্রাক্ষণশাসন,

ডাকঃ জাহিদগঞ্জ,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণশাসন কালিদাস পাড়ায় পাকিস্তানি টহলদার বাহিনীর উপর মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ। শত্রুর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা বজরত আলী শহীদ হন।
২০৬ আবু হানিফ ,

পিতাঃ মোঃ মোবারক আলী,

গ্রামঃ বেনী সাদব ,

ডাকঃ তারাগঞ্জ,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণশাসন এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর উপর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ। গুলি বিনিময়কালে মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ শহীদ হন।
২০৭ সুজাত আলী,

পিতাঃ মৃত ইউনুছ আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ দেওপাড়া,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

দেওপাড়া বনভূমি এলাকায় মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করে নেয়। পুনর্দখলের লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ১১ জুলাই সন্ধ্যায় পাকিস্তানি বাহিনীর উপর আক্রমণ চালায়। যুদ্ধে সুজাত আলী শহীদ হন।
২০৮ হযরত আলী,

পিতাঃ মৃত ইউনুছ আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ দেওপাড়া,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

২০৯ আমির আলী,

পিতাঃ মৃত ইউনুছ আলী,

গ্রাম ও ডাকঃ দেওপাড়া,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

২১০ আব্দুল মজিদ মন্ডল,

পিতাঃ মৃত ইনতাজ আলী মন্ডল,

গ্রামঃ কাশতলা,

ডাকঃ কালিহাতি,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

স্কুল ছাত্র আব্দুল মজিদ মন্ডল কর্তৃক পাকিস্তানি বাহিনীর তথ্য সংগ্রহ করে মুক্তিবাহিনীকে সরবরাহ। ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় গুপ্ত সংবাদ নিয়ে ফিরে আসার সময় স্থানীয় হামিদপুর বাজারে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরা পড়েন। পাকিস্তানি সেনারা বাড়িতে এসে তাঁর পিতাকেও ধরে নিয়ে যায় এবং পিতা-পুত্রকে একসাথে গুলি করে হত্যা করে।
২১১ জাহাঙ্গীর হোসেন,

পিতাঃ মৃত মোয়াজ্জেম হোসেন খান,

গ্রামঃ লোকেরপাড়া,

ডাকঃ লোকেরপাড়া,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১৮ নভেম্বর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক মির্জাপুর পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণ। পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প ছেড়ে পলায়ন। ১৯৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর পাকিস্তানি বাহিণীর পাল্টা আক্রমণকালে মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেন শহীদ হন। মির্জাপুর থানার অন্তর্গত বহরিয়া বোর্ডের পার্শ্বে পাকা কবর।
২১২ হাবিব তালুকদার,

পিতাঃ মৃত জয়েনউদ্দিন তালুকদার,

গ্রাম ও ডাকঃ বাগুনঢালী,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর একটি দল কালিহাতি হতে ঘাটাইল আসার পথে মুক্তিবাহিনী ব্রাহ্মণশাসন এলাকায় আক্রান্ত হন । শত্রুর গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা হাবিব তালুকদার শহীদ হন। নিজ বাসস্থানে পাকা কবর।
২১৩ হেমন্ত কুমার কর,

পিতাঃ মৃত বসন্ত কুমার কর,

গ্রামঃ হেলনা পাড়া গর্জনা,
ডাকঃ চুনুটিয়া,

থানাঃ ঘাটাইল,

জেলাঃ টাঙ্গাইল।

১৯৭১ সালের ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় এলাকার মুক্তিবাহিনী ঘাটাইল থানায় গর্জন নামক স্থানে টহলদার পাকিস্তানি বাহিনীর উপর আক্রমণ করে। সেখানে গুলি বিনিময়কালে মুক্তিযোদ্ধা হেমন্ত কুমার কর শত্রুর গুলিতে নিহত হন। নিজ বাড়ির আঙিনায় কাঁচা কবর।