৮ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ- পূর্বাঞ্চল
ভোর ৫টা থেকে সকাল এগারোটা পর্যন্ত ৬টি পাক জঙ্গি বিমান ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আশুগঞ্জ, আজবপুর মুক্তিযোদ্ধা অবস্থানে হামলা চালায়। এ সকল জায়গায় মুক্তিযোদ্ধা অবস্থান গুল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। নৌ পথে পাকবাহিনী লালপুর, রামপুর, ভৈরবের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। ৬ কোম্পানি পাক সৈন্য হেলি লিফট করে আশুগঞ্জের তালশহর আশুগঞ্জের মাঝামাঝি। মেজর শফিউল্লাহ এর মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া অবস্থান করছিলেন। হেলি লিফট বাহিনী নামার পরপরই আর্টিলারি ফায়ার শুরু করে। শফিউল্লার বাহিনী তাদের সাথে কুলাতে না পেরে পশ্চাদপসরণ করে শাহবাজপুর চলে আসেন। বিচ্ছিন্ন মুক্তিযোদ্ধাদের দল সমুহ শাহবাজপুর এবং মাধবপুরে অবস্থান নেয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা তিতাস সড়ক সেতু উড়িয়ে দেয়। ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় ক্যাপ্টেন নাসিম এবং হেলাল মোরশেদের বাহিনী পাক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে তারাও তাদের সাথে কুলাতে না পেরে আরও পূর্বে সরে যায়। পাঁচদোনায় মুক্তিযোদ্ধাদের দৃঢ় প্রতিরক্ষা ব্যুহে পাকসেনারা আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকসেনাদল ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়ে পিছু হটে।