নওয়াবেকী বাজারে রাজাকারদের সঙ্গে যুদ্ধ, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার শ্যমনগর থানার নওয়াবেকী একটি বাজার। রাজাকাররা এখানে এসে প্রায়ই সাধারণ দোকানদার, ব্যাবসায়ীদের ওপর অত্যাচার করতো। এলাকার লোকদের ধরে অহেতুক মান সম্মান নষ্ট এবং তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা আদায় করতো। এদের জন্য এলাকার লোকজন সব সময় ভয়ে তটস্থ থাকতো। কমান্ডার লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে নজরুল ইসলাম, জোবায়ের, কামাল, হুমায়ূন, আব্দুল মজিদ, মজিদ ইঞ্জিনিয়ার সহ ২০/২৫ জনের মুজিব বাহিনীর দল, নওয়াবেকী বাজারে আসে রাজাকারদের উপর একটি আচমকা আক্রমণের উদ্দেশ্যে। কমান্ডার লিয়াকত রেকী করে গোপনে খোঁজ খবর করে জানতে পারেন রাজাকাররা স্থানীয় ওয়াপদা কলোনীতে ও বাজারে অবস্থান করছে। রাইফেল ছাড়া ওদের কাছে তেমন কোনো অস্ত্র নেই। পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট এল.এম.জি, এস.এম.জি গ্রেনেড, এস.এল.আর. ৩০৩ রাইফেল প্রভৃতি। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল মোস্তফার নেতৃত্বে ছিল। নওয়াবেকী যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা সক্রিয় অংশ নেন। আকস্মিক আক্রমণ শুরু করে মুজিব বাহিনী একদিক থেকে, বিপরীত দিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের দলও আক্রমণ করে। যৌথ এ আক্রমণে রাজাকারদের একজন নিহত ও বেশ কয়েক জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের তেমন কোনো বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়নি। এবং তাদের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। সহজেই রাজাকারদের পরাস্ত করে তারা।
[১২] আশেক-ই-এলাহী
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত