বাহাদুরাবাদ যুদ্ধ
তৃতীয় ইস্টবেঙ্গল ৩১ জুলাই ১৯৭১ বাহাদুররাবাদঘাটে পাকবাহিনীর সাথে এক দুধরষ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। তৃতীয় রেজিমেন্টের প্রায় ৩৫০ জন সৈন্য বাহাদুরয়াবাদ ঘাট আক্রমণের জন্য যাত্রা শুরু করে। মুক্তিবাহিনী সবার অলক্ষ্যে বড় তিনটি নদী অতিক্রম করে এবং পাকসেনাদের গানবোটকে পাশ কাটিয়ে প্রায় পনের মেইল নদী অতিক্রম করে রাত তিনটার আগেই এফ ইউ পি(Forming up place) এ সমাবেত হয়।তখন প্রায় ভোর হয়ে এসেছে। পাকসেনারা রাতের শেষে বিশ্রাম নিতে যাচ্ছিল।রেল লাইনে ট্রে শান্টিং করা হচ্ছিল।ট্রেন শান্টিং করে পিছনে চলে যাওয়ার পর সুবেদার করম আলী রকেট লাঞ্চার থেকে রেলগাড়িতে অবস্থিত জেনারেট ও শান্টিংরত ট্রেনের ইঞ্জিন লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করে।নায়েব সুবেদার ভুলু মিয়া সগে সঙ্গে গুলিবর্ষণ শুরু করে।ট্রেনের প্রতিটি কামরায় পাকসেনারা শুয়ে ছিল। মুক্তিবাহিনীর তিন ইঞ্চির মর্টারের গোলার আঘাতে দুটি ফাস্ট ক্লাস কামরা,রেলওয়ে বগীস্টিমার ও শত্রুর বাংলার ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এ সময় নায়েবে সুবেদার ক্রম আলী পাশের একটি ব্রিজ ধ্বংস করার জন্য যান।। ব্রিজের ধ্বংস হওয়ার শব্দে দেওয়ানগঞ্জে অবস্থানর পাকসেনারা বাহাদুরবাদ ঘাটের দিকে রওয়া দেয়। প্রথম ইস্টবেঙ্গলের এ ও ডি কোম্পানি অতি দ্রুত দেয়ানগঞ্জ বাজার চিনিকল ও রাজাকার সদর দপ্ত্র আক্রমণ করে। তিনদিন ৩য় ইস্টবেঙ্গলের সৈন্যরা সেখানে অবস্থান করে মূল অবস্থানে ফিরে আসে। মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাসে বাহাদুরবাদ ঘাঁটি আক্রমণ ছিল মুক্তিবাহিনীর একটি সফল অভিযান।
[৫৯৫] রিয়াজ আহমদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত