হাদি হোসাইন, মেজর ( ২৪ এফএফ, পিএ-৬৯৫১ )
আসলাম, মেজর
স্থানঃ পটিয়া।
অপরাধঃ এই দুই পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সনের ১৬ এপ্রিল পটিয়ায় এসে পাকিবাহিনী স্থানীয় কলেজে ঘাঁটি স্থাপন করে। মেজর হাদির নেতৃত্বে আরও একটি দল পিটিআইতে ঘাটি স্থাপন করে। এখানে তারা ব্যাপক গণহত্যা চালায়। মসজিদের নামাজরত মুসল্লিরাও তাদের হত্যাকান্ড থেকে রেহাই পাননি। পাকিস্তানী বাহিনী হাসপাতাল, ডিসপেন্সারি ও ডাক্তারের চেম্বারগুলোতে কোনো আহত মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা হবার খবর পেলে সেখানে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও চিকিৎসায় নিয়োজিতদের ওপর নির্যাতন চালাতো। ২৬ আগস্ট হাঈদগাঁও পন্ডিত বাড়িতে হামলা করে ১১ জনকে হত্যা করে। ১১ডিসেম্বর গাছবাড়িয়ার পালপাড়া গ্রামে পাকবাহিনী ১৭জনকে হত্যা করে। শিক্ষক ক্ষেত্রমোহন নাথের স্ত্রী আলোরানীকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হলে তিনি কোনোমতে পালিয়ে অদূরবর্তী জ্বলন্ত ঘরবাড়ির মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। মেজর আসলাম ও মেজর হাদির নেতৃত্বে এহানকার সকল হত্যাকান্ড, নির্যাতন,ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালিত হয়।
মেজর আসলামের নির্দেশে ঢাকায় মার্শাল ল’ কোর্টের ‘টর্চার সেলে বন্দিদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো।
সাক্ষীঃ মুহাম্মদ মোস্তফা (ড্রাইভার) মেজর আসলামের নির্মম নির্যাতনের শিকার ও প্রত্যক্ষদর্শী।
[১৪] ডা.এম.এ.হাসান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত