হিংগুলি ও করেরহাটের যুদ্ধ, চট্টগ্রাম
মাস্তাননগরের প্রতিরোধ পর মুক্তিসেনারা চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানার করেরহাটের এক মাইল দক্ষিণে হিংগুলি ব্রিজ এলাকায় নতুন করে অবস্থান গ্রহণ করে। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল। মুক্তিযোদ্ধারা ইপিআর ,পুলিশ, মুজাহিদ নিয়ে মাত্র ১০০ জনের মতো যোদ্ধা জড়ো হন। তাদের অবস্থান এলাকায় পূর্ব-পশ্চিমে প্রবাহমান একটি খাল ছিল, খালের উপরে ব্রিজ। মুক্তিবাহিনীর অস্ত্র ছিল দুটি এলএমজি, একটি অকেজো ৩ ইঞ্চি মর্টার এবং ৩০৩ রাইফেল। অস্ত্র স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও তারা ব্রিজটি ধ্বংস করতে সক্ষম হন। পক্ষান্তরে শত্রুশক্তি ছিল দুই ব্যাটালিয়ন ও অস্ত্রসমূহ। এখানে মুক্তিবাহিনী কৌশলগতভাবে ‘ডিসেপশন’ বা প্রতারণামূলক অবস্থান গ্রহণ করে, তিন মাইলের বেশি জায়গায় বিস্তৃত হয়ে থাকে, তবে ফটিকছাড়ি রুট ধরে পাকবাহিনীর অগ্রযাত্রায় আবারো পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য হয় তারা। ২৪ এপ্রিল, ১৯৭১ এ হিংগুলি থেকে করেরহাটে অবস্থান গ্রহণ করে। এখানেও স্বল্প রসদ ও শক্তির কারণে প্রবল প্রতিবন্ধিকতার সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যে হাটহাজারি-নারায়ণহাট অক্ষে শত্রুর শক্ত অবস্থান তৈরি হয়। দুই দিনের মধ্যে ২৫ এপ্রিল,১৯৭১ এ করেরহাট এলাকা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
[৫৯৭] কে.এম.আহসান.কবীর
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত