বাবুর হাটের যুদ্ধে, চাঁদপুর
২ ডিসেম্বর ১৯৭১।মুক্তিযোদ্ধা চাদপুর থানা এফ এফ কমান্ডার শাহ্মাইউদ্দিন দুলুর (বর্তমান ব্রিঃ জেনারেল অবঃ) দলের এওটি সেকশান শাহ মোঃশাহাদাত হোসেন(মেজর অবঃ) শাহ মুজিবুর রহমান(রতন),এস এম মাসুদ হোসেন,এস এম হাসান,মরহহুম জনাব গিয়াস চৌধুরী(পুলিশ অফিসার হরিপুর),খোরশেধ আলম,আবুল কাসেমসহ আরোও অনেকে ছিলেন। ২ ডিসেম্বর পাক বাহিনী চাঁদপুরের বাবুর হাটে এসে রাস্থায় ও আশেপাশে বাঙ্কার করে প্রস্তুতি নিচ্ছে।এই সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা দৌড়ে এসে নিকটেই একটি বাগান বয়সে পরিকল্পনা করছে কিভাবে আক্রমণ করবেন।তাদের মনোযোগ প্রধান সড়কের দিকে কিন্তু পাশেই ১০/১২ জন পাক সেনা গ্রামের ভিতর দিয়ে এসে উলতো মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেলে। এল এম জি ম্যান ছিলেন খোরশেদ।তিনি পাকবাহিনীকে দেখেই চিতকার দিয়ে শুরু করলেন ফায়ার।প্রথম ফায়ারে ২/৩ জন তাজা তাজা পাক সৈন্য মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল, খোরশেদের সাথে সাথে অন্যান্যরাও পাক বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। উভয় পক্ষে প্রান ৩ ঘন্টা লড়াইয়ের পর হটা পাক বাহিনীর রিউনফোরস এসে পড়াতে বাধ্য হয়ে মুক্তিযোদ্দজারা পিছনে চলে আসে।
[২৪] ডা দেলোয়ার হোসেন খান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত