ফতুল্লা থানা অপারেশন, নারায়ণগঞ্জ
আমিনুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, একেএম ফজলুল হক, মো. আলী, কাশেম, লতিফ, শাহজাহান, মোমিন (আলীগঞ্জ), ফজল, নাসির, কমর আলী (আলীগঞ্জ), আমিন, মমিনুল ইসলাম, অনিল কুমার দে, আউয়াল প্রমুখ সেপ্টেম্বর মাসে ফতুল্লা থানা আক্রমণ করেন। ফতুল্লা থানার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের গ্রুপ কমান্ডার আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অপারেশন সংঘটিত হয়। অপারেশনের দু’দিন আগে আলীগঞ্জের শহীদুল্লাহ ফতুল্লা থানা রেকি করে মুক্তিযোদ্ধাদের অবহিত করেন। মুক্তিযোদ্ধারা জাজিরা থেকে নৌকাযোগে পানগাঁও হয়ে আলীগঞ্জ মোমিন হাজীর বাড়িতে অবস্থান করেন। এখান থেকে জালকুড়ি ময়দান হয়ে সেহাচারের ভেতর দিয়ে পাকিস্তান মাঠ হয়ে লালপুর, এখান থেকে চৌধুরী বাড়ির ওপর দিয়ে ফতুল্লা থানায় প্রবেশ করেন রাত ১২টার দিকে। মুক্তিযোদ্ধারা ফতুল্লা থানার চতুর্দিকে আক্রমণ করে। ডিফেন্স পার্টি নারায়ণগঞ্জের রাস্তার দিকে কভার দেয়। মুক্তিযোদ্ধারা থানায় ঢুকে পাক পুলিশের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে তাদের সারেন্দার ও বন্দি করে। মুক্তিযোদ্ধারা আর্মস। গোলাবারুদ, ১৭টি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, ৫০০ মতো গুলি উদ্ধার করেন। পুলিশরা প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তাদের নৌকায় তুলে থানার চতুর্দিকে আমিনুল ইসলাম তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুন ধরানোর পর ন্যাশনাল অয়েল ডিপো (যমুনা অয়েল), পঞ্চাবটী ইলেকট্রিক সাপ্লাই, চাষাড়া রেলস্টেশন, ফতুল্লা রেলস্টেশন, করিম রাবার ইন্ডাস্ট্রিজে অবস্থানরত আর্মি ক্যাম্প থেকে বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষণ হতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধারা চাষাঢ়া অভিমুখে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে যে পথ দিয়ে গিয়েছিল সে পথেই আলীগঞ্জে কমর আলীর বাড়িতে ফিরে আসেন।
[১১০] রীতা ভৌমিক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত