সেনবাগ অপারেশন, নোয়াখালী
সিলুনিয়া বাজার অপারেশনের প্রায় ৩/৪ দিনের মধ্যে প্রথমে ডা. মোজাম্মেল হোসেন এবং পরে রুহুল আমিন ভূঁইয়া খবর দিলেন যে, নোয়াখালির সেনবাগে যে মেটারনিটি হাসপাতাল আছে সেটির দোতলায় পাকিস্তানিরা ক্যাম্প করবে। সেখানে ক্যাম্প করার কারণ সেই রাস্তা দিয়ে শরণার্থীরা আসা যাওয়া করে। যদি তারা সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করে তাহলে শরণার্থীদের আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। সুতরাং এদের ক্যাম্প করার আগেই বিল্ডিংটি ধ্বংস করে দিতে হবে। মিটিং ডাকা হল। বিল্ডিং উড়িয়ে দেবার দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় শৈলেন অধিকারীর উপর। তিনি হিসেব করে দেখলেন বিল্ডিং উড়িয়ে দিতে ২৪০ পাউন্ড এক্সপ্লোসিভ দরকার। কিন্তু রুহুল আমিন ভুঁইয়া বললেন, যেহেতু বিল্ডিংটি পুরাতন তাই এখানে ৬৪ পাউন্ড এক্সপ্লোসিভ হলেই চলবে। বিল্ডিং ওড়ানোর জন্য সবকিছু ঠিকঠাক করা হল। পরেরদিন রাত একটার দিকে শৈলেন অধিকারী সেটি ফিট করলেন হাসপাতালের মধ্যে। তার সঙ্গে ছিলেন রুহুল আমিন ভুঁইয়া, রহিমসহ আরও কয়েকজন। এক্সপ্লোসিভ ফিট করার মাত্র ৩০ গজ যেতে না যেতেই বিকট আওয়াজ করে দুতলা বিশিষ্ট হাসপাতাল বিল্ডিংটি ছাই হয়ে গেল।
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত