লক্ষণখোলা অপারেশন, নারায়নগঞ্জ
নারায়নগঞ্জ বন্দর থানার শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বদিকে পাকসেনাদের অবস্থান। এখানে পাক আর্মিদের জন্য স্পীডবোট বানানো হত। ফাইবার বোটের কারখানাটি ধ্বংস করার জন্য ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে বারোটায় মো. গিয়াসউদ্দিনের (নারায়নগঞ্জ) নেতৃত্বে লক্ষনখোলা পাকবে অপারেশন হয়। অপারেশনের ৩ দিন পূর্বে গ্রুপ কমান্ডার গিয়াসউদ্দিনের নির্দেশে জামাল (তল্লা), আবু তালেব, নূর মোহাম্মদ বাবুল, সুরুজ পাকবে রেকি করে গ্রুপ কমান্ডারকে অবহিত করেন। ১২ তারিখে স্বয়ং গ্রুপ কমান্ডার রেকি করে অপারেশন করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। তিনি গ্রুপের অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা মো. তালেব, সহকারী গ্রুপ কমান্ডার মো. নুরুজ্জামান, সুরুজ, নূর মোহাম্মদ, বাবুল, জামাল হোসেন, নিজাম, নূরুল ইসলামকে নিয়ে পায়ে হেঁটে কাইক্কারটেক হয়ে নবীগঞ্জ আসেন। বন্দরের আব্দুর রশীদের গ্রুপ ঢাকেশ্বরী মিলের দিক থেকে এসে তাদের সহযোগিতা করার জন্য পজিশন নেয়। মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ফাইবার বোটের কারখানার যন্ত্রপাতির মধ্যে এক্সপ্লোসিভ, প্রেমাকড, ডেটোনেটর লাগান। এ কাজটি ছিল খুবই বিপজ্জনক। সাহসিকতার সঙ্গে তিনি দ্রুত কাজটি শেষ করেন। অন্য যোদ্ধারা তাঁকে সহায়তা করেন এবং কভার দেন। ফিউজে আগুণ লাগিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা সরে পড়েন। এই অপারেশনে আড়াইশো ফাইবার গ্লাস বোট ধ্বংস হয়ে যায়। বিবিসিতে এটি প্রচার হয়।
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত