বাসাইল থানা আক্রমণ ওঁ পুনুরুদ্ধার, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল সদর থেকে দক্ষিণ-পুরবে ঢাকা সড়কে ১৬ কিলো মিটার পুরবে করটিয়া টাঙ্গাইল সংযোগ সড়কে বাসাইল থানা সদর অবস্থিত।থানা সদরের পশ্চিম ওঁ উত্তর দিকে কমুটিয়া নদী প্রবাহমান।এলাকাটি বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় একটি ঘনবসতিপূর্ণ সমতল ভুমি। অস্যংখ পায়ে চলার পথ গ্রামগুলোতে বিস্তৃত। ১৯৭১ সালে এই রাস্তা ভারী যানবাহন চলাচল উপযোগী ছিল না।ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থিত করটিয়া হতে বাসাইল হয়ে সখীপুরের সংযোগ সড়কটিই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। ১৯৭১ এর রনাঙ্গনে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় সমগ্র টাঙ্গাইল অঞ্চলে পাকবাহিনীর নিয়ত্রন প্রতিষ্টিত হয়। এ সময় কাদেরিয়া বাহিনীর ট্রেনিং ক্যাম্পসহ সকল ক্রমকান্ডের নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র ছিলো সখীপুরে।তাই সমগ্র এলাকার প্রভাব বস্তার ওঁ মুক্তিবাহিনীর করমকান্ডেকে বাধাগ্রস্ত করাই ছিলো পাকবাহিনির উদ্দেশ্য।এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই পাকবাহিনীর একটি কোম্পানি করটিয়া সখীপুর রাস্তায় অগ্রসর হয়।আপাত দৃষ্টিতে পাকবাহিনীর ঐ কোম্পানি বাসাইল এবং তদসংলগ্ন এলাকায় তাদের প্রত্যক্ষ উপস্থিতিকে প্রসারিত করে করটিয়া সখীপুর রাস্থা তাদের নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্যই শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে।
অন্যদিকে বাসাইল থানা আক্রমণ করে অস্ত্র ওঁ গোলাবারুদ সংগ্রহ এবং সামগ্রিকভাবে শত্রুর উপস্থিতি খর্ব করা ওঁ মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতি এবং প্রভাবকে প্রসারিত করে পাকসেনাদের উপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করা ছিল মুক্তিবাহিনীর প্রাথমিক উদ্দেশ্য।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৩ জুন রাতে বাসাইলের গুন্যার কাছে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নেয়.১৪ জুন দুপুরের খাবারের পওঁ তাদের ঘর থেকে বের হতে দেয়া হয় নি। কাদের সিদ্দিকীর সাথে ৪০জন ওঁ অফিসার মেম্বারের সাথে ১২৫ মোট ১৬৫ জন মুক্তিযোদ্ধা বাসাইল থানা আক্রমনে অংশ নেয়। বেলা একটার পর মুক্তিযোদ্ধাদের তিন দলে ভাগ করে থানা রেইড করার পরিকল্পনা করা হয়। ঐ দিন ছিল বাসাইলের হাটবার।পশ্চিম,দক্ষিন ও পূর্ব তিনদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা বাসাইল থানা আক্রমণ করার সিদ্ধান নেয়।পশ্চিম দলের নেতৃত্ব দেয় সোহরাব,মোকাদ্দেছ এবং আ র ও সাহেব।দক্ষিনে অবস্থান নেয় ফেরদৌস আলম রঞ্জু ও আব্দুস সবুর খান,আর পুরবের দলকে নেত্ররেইত্ব দেন কাদের সিদ্দিকী নিজে। পশ্চিমের দল থানার ১০০ মিটার থেকে দুইশ মিটারের মধ্যে অবস্থান নেয়।অন্যদিকে দক্ষিণে সবুর ও ফেরদৌসের নেতৃত্বাধীন দল বসাইল থানা উন্নউওন অফিসকে সামনে রেখে অবস্থান নেয়। তৃতীয় দলটি নিয়ে কাদের সিদ্দিকী থানার পূর্ব পাশে কয়েকটি পুরনো ভাঙ্গা দালানের আড়ালে অবস্থান নেয়।কোন দলের দুরত্ব থানা ১০০-১৫০ মিটারের বেশি নয়।থানা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের মাঝে ছোট একটি পগার,তাতে অথই পানি।ডানে বাসাইল সাহাপাড়া আর বামে থানা উন্নয়ন অফিস। নির্দেশমতো সোহরাব,মোকাদ্দেছ এবং আ র ও সাহেবের দল প্রথম আঘাত করবে।প্রয়োজনে দক্ষিনের সবুর ও ফেরদৌসের দল তাদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকে।এ দুই দল থানা প্রবেশ করবে না। থানার ধোকার দায়িত্ব কাদের সিদ্দিকীর দলের।নির্ধারিত সময়ের জন্য রুদ্ধশ্বাসে অস্ত্র উঁচিয়ে সকলে অপেক্ষা করতে থাকে।এদিকে বাজারের কিছু কিছু লোক মুক্তিযোদ্ধাদের দেখতে পেয়ে আস্তে আস্তে সরে যায়। এ রকম অবস্থায় বেশি সময় অপেক্ষা করা যায় না।দেখতে দেখতে নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট পার হয়ে যায়।কিন্তু উপর থেকে গুলি ছোঁড়ার কোনো শব্দ আসে না।কাদের সিদ্দিকী ধাধায় পড়ে যান,এমন ৎ হবার কথা নয়।এক ঘন্টাও হয়নি প্রতিটি দলের ঘড়ির সময় মিলিয়ে নেয়া হয়েছিল কাদের সিদ্দিকী ধারণা করে নেন ঘড়ির সাথে এত হেরফের হবার কথা নয়।কাদের সিদ্দিকী ধারণা করেন তাঁরা হয়ত সময় মত পজিশন নিতে পারে নাই।কিন্তী স্বীয় দল নির্ধারিত সময়ে ঠিকই যথাস্থানে পৌছে গেছে।এমন নানা চিন্তা ভাবনায় প্রায় পাঁচ মিনিট কেটে যায়।খবর সংগ্রহ করার জন্য কাদের সিদ্দিকী একজন দূত পাঠাতে যাবেন এমন সময় নিদৃষ্ট সময় অতিক্রান্ত হবার থানা থেকে চিৎকার ভেসে আসতে শোনা যায়,থানা দখল করা হয়েছে।কাদের সিদ্দিকীকে চলে আসতে বলা হয়।আবু ও সাহেন,সোহরাব ও দলের কয়েকজন পগার সাতরে কাদের সিদ্দিকীর সামনে এসে হাজির হউ। অন্যদিকে থানার ভিতর থেকে ওসি আরোও জোরে চিৎকার করে সারেন্ডাএর কথা ঘোষনা দেয়।কাদের সিদ্দিকী দৌড়ে থানায় যান।চারিদিকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একবার ভালো করে দেখে থানার সামনে মাঠিতে বসেন,কমান্ডার সোহরাব ও মোকাদ্দেছকে অভিনন্দন জানান।
আটককৃত ১৭ জন বাঙালি পুলিশকে হাত বেধে থানা প্রাঙ্গনে বসিয়ে রাখা হয়।তাদের নিকট থাকা অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। বিনা রক্তপাতে থানা মুক্তিবাহিনীর দখলে আসে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রারম্ভিক উদ্দেশ্য সফ্ল হউ।থানার নিয়ন্ত্রন রক্ষার্থে নায়েক সোহরাব আলী খানএর নেতৃত্ব একটি দল লাংগলী নদীর পূর্ব পাশে অবস্থান নেয়। ১৭ জুন পাক বাহিনীর একটি কোম্পানি সখিপুর ক্যাম্প ও বাসাইল শুরু করে। পাকবাহিনীর অগ্রাভিযানের সংবাদে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আরোও ৩০ জন লাংগলী নদীর পূর্বপাশে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করে।নদীর অপর পাশে পাকবাহিনী ৬/৭ জনকে দেখা মাত্রই গুলি করে।এতে তিন থেকে চার জন শপ্ত্রুসেনা গুলিবিদ্ধ হয়।এরপর দেখামাত্রই পাকবাহিনীর বিক্ষিপ্ত মর্টার গোলাবর্ষণ,আব্দুস সবুরের নেতৃত্বে একটি দল নদীর বিভিন্ন স্থানে গিয়ে পালটা গুলি করে।তাদের উদ্দেশ্য ছিলো পাকবাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেয়া।
ঐ দিকে পাকবাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য বাসাইল থানা ঘাটির মুক্তিযোদ্ধাদের ৩নং কোম্পানি প্রস্তুত রাখে।মুক্তিযোদ্ধারা শত্রু বাহিনীকে বাঁধা দেয়ার জন্য বাসাইল থানা থেকে এগিয়ে আসে প্তহমে বাতুলী এলাকায় অবস্থান নিতে থাকে।এ অবস্থানটি পাকসেনাদের হামলার অনুকুলে যেতে পারে তা ভেবে মুক্তিবাহিনী পরিকল্পনা পরিবর্তন করে আরও কিছু দূরে পিছিয়ে অবস্থান নেয়। ইতোমধ্যে পাকবাহিনী করটিয়া বাজার এলাকা থেকে ১২০ কিলোমিটার কামান ও ৩ ইঞ্চি মর্টার থেকে বাসাইল থানায় মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটিত গোলাবর্ষণ শুরু করে।ভারী কামান এ মর্টারের গোলার ছত্রছায়ায় শত্র্য সেনারা থানার দিকে অগ্রসর হতে থাকে।মুক্তিবাহিনীর হাতে দূরে পাল্লার ভারী অস্ত্র না থাকায় তাঁরা দুশমনদের তাদের অস্ত্রের নিশানার আয়ত্তের মধ্যে আসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।হানাদারদের অগ্রবর্তী হওয়ার বিপরিতে কামানের গোলা তীব্র হতে থাকে। সকাল ৮টা থেকে শত্রুর গোলাবর্ষণ শুরু হয়।ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে গোলা ও শেল বর্ষণের পর বেলা প্রায় সাড়ে বারোটার দিকে শত্রুদের একটি দল থানার কাছাকাছি এসে পৌছায়।পূর্ব থেকে রাস্তার বাঁধের আড়লে আত্নগোপনকারী মুক্তিবাহিনী শত্রুদের উপর অতর্কিতে আকরমন চালায়।আকস্মিক হামলায় মুক্তিবাহিনী শত্রুদের উপর অতর্কিতে ঝটিকা আক্রমণ চালায়।আকস্মিক হামলায় দিশেহারা হয়ে শত্রুরা এদিক ওদিক ছোটা ছুটি শুর করে। ততক্ষনে ওদের ১৭জন সৈন্য ধরাশায়ী হল।আরো ৬ জন জখম হয়ে পিছু হটে গেল। মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের প্রথম ধাক্কা সামলিয়ে নিয়ে দুশমনরা তীব্র ভাবে পালটা আক্রমণ শুরু করল।আক্রমণের তীব্রতা মুক্তিবাহিনী অবস্থান পরিবর্তন করে থানার গিয়ে তা প্রতিহত করার প্রস্তুতি নেয়।তখন বিকেল প্রায় ৪টা। অবস্থান পরিবরত্নের মুহূর্তে শত্রুদের একটি তিন ইঞ্চি মর্টারের শেল মুক্তিযোদ্ধা খোকার বাঙ্কারের সামনে এসে পড়ে।শেলের স্প্রিন্টার মুক্তিযোদ্ধা আনসারের একটি পা ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়।ওদের অজ্ঞান অবস্থায় রনাঙ্গন থেকে অপসারন করা হয়।যুদ্ধ তখনও চলছে কমান্ডার নির্দেশ দিয়েছেন যেমন করে হোক সন্ধ্যা পর্যন্ত আক্রমণ প্রতইহত করে শত্রুদের অগ্রগতি ঠেকিয়ে রাখতে হবে, পরবর্তীতে সন্ধ্যার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সন্ধ্যা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া হল।কিন্তু পাকবাহিনীর প্রচন্ড আক্রমণের মুখে তাদের ঠেকিয়ে রাখা আর সম্ভবপর হচ্ছে না। যদি প্রতিরোধ চালিয়ে যায়া হয় তাহলে মুক্তিবাহিনীকে নিশ্চিত ধ্বংস করা যাবে। কারন পাকবাহিনীর ভারী অস্ত্রসস্ত্রীর মোকাবেলায় যুদ্ধ চালিএ যাওয়া নির্বুদ্ধিতার কাজ হবে।যুদ্ধের বর্তমান অবস্থায় একজন মুক্তিযোদ্ধাকে হারানোর অর্থ হবে বাহিনীকে পিছু হটে আসা। সন্ধ্যার পর মুক্তিবাহিনী থানা পরিত্যাগে করে পিছু হটে আসে। অজ্ঞান অবস্থায় টাইঙ্গাইল ছাত্রলীগ নেতা এবং নির্ভীক মুক্তিযোদ্ধা খোকা ও আহত আনসাওকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তিবাহিনীর দলট নাকাসিম বাসাইল হয়ে সখীপুরে চলে যায়.১৭জুন থেকে নভেমবর পর্যন্ত এলাকা পাকবাহিনীর দখলে থাকে।
একটি কোম্পানি ও পরবর্তীতে আনুমানিক ২ টি রাজাকার কোম্পানীর সমন্বয়ে পাকবাহিনী থানা উন্নয়ন অফিস কমপ্লেক্স মেশিনগান নিয়ে একটি শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে। উক্ত এলাকা থেকে আশে পাশের এলাকায় টহল প্রেরণ এবং মুক্তিবাহিনীর চলাচলে বাঁধা প্রদান করে অধিপত বজায় রাখাই ছিল তাদের মূল কাজ। অন্যদিকে বাসাইল থানা পুনরুদ্ধার করার মাধ্যমে অত্র এলাকায় কাদেরিয়া বাহিনীর প্রভাব ও নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টার দ্বারা বাঙ্গালির মনোবাল বৃদ্ধি করা ছিল বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ।
কামুটিয়া নদীর পূর্বপাড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিত্রক্ষা ব্যুহ ছিল।কাদের সিদ্দিকির নেতৃত্ব প্রায়ই ফাইটিং পেট্রোল বের হত,। ১৯ জুন কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি ফাইটিং পেট্রোল বের হয়।কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর পেট্রোল দলটি দেখতে পায় কামুটিয়া নদী পথে একটি নৌযানে করে বেশ কয়েকজন পুলিশ বাসিল থানার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কাদের সিদ্দিকীর ঐ নৌযানের উপর আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুসারে তাঁরা কামুটিয়া নদীর তীরে সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান গ্রহণ করে। নৌ্যানটি তাদের ফায়ারের আওয়তায় আসতেই শুরু হয় ফায়ার। উভয় পক্ষের তুমুল গুলিবিনিময় হয়। কয়েক মিনিটিরের মধ্যেই সকল বাঙালি পুলিশ আত্নসমরপন করে। পুলিশের নিকপ্ট থাকা সকল অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্দার করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
কিন্তু বৃহৎ পরিকল্পনা অংশ হিসেবে মুক্তিবাহিনী দুপরযায়ে দুটি পৃথক আক্রমণের মাধ্যমে বাসাইল থানা পুনুরুদ্ধার করে। প্রথম পর্যায়ে আক্রমনে অংশ নেয় কোম্পানি দুইটি, যেগুলো তে অধিনায়ক ল্যা নায়কে মো লোকমান হোসেন এবং মো মোকসেদ আলী ছিলেন.৩ ইঞ্চি মর্টার সন্নিবেশিত সাপোর্ট প্লাটুন এর অধিনায়ক ছিলে খোরশেদ। প্রথম কোম্পানি থানার উত্তর পুরবে গোবিন্দ পাইলট হাই স্ক সংলগ্ন লাকায়। সাপোর্ট প্লাটুন গোবিন্দ পাইলট হাই স্কুলে এবং বাজারের মধ্যবরতী বরনী কিশোরী এলাকায় আক্রমনীর মর্টারের অবস্থন যা বাজার এলাকার ৫০ গজ পুরবে অবস্থত.১৯/২০ নভেম্বর রাতের আক্রমণের মর্টারের নিরভুল ফায়ার সমরথন পাওয়া যায় নাই। মর্টারের ভুল অবস্থানের কারণে আক্রমণ ব্যর্থ হয়।
প্রথম পর্যায়ের ব্যরথতার পর দুটি কোম্পানি একই অবস্থানে থেকে শুধু মাতে সাপোর্ট প্লাটুনকে বাসাইন থানার পশ্চিমে আন্দিরপাড়ায় স্থানান্তরিত করাহয় কাদের সিদ্দিকী নাকাসিম এলাকায় অবস্থায় অবস্থান নিয়ে মূল আক্রমণ পরিচালনার দায়িত্ব নেন। অপর দিকে বাতুলিতে প্রতিরক্ষা অবস্থিত কোম্পানি হতে একটি প্লাটুন গোলাম মোসতফার নেতৃত্বে এ আক্রমণে যোগ দেয় এবং প্রথম কোম্পানি পশ্চিমে পিসুরিতে রিজার্ভ হিসেবে অবস্থান নেয়।২০/২১ নভেম্বর রাত্রে আক্রমণ পরিচালনা করা হয়.২১ তারিখ সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের পচন্দ চাপের মুখে পাকবাহিনী বসাইল থানা পরিত্যাগ করতে বাধ হয়। পাকবাহিনীর কোম্পানী লাংগলী নদীর দিকে পশ্চাদসারন করে। পাকবাহিনী নিম্নমনোবলের কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের পুন পুন চাপের মুখে বাসাইল থানা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
কাদেরিয়া বাহিনী সীমিত অস্ত্র ও জনবল থাকা সত্বেও শুধু মাত্র উচ্চ মনোবল দ্বারা বাসাইল থানা পুনরুদ্ধার করতে সমর্থ হয়। পাওবাহিনী বসাইলের নিয়ন্ত্রন হারানোয় মুক্তিবাহিনীর পদাচরন হয় প্রসারিত।যা পরবর্তীতে সমগ্র টাঙ্গাইল জেলায় মিত্রবাহিনীর অগ্রাভিযানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
[৫৯৫] ফিরোজ খায়রুদ্দিন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত