বার্মা ইস্টার্ন অপারেশন, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ থানার গোদনাইল ইউনিয়নের গোদনাইলে বার্মা ইস্টারের অবস্থান। পাকসেনারা বিভিন্ন স্থান থেকে নিরীহ জনসাধারনকে ধরে এনে হত্যা করত।এখানে ১৪ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জের থানা কমান্ডার মো ইসমাইলের নেতৃত্বে মো জনলান আবেদীন,নুরুল ইসলাম,মোমতাজ উদ্দীন ভুঁইয়া,মোহর আলী,সুন্দর আলী, বড় রশিদ,গ্রুপ কমান্ডার রেহানউদ্দিন রেহান,জালকুড়ির বদু,শফি নারায়ণগঞ্জের তপু প্রমুখ জালকুড়ি গ্রাম থেকে পায়ে হেঁটে বার্মা ইস্টার্নে পৌছেন। ১২ আগস্ট মো ইসমাইলের নির্দেশে মোমতাজউদ্দিন ভুঁইয়া আলাকাটা রেকি করে রিপোর্ট দেন,বার্মা ইস্টার্নের চতুর্দিকে পাক আর্মিদের বাঙ্কার ছিল।সুন্দর আলী নুরুল ইসলাম তারের বেড়া টপকিয়ে ভেতরে ঢোকেন।নুরুল ইসলাম এক্সপ্লোসিভ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন,সুন্দর আলী তেলের ট্যাংকিতে সক্সপ্লোসিভ ফিট করে ফিরে আসেন। অন্য মুক্তি্যদ্ধারা তাদের কভার দেন। বিস্ফোরিত হলেও ট্যাংকের কোনো ক্ষতি হয় না। অপারেশন শেষ করে মুক্তিযোদ্ধারা জালকুড়িতে পূর্বদিকের পথ দিয়ে ফেরার সময় পাকসেনাদের সম্মুখীন হয়।কারন সংবাদ পেয়ে পাকআর্মিরা
রেল লাইনের পশ্চিম পার্শ্বে আগেইন পজিশন নিয়ে অবস্থান করে।মুক্তিযোদ্ধারা রেললাইনে ওঠার সাথা সাথেই পাকসেনারা ফায়ার ওপেন করে। তাদের গুলিটা উদ্দেশ্যবিহীন হওয়াতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো ক্ষতি হয় না। বদু স্টেনগান দিয়ে ওদের গুলির জবাব দেন। মুক্তিযোদ্ধারা সবাই নিরাপদে ফিরে আসেন।
[১১০] রীতা ভৌমিক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত