সেনবাগ থানা অপারেশন, নোয়াখালী
রোজার ঈদের দিনে শৈলেন অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াহাব, মোস্তফা, মান্নান, ছোট ধন, দুলাল, কিবরিয়া চৌধুরীসহ ৩০ জনের একটি গ্রুপ নোয়াখালীর সেনবাগ থানা আক্রমণ করে। আক্রমনের পূর্বেই মুক্তিযোদ্ধারা টেলিফোন সংযোগ কেটে দেন। শৈলেন অধিকারী ছিলেন ডাক বাংলার উত্তর পার্শ্বে, সেনবাগ বাজারের দক্ষিণে যাতে নোয়াখালি থেকে কেউ ফোর্স করতে না পারে। থানার উত্তর পার্শ্বে ছিলেন অন্যান্যরা। রাত সাড়ে বারোটা এবং একটার দিকে যুদ্ধ শুরু হয়। সকাল ৮ টা বাজে। থানার ভিতর ৭০ জন রাজাকার এবং মিলেশিয়া মিলে ১০০ এর কাছাকাছি। ইব্রাহিম এর কাছে তারা আত্মসমর্পনের প্রস্তাব দিল। একে একে তারা রাইফেল নিয়ে বের হয়ে আসতে লাগল। ঠিক এই দিনে ফেনীর মুক্তিযোদ্ধারা দরবেশের হাট আক্রমণ করে। ঈদের দিন কানকির হাট হাই স্কুলের সামনে তাহের এবং মো. আলীর জন্য জানাজা পড়ার সময় খবর পাওয়া গেল যে পাকবাহিনী সোনাইমুড়ী এবং নাঙ্গল কোটের দিকে এবং সেনবাগ বাজার থেকে সবাই সেদিকে চলে গেলেন। পথিমধ্যেই কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ে তারা চলে গেল। এরপর সেখানে আর কখনো আর্মি আসেনি।
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত