বোয়ালমারী সিও অফিস মিলিশিয়া ক্যাম্প আক্রমণ, ফরিদপুর
ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানা আক্রমণের পর পুলিশ, রাজাকার ও মিলিশিয়ার সমন্বয়ে সিও অফিসে একটি ক্যাম্পে অস্ত্রধারীদের সংখ্যা ছিল ৬০ জন। চারিদিকে ছিল কড়া বেষ্টনী। নভেম্বরের দুপুরে আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পটির চারপাশে অবস্থান গ্রহণ করে। যাদের মধ্যে ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, আকবর হোসেন (চান্দনী), লুৎফুর রহমান (দিকনগর-আলফাডাঙ্গা), কবির হোসেন প্রমুখ। চারদিক থেকে একযোগে গুলিবর্ষণ শুরু করার পর শত হসত লোক জয়বাংলা ধ্বনি দিতে দিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মিলিত হয়। তখন চোঙ লাগিয়ে বলা হয়, তারা আত্মসমর্পণ করলে তাদের কিছু বলা হবে না। এ সময় শান্তি কমিটির জনৈক কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দিয়ে ক্যাম্পে পাঠানো হয়। জেলা সদর থেকে অনেকতা বিচ্ছিন্ন পুলিশ-রাজাকার-মিলিশিয়ারা ভীতসন্ত্রস্ত ছিল। শান্তি কমিটির সদস্যদের অনেকেই আত্মসমর্পণের জন্য উন্মুখ ছিল। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদত্ত ক্ষমার প্রতিশ্রুতি পুলিশ ও রাজাকাররা হাত উচু কর এবেরিয়ে এলো এবং নাটকীয়ভাবে আত্মসমর্পণ করল। ওই অপারেশনে ৮০টি রাইফেল ও অনেক গুলি উদ্ধার করা হয়।
[১৫] আবু সাঈদ খান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত